ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মমতাজ লতিফ

কেন সিনহা? কেন শুধু বাম পাশেই গুলি?

প্রকাশিত: ২১:২৭, ১৩ আগস্ট ২০২০

কেন সিনহা? কেন শুধু বাম পাশেই গুলি?

সিনহা টার্গেটেড মার্ডারের শিকার হয়েছিলেন- এতে কোন সন্দেহ নেই। মাদকের বিষয় হলে তো অবশ্যই গাড়ির আরোহী দু’জনই গুলিবিদ্ধ হতেন অবশ্যই ক্যামেরা, ডকুমেন্টারি চিত্রের ফুটেজ, কম্পিউটার জব্দ করার কোন কারণ ছিল না। এ কাহিনী জানি- পুলিশ কিছু মাদক ভিকটিমের পাশে, পকেটে, কক্ষে রেখে সাধারণত মাদকসেবী অথবা ব্যবসায়ী প্রমাণ করা পুলিশের বহুল প্রচারিত রীতি। সিনহাকেই হত্যা করতে চেয়েছে পুলিশের বেশে ওই খুনী দল, এটি বোঝা যায় একা সিনহাকেই একাধিক গুলি করা হলো। অথচ সেগুলোর একটি তার পায়ে করেও তাকে গ্রেফতার করা যেত। কিন্তু তা করা হলে সিনহা মারা যেত না, যা খুনীরা চায়নি। কিন্তু সিনহার দেহের শুধু বাম পাশে ঘাড়, হার্ট, পিঠ বরাবর তাকে কমপক্ষে কয়েকটি গুলি করে তার মৃত্যু সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যেই করা- এটি প্রমাণ হয়। প্রশ্ন : একজন অবসরপ্রাপ্ত মেজরকে হত্যা করলে স্বভাবতই সেনাবাহিনীর মধ্যে কঠোর প্রতিক্রিয়া হবে- এটি জেনে, বুঝেও কেন পুলিশ এত ঝুঁকি নিয়ে তাকে হত্যা করল? এতে স্বাভাবিকভাবেই দুই বাহিনীর মধ্যে আস্থার সম্পর্ক বিনষ্ট হতে পারে। ফলে দেশময় এক চাঞ্চল্য তৈরি হবে, যা এই করোনা ও বন্যা-দুর্যোগে নতুন এক সঙ্কট তৈরি করবে । সিনহা ভ্রমণ বিষয়ক একটি ডকুমেন্টারি ফিল্ম তৈরি করার জন্য তিনজনের দল নিয়ে দুই মাসের জন্য টেকনাফের এক হোটেলে অবস্থান করছিলেন। এটি একটি প্রধান বিবেচ্য বিষয় হওয়ার কথা তদন্তকারী দলের কাছে। কারণ, ভিকটিম সিনহাকে যারা হত্যার টার্গেট বলে গণ্য করেছে, তারা নিশ্চয় তার ক্রিয়াকলাপ, কাজ, ডকুমেন্টারির বিষয়বস্তুকে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে, জেনে, বুঝে ডকুমেন্টারি তৈরির ফুটেজসহ সব যন্ত্রপাতি, সরঞ্জাম জব্দ করে নিয়ে গেছে। অর্থাৎ, মাদক নয়, জব্দ তালিকায় ক্যামেরা ও যন্ত্রপাতিই হলো প্রধান অপরাধী ও তার দলের অপরাধকর্ম। যদি তা না হবে, তা হলে নিরীহ ক্যামেরা, ফুটেজ, কম্পিউটার জব্দ করা হবে কেন? তারা তো নিজেরা কিছু করে না, ফিল্ম তৈরিও কোন অপরাধ নয়। বরং আমরা যত বেশি ‘খোঁজ’ বা ‘তালাশ’ ইত্যাদি অপরাধ খোঁজার টিভি প্রোগ্রাম দেখতে পাব, ততই একদিকে যেমন নিরাপত্তা বা পুলিশ বাহিনীর পক্ষেও অপরাধ ও অপরাধী শনাক্ত করা সহজ হবে, অপরদিকে টিভিতে অপরাধীর অপরাধ জনমানুষের সামনে প্রকাশিত হয়ে পড়বে। ফলে অপরাধীরা সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হবে। আমরা জনগণ বেশি বেশি করে অপরাধের ওপর তথ্যচিত্র তৈরি হয়ে প্রচারিত হোক- তাই চাই। তরুণ, অবসর গ্রহণ করা সিনহাও হয়ত সমাজে মাদকসেবী, মাদক-ব্যবসায়ী নামে পুলিশের হাতে নিহত হওয়া অনেক সাধারণ ব্যক্তির খুনী অসৎ পুলিশের ‘মুখোশ’ উন্মোচন করা এবং সমাজ রক্ষকদের ভক্ষক হয়ে ওঠার প্রক্রিয়ায় যুক্তদের বিরুদ্ধে সমাজ ও সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর দেশপ্রেমিক ও সৎ সদস্যদের দায়িত্ব পালনে সহায়তা প্রদান করতে চেয়েছিল। তা ছাড়াও গাঁজা বা কয়েক বোতল মদের জন্য কেউ, সে পুলিশ হোক, কাউকে হত্যা করতে পারে না এটা সবাই জানেন। এখন সময় এসেছে- সরকারপ্রধান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিসহ বড় স্টেক হোল্ডারদের মাদকসেবী নাম দিয়ে একের পর এক হত্যা, অস্ত্র উদ্ধারের নামে ‘এনকাউন্টার’, ‘ক্রসফায়ার’ ইত্যাদি বেআইনী হত্যাকা- নিয়ে নতুন করে ভাবনা-চিন্তা করে যুক্তিযুক্ত আইনী সিদ্ধান্ত গ্রহণের। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আইজিপি ভদ্রলোক, সজ্জন ব্যক্তি। কিন্তু সাহেদের পাশে ছবি দেখার পর জনগণের মনে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এটি উড়িয়ে দেয়ার বিষয় নয়। তা ছাড়া ‘ক্রসফায়ার’ শব্দটা এনজিওদের আবিষ্কার নয়। এটি সম্ভবত পুলিশ বা সাংবাদিকরা ব্যবহার করেছেন, যার অর্থ ‘এনকাউন্টার’-এর কাছাকাছি। কথা হচ্ছে, মাদকসেবী বা অস্ত্রধারী- তাদের যে গল্প বলে হত্যা করা হচ্ছে- গল্প যাই হোক সেটাকে ‘ক্রসফায়ার’ বা ‘এনকাউন্টার’, যে শব্দেই প্রকাশ করি আসলে তো সেটি হত্যাকা- এবং বেআইনী। এখন ভাবতে হবে আইন রক্ষাকারী কি বেআইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করে একের পর এক হত্যা প্রায় বিনা বাধায় করে যেতে পারে? যখন দেখা গেছে পুলিশ কোন ঘটনার কোন এলাকার ‘ত্রাস’ হিসেবে পরিচিত সন্ত্রাসী-অপরাধীকে হত্যা করে, তখন জনমানুষ এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করেছে। সিন্হা এলাকার মানুষের মুখে মানুষের হয়রানি, হত্যার শঙ্কা, কোটি টাকা ঘুষের কথা জেনেছিল। এখানে সিনহা হত্যায় হত্যাকরীদের একজন ওসি গ্রেফতার হওয়ার খবরে কিন্তু টেকনাফ, উখিয়ায় মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে। তা হলে বোঝা যাচ্ছে এক্ষেত্রে সিনহার হত্যাকারীই একজন বড় সন্ত্রাসী, অপরাধী। জনগণের মতো প্রকৃত বিচারক আমরা এখনও কাউকে জানি না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপিকে বলছি- আপনারা দীর্ঘকাল যাবত টেনকাফের বরখাস্ত হওয়া ওসির কমপক্ষে বিগত দশ-এগারো বছরের বহু বড় বড় অপরাধের বিষয়ে অবগত আছেন। সেই অপরাধী বার বার বরখাস্ত হয়, আবার পদায়িত হয়, আবার অপরাধ করে, আবার বরখাস্ত হয়, আবার পদায়িত হয়- এতে মনে হয় সোনার কাঠি রূপার কাঠির রূপকথার গল্প। কারা এসব গল্পের স্রষ্টা? কত কত হাজার, লক্ষ টাকা দিয়ে সে এই প্রহসনগুলো অবাধে করেছে? কারা সে অর্থ ভোগ করেছে? আমার বিশ্বাস সিনহা হত্যার পর তার আত্মসমর্পণ করার কথা ছিল না। এত বেশি অপরাধ করেও বার বার যারা তাকে রক্ষা করেছে, যাদের মোটা অর্থ ঘুষ দিয়ে সে রক্ষা পেত, তাদের নাম পরিচয় উন্মোচন করে দেয়ার একটি সুযোগ তার হাতে রেখে তবেই সে আত্মসমর্পণ করেছে! উদাহরণ তো হাতের কাছেই আছে- রিজেন্টের সাহেদ বা জেকেজির সাবরিনা ও তার স্বামীকে গ্রেফতার করে, রিমান্ডে তারা কি বড় বড় রাঘব বোয়াল, যাদের নাম তারা তাদের প্রধান সাহায্যকারী হিসেবে, অবশ্যই অর্থের বিনিময়ে পেয়েছিল, তাদের নাম কেন এখনও বলেনি? অথবা বললেও সে নামগুলো কি চাপা দেয়া হয়েছে? এটা তো আমরা জনগণ কোনক্রমেই বিশ্বাস করি না যে, সাহেদ-সাবরিনারা নিজেরাই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ- কোভিড পরীক্ষা, নকল মাস্ক সরবরাহ করেছে। কাজগুলো তাদের কারা দিয়েছিল সে নামগুলো আসেনি। একজন প্রাক্তন সচিবের নাম ছাড়া আর কিছুই বের হয়নি! এর চাইতে সপ্তম আশ্চর্য আর কি কিছু হতে পারে- মাননীয় মন্ত্রী, আইজিপি? সাহেদের মামলার শুরুতেই দেখা গেল র‌্যাব এই মামলা করতে চায় বলে সাহেদের রিমান্ড, মামলা রুজুর দায়িত্ব নিয়ে নিল। এ ঘটনাটি কিন্তু অনেকের মনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে এ কারণে যে, এখনও পর্যন্ত সাহেদের কোন গডফাদারের নাম প্রকাশিত হয়নি! জেকেজির সাবরিনাদেরও নেপথ্য মদদদাতাদের নাম এখনও প্রকাশিত হয়নি। এটা কি আশ্চর্য নয় যে- সাহেদ, সাবরিনা, তার স্বামী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোন না কোন উর্ধতন কর্মকর্তাদের সহায়তা, আশ্রয়-প্রশ্রয় না পেলে কোনমতেই তাদের উত্থান সম্ভব হতো না! কাউকে না কাউকে অথবা একটি প্রশ্রয়দাতা গোষ্ঠীকে বাঁচানোর চেষ্টা চলছে- এটি কিন্তু জনমনে প্রশ্ন হিসেবে দেখা দিয়েছে। একজন সচিব তো বলেই খালাস তিনি এসবের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। ব্যস্, হয়ে গেল! ফিরে আসি, দুর্ভাগা তথ্যচিত্র নির্মাতা তরুণ প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তা, বর্তমানে ভ্রমণ অর্থাৎ ট্রাভেলের মাধ্যমে দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ওপর তথ্যচিত্র নির্মাতা সিনহা ও তার সঙ্গী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের পরিকল্পিত হত্যাচেষ্টা ও মিথ্যা মাদক রাখার জন্য পুলিশের হাস্যকর মামলার বিষয়ে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপিকে জিজ্ঞেস করছি- যাদের দলনেতাকে হত্যা করা হয়েছে, খুনীদের আগে তাদের কি গ্রেফতার করা প্রহসন নয়? আপনারা কি দয়া করে সিনহা ও দলের ফিল্ম তৈরির জন্য করা ফুটেজ, ক্যামেরা, অন্য সরঞ্জাম ওই দানব ওসি কর্তৃক মুছে ফেলার সুযোগ পাবার আগে মুভিটির চিত্রসহ সরঞ্জামগুলো ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা নেবেন? আরও প্রশ্ন- ‘ক্রসফায়ার’ শব্দটিতে আপত্তি আছে। কিন্তু এখানে, সবটা, সিনহাসহ নিরপরাধ নিরীহ মানুষকে একমুখী হত্যাই করা হচ্ছে, অর্থাৎ ‘ক্রসফায়ার’ নয়, এটি সিনহাকে, খুনী লিয়াকত, প্রদীপ সরাসরি ‘ফায়ার’ করেছে। মাদক নির্মূলের নামে কত নিরীহ সাধারণ মানুষকে পুলিশের হাতে গুলিতে প্রাণ হারাতে হচ্ছে, যাদের সঙ্গে মাদকের আদৌ সম্পর্ক নেই। এই নামহীন সংখ্যায় পরিণত মানুষ যে নিহত হচ্ছে, তা আপনারা অবগত ছিলেন না- এ কথা বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় না। ওসি প্রদীপের শুধু গত এক বছরের কর্মকা-, হত্যার কথা আপনারা জানবেন না, এও হয় না। সিনহা তো এসব তথ্য জেনেছিল! প্রদীপের ইন্টারভিউ নিতে গিয়ে তরুণটি বিপদ ডেকে এনেছিল, হায়! ধর্ষণ, যত রকম মানবতাবিরোধী অপরাধ হতে পারে, অপহরণ, চাঁদা আদায় ইত্যাদি করা দানব ওই ওসি এবং তার সহযোগীদের কমপক্ষে গত এক বছরের অপরাধের নিরপেক্ষ তদন্ত ও বিচার করতে হবে। এখানে এটা তো স্পষ্ট যে, দানব ওসির সব রকম অপরাধের তথ্য ওপর মহলের একাংশের জানা ছিল। তাকে বার বার বরখাস্তও করা হয়েছিল। বার বার সে অবশ্যই উর্ধতন মহলের সন্তুষ্টি আদায় করতে সক্ষম হতো এবং আলাদীনের আশ্চর্য প্রদীপের জোরে তার ইচ্ছামতো থানায় বদলি হতো। স্বাভাবিকভাবেই তার কালো টাকা, লুটের অর্থে বাড়িঘর, ধন সম্পদের পাহাড় তৈরি হবে এবং তাই-ই হয়েছে। শুধু বাকি ছিল আমেরিকা পলায়ন। গ্রীন কার্ড তো হয়েই আছে, মানি লন্ডারিং অবশ্যই হয়েছে। এদিকে এত বড় দানব তার অপরাধের ফাঁক-ফোকড় বন্ধ করার কাজ করবে না, তা কি হয়? সিনহাকে হত্যার পরদিনই নিরপরাধ ছাত্রছাত্রীর বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা ঠুকে দিল! সাক্ষী বানাল যারা অকুস্থলে ছিল না, তাদের সাদা কাগজে সই করিয়ে! নিরপরাধ বা অশিক্ষিত লোক দুজন সাংবাদিকদের কাছে সত্য বলেছে এবং বলেছে সিনহা কতটা অমায়িক, ভদ্র, তাদের সঙ্গে খাবার শেয়ার করত, হাসিমুখে কুশল জিজ্ঞেস করত। আর যারা চাক্ষুস সিনহা হত্যার ঘটনাটি পুরোটা দেখেছে, তাদের বর্ণনা আমরা সবই টিভি চ্যানেলে শুনেছি। তারাই হবে প্রকৃত সাক্ষী। সরকারকে তাদেরই সাক্ষী হিসেবে গণ্য করতে হবে। সরকারের এবং পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা আশা করি, প্রকৃত সাক্ষীদের সুরক্ষার উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন। এদিকে সিনহার কক্ষ থেকে দু’লাখ টাকা পাওয়া গেছে, যা থাকাটা স্বাভাবিক। কিন্তু তার ক্যামেরা, ফটো তোলার সরঞ্জাম, কম্পিউটার, ফুটেজ ইত্যাদি জব্দ করা কি বেআইনী নয়? মাদকের জন্য নাকি গাড়ি হল্ট করতে নির্দেশ দিলে সিনহা পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী হাত তুলে এগিয়ে আসার সময় তাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। প্রথমত সঙ্গীকে নয়, শুধু সিনহাকেই গুলি করা হয় এবং শুধু তার দেহের বাম পাশে, গুলি করে খুনীরা প্রমাণ করল শুধু তাকে হত্যা করাই লক্ষ্য ছিল! ওর সঙ্গীকে আবার খুনের জন্য নাকি মামলা দেয়া হয়েছে! অবাক কা-! যাই হোক, ওই দানব পুলিশ কজনের কাজের দায় তাদের উর্ধতন কর্মকর্তাদের ওপরও বর্তায় কিছুটা। হায় সেলুকাস! আশ্চর্য এই দেশ। আমরা দেশ মাদকমুক্ত করার জন্য যখন দায়হীন হত্যাকে গ্রহণ করি, তখনই কিন্তু কক্সবাজার, উখিয়ায় চলতে থাকা অপহরণ, টর্চার সেল, অর্থ দাবি, গু-াবাহিনীর ব্যবহার, ধর্ষণ, লুট, অগ্নিসংযোগ এবং অর্থ দিয়েও অপহৃতকে ক্রসফায়ারে হত্যা করার মতো বহুমুখী অপরাধের জন্ম হয়। প্রধানমন্ত্রী, মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ বলা বন্ধ করে অন্য পন্থা বের করুন। এবার বন্ধ করুন এই বেআইনী হত্যাকা-ের দায়হীন কর্যক্রম। যথেষ্ট হয়েছে, পুলিশ বাহিনীর ভেতরে এমন আরও যেসব দানব প্রদীপে- লিয়াকত আছে, তাদের উপযুক্ত দ- দিন। দয়া করে নিরীহ সন্তান-স্বামী-পুত্রহারাদের সুবিচার দিন। লেখক : শিক্ষাবিদ
×