ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আসছে কমিউনিটি পর্যায়ে সংরক্ষণ প্রকল্প মৌসুমি ব্যবসায়ীরা লবণযুক্ত চামড়া সংরক্ষণ করবেন সরকারী গুদামে আগামী সপ্তাহে পিডি নিয়োগ বাজেটের অপ্রত্যাশিত খাত থেকে বরাদ্দ রক্ষা করা সম্ভব হবে মূল্যবান জাতীয় সম্পদ

চামড়া নিয়ে কারসাজি চলবে না

প্রকাশিত: ২২:৪৩, ১৩ আগস্ট ২০২০

চামড়া নিয়ে কারসাজি চলবে না

এম শাহজাহান ॥ প্রতিবছর কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে ব্যবসায়ীদের কারসাজি বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। চামড়ার ন্যায্য দাম নিশ্চিত করে মূল্যবান সম্পদ রক্ষায় ‘কমিউনিটি পর্যায়ে চামড়া সংরক্ষণ’ নামে জরুরী ভিত্তিতে একটি স্থায়ী প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে সরকারী গুদামে চামড়া সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। লবণ দিয়ে গুদামে চামড়া সংরক্ষণ করে তিন মাস ধরে তা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করা হবে। এর পরও ভাল দাম না পেলে এইসব লবণ দেয়া চামড়া বিদেশে রফতানি করা হবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে আগামী বছর থেকে চামড়া নিয়ে ব্যবসায়ীদের ছিনিমিনি খেলা বন্ধ হবে। প্রান্তিক ব্যবসায়ীদের আর চামড়া ফেলে দিয়ে মূল্যবান জাতীয় সম্পদ নষ্ট করতে হবে না। এই প্রকল্পে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের প্রশিক্ষণ, সঠিক পদ্ধতি মেনে পশু থেকে চামড়া ছাড়িয়ে নেয়া, নিয়ম মেনে লবণ দেয়া, দ্রুত অপসারণ এবং স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করে চামড়া সংরক্ষণ করার প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। পুরো প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সর্বপ্রথম ফিজিবিলিটি স্টাডি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে আগামী সপ্তাহে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একজন প্রকল্প পরিচালক (পিডি) নিয়োগ দিতে যাচ্ছে সরকার। ইতোমধ্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এ ধরনের একটি প্রকল্প গ্রহণের জন্য তার সম্মতির কথা জানিয়ে দিয়েছেন। জানা গেছে, ‘কমিউনিটি পর্যায়ে চামড়া, সংরক্ষণ করব আমরা’ এ ধরনের একটি স্লোগান সামনে রেখে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। আগামী কোরবানির আগে সারাদেশে এই প্রকল্পের আওতায় জেলা, উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়েও সরকারী গুদামে কোরবানির চামড়া সংরক্ষণ করা হবে। এ ছাড়া শহরগুলোতে ওয়ার্ড পর্যায়ে এইসব গুদামের ব্যবস্থা করা হবে। এতে করে কোরবানির দিন ট্যানারি কিংবা আড়তে চামড়া বেচাকেনার আর কোন তাড়াহুড়া থাকবে না। তিনমাস লবণ দিয়ে চামড়া সংরক্ষণ করা গেলে পরবর্তী সময়ে ভাল দামে ট্যানারি মালিক, আড়তদার ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করা সম্ভব হবে। এসব জায়গায় ভাল দাম না পেলে সরকারী অনুমতি সাপেক্ষে বিদেশে লবণযুক্ত কাঁচা চামড়া রফতানি করতে পারবেন যেকোন উদ্যোক্তা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে-স্থানীয় পর্যায়ের মৌসুমি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, মসজিদ-মাদ্রাসা ও এতিমখানাগুলোর পক্ষে সংগৃহীত কোরবানির চামড়া তিনমাস পর্যন্ত লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। এ লক্ষ্যে প্রকল্পের আওতায় সরকারী উদ্যোগে জেলা, উপজেলা ও কোন কোন ক্ষেত্রে ইউনিয়ন পর্যায়ে গুদাম ও ছাউনি নির্মাণ করে দেয়া হবে। এতে করে সহজে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা লবণযুক্ত চামড়া মজুদ ও সংরক্ষণ করতে পারবেন। এতে কোরবানি পরবর্তী সুবিধাজনক সময়ে চামড়া দরকষাকষির মাধ্যমে বিক্রি করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। ফলে দেশের সর্বত্র কোরবানির চামড়ার ন্যায্যদাম নিশ্চিত হবে। চামড়া নিয়ে যেকোন নৈরাজ্যজনক পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব হবে মনে করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য সচিব ড. মোঃ জাফর উদ্দীন জনকণ্ঠকে বলেন, চামড়া জাতীয় সম্পদ। এই সম্পদ আমাদের রক্ষা করতে হবে। কোরবানির সময় সারাবছরের অর্ধেক চামড়া সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। কিন্তু নানা সমস্যার কারণে সঠিক দাম নিশ্চিত হয় না। চামড়া নষ্ট হওয়ার খবর আসে। আর তাই এই সমস্যা সমাধানে একটি স্থায়ী প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, কমিউনিটি পর্যায়ে চামড়া সংরক্ষণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ময়মনসিংহ ও রংপুর জেলায় এবার কমিউনিটি পর্যায়ে চামড়া সংরক্ষণ ও মজুদ করা হয়েছে। ওই এলাকার মৌসুমি ব্যবসায়ীরা এখন সরকার নির্ধারিত দামে ট্যানারি ও আড়তে চামড়া বিক্রির সুযোগ পাচ্ছেন। অথচ কোরবানির দিন যারা তাড়াহুড়া করে চামড়া বিক্রি করে দিয়েছেন তারা ভাল দাম পাননি। এ কারণে কমিউনিটি পর্যায়ে চামড়া সংরক্ষণ করা গেলে এই পণ্যটি নিয়ে এত ঝামেলা আর তৈরি হবে না। তিনি বলেন এতে চামড়ার ন্যায্যদাম নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি এই শিল্পখাতের বিকাশ হবে। জানা গেছে, কমিউনিটি পর্যায়ে চামড়া সংরক্ষণ প্রকল্পটিকে জরুরী হিসেবে গ্রহণ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটের অপ্রত্যাশিত খাত থেকে এই প্রকল্পের জন্য অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে ফিজিবিলিটি স্টাডিসহ প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পরবর্তী পর্যায়ে নিজস্ব অর্থায়নের পাশাপাশি বিশ্বব্যাংক ও এডিবির কাছে অর্থ সহায়তা চাওয়া হতে পারে। তবে পুরো প্রকল্প বাস্তবায়নে কি পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হবে তা এখনও চূড়ান্ত করতে পারেনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার কাউকে প্রকল্প পরিচালক পিডি হিসেবে নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তার অধীনে সংশ্লিষ্ট আরও কয়েকজন সরকারী কর্মকর্তা প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হবেন। আগামী সপ্তাহনাগাদ পিডি নিয়োগ চূড়ান্ত হবে বলে জানা গেছে। এদিকে, চামড়া শিল্প বিকাশে বেশ কয়েকটি নীতিমালা এবং সাভারের হেমায়েতপুরে শিল্পনগরী গড়ে তোলা হলেও কোরবানির চামড়া নিয়ে অরাজকতা বন্ধ হয়নি। অথচ দেশের রফতানিতে দ্বিতীয় অবস্থানে চামড়া শিল্পখাত। ট্যানারিতে উৎপাদিত ক্রশড ও ফিনিশড লেদারের পাশাপাশি দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ চামড়াজাত পণ্যের রফতানি বাড়ছে বিদেশে। এ ছাড়া দেশেও চামড়ার বিপুল চাহিদা রয়েছে। চামড়াজাত পণ্যের দাম আকাশ ছোঁয়া। এরপরও দেশের মানুষ চামড়ার তৈরি জুতা, বেল্ট, ব্যাগ, পার্স ও জ্যাকেট ব্যবহার করছেন। দেশে অসংখ্য চামড়ারজাত পণ্যের শিল্পকারখানা গড়ে উঠছে। এ কারণে দেশের অর্থনীতি, শিল্প, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থানের স্বার্থে এ শিল্পখাতের অবদান অনেক বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, সরাসরি চামড়া শিল্পখাতে ৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। আর এই ৫ লাখ মানুষের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ২৫ লাখ মানুষের ভাগ্য জড়িত। কিন্তু কোরবানি এলেই কমদামে চামড়া কেনার একটি প্রবণতা তৈরি হয়েছে। গত দু বছর ধরে কোরবানির চামড়া বিক্রি হচ্ছে পানির দামে। চামড়া বেচতে না পেরে রাগে-ক্ষোভে দেশের সাধারণ মানুষ কোরবানির চামড়া নদী, সাগর ও রাস্তায় ফেলে দিচ্ছেন। এতে করে চরম সঙ্কটে এ খাত। এ অবস্থায় সরকারী এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা। এ প্রসঙ্গে সিপিডির গবেষণা পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, চামড়া শিল্পের অন্যতম কাঁচামাল। এটি ফ্রি বা বিনামূল্যে নেয়ার কোন সুযোগ নেই। ন্যায্য ও সঠিকদাম নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ সরকারকে গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া ব্যবসায়ীরাও সরকারী এই উদ্যোগের পক্ষে। এ প্রসঙ্গে এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক আব্দুল হক জনকণ্ঠকে বলেন, এভাবে একটি শিল্পখাত ধ্বংস হয়ে যেতে পারে না। কোরবানি এলে এই খাতে করুণদশা তৈরি হয়। তিনি বলেন, সমস্যা কোথায়, কেন এমন হচ্ছে এর একটি গভীর অনুসন্ধান হওয়া প্রয়োজন। এ শিল্পখাত বাঁচাতে সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে। সরকার নির্ধারিত মূল্যে চামড়া বেচাকেনা তিন মাস ॥ আগামী তিনমাস অর্থাৎ অক্টোবর মাস পর্যন্ত সরকার নির্ধারিত মূল্যে ট্যানারি মালিক ও আড়তদাররা মৌসুমি ব্যবসায়ী ও ফড়িয়াদের কাছ থেকে চামড়া কিনবেন। ইতোমধ্যে আড়তদার ও ট্যানারি মালিকদের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করা হয়েছে। এছাড়া সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে কাঁচা চামড়া রফতানির সুযোগ না দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ট্যানারি এ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) চেয়ারম্যান মোঃ শাহিন আহমেদ জানিয়েছেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যে ট্যানারিগুলো চামড়া কিনতে প্রতিশ্রুতবদ্ধ। লবণযুক্ত চামড়া নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি হবে, এ নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। প্রসঙ্গত, এ বছর পবিত্র ঈদ-উল-আজহার জন্য নির্ধারিত এ দর গত বছরের চেয়ে কম নির্ধারণ করা হয়। এ বছর ঢাকার জন্য লবণযুক্ত কাঁচা চামড়ার দাম গরুর প্রতি বর্গফুট ৩৫ থেকে ৪০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ২৮ থেকে ৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়, যা গত বছর ঢাকায় ছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। আর ঢাকার বাইরে ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। অন্যদিকে, খাসির চামড়া সারা দেশে প্রতি বর্গফুট ১৩ থেকে ১৫ টাকা ও বকরির চামড়া ১০ থেকে ১২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। গত বছর খাসির চামড়া ১ থেকে ২০ টাকা ও বকরির চামড়া ১৩ থেকে ১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এদিকে, এবার কোরবানি যোগ্য ১ কোটি ২০ লাখ গবাদি পশু রয়েছে ছিল। কিন্তু করোনার কারণে ৩০ শতাংশ পশু কোরবানি কম হয়েছে বলে জানা গেছে। জানা গেছে, সাভারের ট্যানারিগুলো থেকে ক্রাশড ও ফিনিশড লেদার কিনে নিয়ে দেশের শতাধিক প্রতিষ্ঠান চামড়া ও চামড়াজাতপণ্য তৈরি করছে। প্রতিবছর চামড়ার চাহিদা বাড়ছে। দেশে ও বিদেশে উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে চামড়ার তৈরি জুতা, ব্যাগ, বেল্ট ও পার্সসহ বিভিন্ন সামগ্রী। গরুর চামড়ার তৈরি একটি বেল্ট কিনতে একজন ভোক্তাকে ব্যয় করতে হয় দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা। আর চার হাজার টাকার নিচে কোন জুতা নেই অভ্যন্তরীণ বাজারে। এসব সামগ্রী বিদেশে রফতানি করে আসে বিপুল অঙ্কের ডলার। দেশে বাজার তৈরির পাশাপাশি রফতানিতে এ্যাপেক্স ফুটওয়্যার, বে ইম্পোরিয়াম, পিকার্ড বাংলাদেশ, জেনি সুজ, এবিসি ফুটওয়্যার, রাইডার লেদার ব্যাগস এ্যান্ড লাগেজ, ইয়োকো লেদার এবং ঢাকা লেদার কর্পোরেশন অন্যতম উদাহরণ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। এ্যাপেক্স, বে ও জেনি সুজের সারাদেশের বিভিন্ন মার্কেট বিপণি বিতান ও শপিংমলে নিজস্ব শো-রুম রয়েছে। চামড়ার জুতা থেকে শুরু করে চামড়ার তৈরি হরেক রকম পণ্যসামগ্রী বিক্রি হচ্ছে এসব শো-রুমে। এর পাশাপাশি এসব প্রতিষ্ঠানের তৈরি জুতা, ব্যাগ, পার্স ও বেল্ট ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে রফতানি করা হচ্ছে। এ্যাপেক্স ফুটওয়্যার ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক সংস্থা লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের এলডব্লিউজি নিরীক্ষায় গোল্ড সার্টিফিকেট সনদ পেয়েছে। এর ফলে সারাবিশ্বে রফতানি হচ্ছে এ্যাপেক্সের তৈরি পণ্যসামগ্রী। সাভারের হেমায়েতপুরে প্রতিষ্ঠানটির আন্তর্জাতিকমানের নিজস্ব ট্যানারি রয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে, চামড়া শিল্পখাতে ৬০ শতাংশ মূল্য সংযোজনের সুযোগ রয়েছে। ২০২১ সাল নাগাদ এ শিল্প খাতে ৪৩ হাজার কোটি টাকার রফতানির লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে। বর্তমানে বিশ্ববাজারে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের ২২০ বিলিয়ন ডলারের বাজার থাকলেও বাংলাদেশ এ খাতে মাত্র ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করে থাকে। কিন্তু এ খাত উন্নয়নে যে রোডম্যাপ দেয়া হয়েছে সেই অনুযায়ী কাজ চলছে। অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা গলে দেশের সবচেয়ে বড় শিল্পখাত হতে পারে চামড়া শিল্পখাত। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ট্যানার্স এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ শাহিন আহমেদ জনকণ্ঠকে আরও বলেন, কাঁচা চামড়া রফতানির সিদ্ধান্তটি ছয় মাস থেকে এক বছরের জন্য হলে ভাল হয়। এখন ট্যানারিতে বিপুলসংখ্যক চামড়া মজুদ রয়েছে। তিনি বলেন, কাঁচা চামড়া কেনাবেচায় ব্যাংক ঋণ একটি বড় বিষয়। ব্যবসায়ীদের প্রস্তুতি আছে। তবে ব্যাংক ঋণ নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, শর্তের বেড়াজালে এ খাতের উদ্যোক্তারা সঠিকভাবে ঋণ পান না। এটি একটি বড় সমস্যা। তিনি বলেন, কোরবানির চামড়া সংগ্রহ ও মজুদে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ করে চিঠি দেয়া হয়েছে। কিন্তু তার একটিও পূরণ হয়নি। অথচ কোরবানির চামড়া কিনতে ৬০০-৭০০ কোটি টাকার তহবিল প্রয়োজন। চামড়া কিনতে ব্যাংক ঋণ আরও সহজ হওয়া প্রয়োজন।
×