ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিমানবন্দর সড়ক দ্রুত যান চলাচল উপযোগী করার তাগিদ চসিকের

প্রকাশিত: ২৩:৩৮, ১৩ আগস্ট ২০২০

বিমানবন্দর সড়ক দ্রুত যান চলাচল উপযোগী করার তাগিদ চসিকের

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রাম মহানগরীর এয়ারপোর্ট রোড আগামী ২০ আগস্টের মধ্যে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করার তাগিদ দিয়েছেন সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। বুধবার প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনকালে এ ব্যাপারে নির্দেশনা প্রদান করেন। চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, জনদুর্ভোগ লাঘবে নগরীতে রাস্তা-ঘাট তৈরি করা হয়। কিন্তু কাজের ক্ষেত্রে জনদুর্ভোগ যেন বেড়ে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তিনি বলেন, একটি প্রতিষ্ঠিত নগরীতে এয়ারপোর্ট সড়ক হচ্ছে নগরের প্রবেশদ্বার। এখান থেকেই দেশী ও বিদেশী অতিথিরা চট্টগ্রাম সম্পর্কে ধারণা নেবে। তাই শুধুমাত্র সমন্বয়হীনতার অভাবে এই সড়কে দুর্ভোগ মেনে নেয়া যায় না। চসিক প্রশাসক চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) কর্তৃক বাস্তবায়িত উড়াল সেতু ও এয়ারপোর্ট সড়কের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করতে গিয়ে প্রত্যক্ষ করেন, ওয়াসার পাইপ লাইনের কারণে ড্রেনের পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হচ্ছে। একইভাবে সড়কে বিভিন্ন খানা-খন্দকের কারনে গাড়ি চলাচল ও জনগণের দুর্ভোগ চরম পর্যায়ে। তাই তিনি আগামী ২০ তারিখের মধ্যে পানি চলাচলে বাধা সৃষ্টিকারী ওয়াসার পাইপসমূহ ওয়াসাকে সরিয়ে নিতে এবং রাস্তায় যত গর্ত ও খানা-খন্দক আছে তা সংস্কার করে রাস্তা কার্পেটিংয়ের সিদ্ধান্ত দেন। এ সময় উভয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা তা পালনের প্রতিশ্রুতি দেন চসিক প্রশাসককে। পোর্ট কানেকটিং রোডে উচ্ছেদ অভিযান ॥ বুধবার চট্টগ্রাম মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ পোর্ট কানেকটিং রোডে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে সিটি কর্পোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী ও স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) জাহানারা ফেরদৌসের নেতৃত্বে এ অভিযানে ভেঙ্গে দেয়া হয় ২০টি অবৈধ স্থাপনা। এরমধ্যে হোটেল, সিমেন্টর দোকান, বাস কাউন্টার, গাড়ির গ্যারেজসহ অন্যান্য দোকানপাট রয়েছে। এতে প্রায় ১৫ গ-া জায়গা উদ্ধার করা হয়। একই অভিযানে সাগরিকা মোড় হতে নয়া বাজার এলাকা পর্যন্ত রাস্তার উভয়পার্শ্বের ড্রেনের ওপর স্তূপ করে রক্ষিত মালামাল সরিয়ে ড্রেন দখলমুক্ত করে সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। অভিযানকালে চসিক নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদাত মোহাম্মদ তৈয়ব, চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ ও চসিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ ছিলেন।
×