ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রাজশাহীতে এসপির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা, তদন্তের নির্দেশ

প্রকাশিত: ২৩:০৮, ১৩ আগস্ট ২০২০

রাজশাহীতে এসপির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা, তদন্তের নির্দেশ

কোর্ট রিপোর্টার ॥ রাজশাহী রেঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) বেলায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলা দায়ের করেছেন এক ব্যবসায়ী। বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম দিদার হোসাইনের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন মোঃ গোলাম মোস্তফা (আদর)। বিচারক বাদীর জবানবন্দী গ্রহণের পর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। বাদী আদর সাবেক আইজিপি ড. জাবেদ পাটোয়ারীর নিকটাত্মীয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় বেলায়েত হোসেনের পাশাপাশি অজ্ঞাত আরও ১৫/১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় অভিযোগ করা হয়, সাবেক আইজিপি ড. জাবেদ পাটোয়ারীর অফিসে দুই বছর পূর্বে বেলায়েত হোসেনের সঙ্গে পরিচয় হয় আদরের। এই সূত্রে আদরের বাবা গোলাম মোহাম্মদের কাছ থেকে বেলায়েত হোসেন তার কেনা জমি রেজিস্ট্রি করতে গত বছর ১১ আগস্ট পাঁচ লাখ টাকা ঋণ নেন। ওই ঋণের টাকা পরিশোধের জন্য আসামি গত ১৫ মার্চ পাঁচ লাখ টাকার একটি চেক দেন। পরদিন আদর চেকটি ব্যাংকে উপস্থাপন করে টাকা উত্তোলন করেন। এরপর গত ৪ এপ্রিল আসামি বেলায়েত হোসেন বাদী আদরের বাবার কাছে একজন লোক পাঠান। তিনি নিজেকে ডিবির অফিসার পরিচয় দেন। তখন আসামি বাদীর বাবাকে ফোন দিয়ে বলেন, ১৬ মার্চ ব্যাংক থেকে উত্তোলিত পাঁচ লাখ টাকা ফেরত না দিলে তার ছেলের অসুবিধা হবে। পরে বাদীর বাবা পাঁচ লাখ টাকার একটি চেক আসামি বেলায়েত হোসেনের নামে লিখে দেন। গত ১০ এপ্রিল বাদী জানতে পারেন যে, ব্ল্যাকমেল করে বেলায়েত হোসেন তার বাবার কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা নিয়েছেন। তখন বাদীর বাবা ব্যাংককে চেকটি পাস না করার জন্য অনুরোধ করেন। গত ৮ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে বেলায়েত হোসেনের সঙ্গে ১৫/১৬ অজ্ঞাত ব্যক্তি ডিবি পুলিশ পরিচয়ে বাদীর বাড়িতে ঢুকে ২৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে তারা বাদীকে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানো এবং বাদীর নারায়ণগঞ্জের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভ্রাম্যমাণ আদালত দিয়ে জরিমানাসহ জেলের হুমকি দেন। এছাড়া তাৎক্ষণিক টাকা দিতে না পারায় বাদী আদরকে তারা মারপিট করে মিন্টু রোডের ডিবি অফিসে নিয়ে যায়। বাদীকে আটকের কথা জেনে আদরের বাবা, মা এবং স্ত্রী ডিবি কার্যালয়ে যান। তখন আসামি বেলায়েত হোসেন ২৫ লাখ টাকা না দিলে আদরকে ক্রসফায়ারে দেয়া অথবা আট শ’ বোতল ফেনসিডিলসহ অস্ত্র মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন। তখন আদরের বাবা বাধ্য হয়ে আসামিকে সাড়ে তিন লাখ টাকা দেন।
×