ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

হাটহাজারীর ত্রিপুরা পল্লীতে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ১২ পরিবারকে

প্রকাশিত: ১৩:২৬, ১২ আগস্ট ২০২০

হাটহাজারীর ত্রিপুরা পল্লীতে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ১২ পরিবারকে

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফটিকছড়ি ॥ হাটহাজারী উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের ত্রিপুরা পল্লীর বারোটি পরিবার প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে বেজায় খুশী। এসব পরিবারের সদস্যরা কোন দিন স্বপ্নেও ভাবেনি প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে ঘর বানিয়ে উপহার দেবেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিনের কাছ থেকে চাবি বুঝে নিয়ে নতুন ঘরে উঠেছে উক্ত ইউনিয়নের দুর্গম মনাই ত্রিপুরা পল্লীর বারোটি পরিবার। এছাড়া,আরো ৪ টি ঘর নির্মাণাধীন। দ্বিতীয় দফায় ঘর পাওয়ারা হলেন- মোহন ত্রিপুরা, খড়িয়া ত্রিপুরা, রাধারাম ত্রিপুরা, বানী কুমার ত্রিপুরা, শচীরং ত্রিপুরা ও রবিন ত্রিপুরা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অর্থায়নে ‘বিশেষ এলাকার জন্য উন্নয়ন সহায়তা শীর্ষক কর্মসূচি’র আওতায় এই ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। এসব ঘরে রয়েছে দুটি কক্ষ, একটি রান্নাঘর ও একটি শৌচাগার। আর প্রতিটি ঘর বানাতে খরচ হয়েছে দুই লাখ ২০ হাজার টাকা করে। সোনাই ত্রিপুরা পল্লীটি উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন । চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক থেকে প্রায় আট কিলোমিটার পশ্চিমে পাহাড়ের পাদদেশে এই পল্লীতে ৫৭ টি পরিবারের বসবাস। এর আগে ২৭ মে দুর্যোগ ব্যবস্থানা অধিদপ্তরের অর্থায়নে আরো ছয়টি পরিবারকে নতুন পাকা ঘর দেয়া হয়েছিল। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন দৈনিক জনকন্ঠকে জানান, “পাহাড়ের পাদদেশে ভগ্নপ্রায় কাঁচা ঘরে ত্রিপুরা পল্লীর এই ১২টি পরিবার বসবাস করত। “ত্রিপুরা পাড়ার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আবেদন করা হলে ১২ টি ঘরের জন্য বরাদ্ধ মেলে। তিনি আরো জানান, এলাকার দায়িত্বে যোগদানের পর ২০১৮ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর মনাই ত্রিপুরা পল্লীতে যাওয়ার কথা জানিয়ে রুহুল আমিন বলেন, “এখানকার বাসিন্দাদের মূল পেশা কৃষি কাজ ও পাহাড়ে কাঠ কাটা। পাড়ার সাথে যোগাযোগের একমাত্র সড়কটি ছিল মাটির। এতে বাসিন্দাদের ভয়ানক দুর্ভোগ পোহাতে হত।” তাদের জীবনমান উন্নয়নে ইতিমধ্যে দুই কিলোমিটার রাস্তা, সৌর বিদ্যুৎ, বিদ্যালয়, অগভীর নলকূপ, শৌচাগার ও খেলার মাঠ নির্মাণের কাজ শেষ করা হয়েছে। যেখানে কোন স্কুলই ছিলনা; সেখানে স্কুল প্রতিষ্ঠা করে শিশুদের পাঠদান করা হচ্ছে। বর্তমানে এ স্কুলে প্রায় এক শতাধিক শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে। শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ শিক্ষাবৃত্তিও পেয়েছে। ‘আমার গ্রাম-আমার শহর’ (সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন) প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের পৃষ্ঠপোষকতায় এসব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ ত্রিপুরা পল্লীতে ঘর সহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন পেয়ে এ পল্লীর ৫৭ টি পরিবারের সদস্যরা প্রাণ খুলে প্রধানমন্ত্রীর জন্য আশির্বাদ করছেন।
×