ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা তহবিল

ছোট ঋণ সোনার হরিণ ॥ চার মাসে বিতরণ মাত্র ৫শ’ কোটি টাকা

প্রকাশিত: ২২:৫৬, ১২ আগস্ট ২০২০

ছোট ঋণ সোনার হরিণ ॥ চার মাসে বিতরণ মাত্র ৫শ’ কোটি টাকা

রহিম শেখ ॥ নেত্রকোনা সদরের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী অনু চন্দ্র দে। মহামারী করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত এ ব্যবসায়ী সরকারের প্রণোদনা তহবিলের আওতায় রাষ্ট্রায়ত্ত একটি ব্যাংক থেকে ৫ লাখ টাকা ঋণ নিতে চান। শর্ত মোতাবেক ব্যাংকে একটি হিসাবও খুলেছেন দেড় মাস আগে। তারপর আর কোন অগ্রগতি নেই। শুধু ব্যাংক থেকে শুনে যাচ্ছেন আশ^াস। কিন্তু ঋণ পাচ্ছেন না। এ অবস্থা শুধু অনু চন্দ্র দে’র একারই নয়, গ্রামের লাখ লাখ মানুষের। করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সঙ্কট মোকাবেলায় কুটির, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি খাতের (সিএমএসএমই) জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা তহবিল থেকে ঋণ বিতরণ হচ্ছে খুব সামান্য। তহবিল গঠনের চার মাসে মাত্র ৫০০ কোটি টাকা বিতরণ হয়েছে। অভিযোগ উঠছে, কোন কোন ব্যাংক নিজেদের পছন্দের ব্যক্তিদের ঋণ দিচ্ছেন। আবার এক টাকাও বিতরণ করেননি এমন ব্যাংকের সংখ্যাও কম নয়। অথচ কুটির, মাইক্রো ও ক্ষুদ্র শিল্পে ঋণপ্রবাহ বাড়াতে ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এদিকে নানা শর্তের কারণে গ্রাহকদের চাহিদা থাকার পরও ঋণ বিতরণে বিপত্তি তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় প্রণোদনা তহবিল থেকে ঋণ বিতরণের শর্ত শিথিলের প্রস্তাব করেছে ব্যাংকগুলো। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) তথ্য মতে, দেশের সিএমএসএমই খাতে সব মিলিয়ে ১৩ লাখ ইউনিট রয়েছে। মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির ২৫ শতাংশ আসে এই খাত থেকে। আবার শিল্প খাতের কর্মসংস্থানের ৮৬ শতাংশই এই খাতে, যা সংখ্যায় প্রায় ১ কোটি। এই খাত মাসে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার পণ্য উৎপাদন করে, মজুরি দেয় প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা। তবে এই খাতের মাত্র ৩৮ শতাংশ প্রতিষ্ঠান ব্যাংকঋণ পায়। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) এক জরিপে বলা হয়েছে, ৫৯ শতাংশ ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা ব্যাংক থেকে ঋণ সহায়তা পেতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করতে উদ্যোক্তারা নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন। তারা বলছেন, ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে ঋণ সহায়তা পাওয়ার প্রক্রিয়া বেশ জটিল। উদ্যোক্তারা ব্যাংক থেকে প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় পর্যাপ্ত ঋণ সহায়তা পাচ্ছেন না। কোন কোন ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে বেশ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন এ খাতের উদ্যোক্তারা। তবে সিএমএসএমই ঋণ বিতরণে ধীরগতির কারণ এবং তা থেকে উত্তরণের উপায় খুঁজতে সম্প্রতি কয়েকটি ব্যাংকের মতামত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অধিকাংশ ব্যাংক জানিয়েছে, বর্তমানে সিএমএসএমই খাতের আওতায় ব্যবসা ও সেবা উপখাতে বেশি ঋণ চাহিদা রয়েছে। আর বেশিরভাগ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা মেয়াদী ঋণ চাইছেন। অথচ প্রণোদনার আওতায় শুধু চলতি মূলধন ঋণ বিতরণ করা যাবে। মোট ঋণের অন্তত ৫০ শতাংশ উৎপাদন খাতে বিতরণ করতে হবে। আর সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ ব্যবসা এবং ৩০ শতাংশ সেবা উপখাতে দেয়া যাবে। জানা যায়, কটেজ, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) খাতের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা নির্দেশনা দিয়ে গত ১৩ এপ্রিল সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রথমে পুরো ঋণ ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল থেকে বিতরণ করতে বলা হলেও পরবর্তীতে ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তার জন্য প্রণোদনা তহবিলের অর্ধেক তথা ১০ হাজার কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করা হয়। কিন্তু এসএমই খাতের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ শুধু মেয়াদী ঋণ নিয়ে ব্যবসা করেন। সাধারণভাবে তাদের চলতি মূলধন ঋণের প্রয়োজন পড়ে না। আবার প্রণোদনা তহবিলের মেয়াদ হবে তিন বছর। অথচ সরকার ৯ শতাংশের মধ্যে ৫ শতাংশ হারে সুদ ভর্তুকি দেবে এক বছরের জন্য। ফলে পরবর্তী ২ বছরে গ্রাহক পর্যায়ে সুদ বৃদ্ধির ফলে ঋণ আদায়ে ব্যাংকের সঙ্গে ঝামেলা হতে পারে। এসব কারণে ঋণ বিতরণ বাড়ছে না বলে মনে করছেন ব্যাংকাররা। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, প্রণোদনা তহবিলের আওতায় গত জুলাই মাস পর্যন্ত ব্যাংকগুলো মাত্র ২ হাজার ৬৫ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে ২৮টি ব্যাংক গ্রাহক পর্যায়ে বিতরণ করেছে মাত্র ৫০০ কোটি টাকার কিছু বেশি। বাকি টাকা বিতরণের অপেক্ষায় রয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৭ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬ কোটি টাকা বিতরণ করেছে সিটি ব্যাংক। আর সর্বনিম্ন ২ লাখ টাকা দিয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রীয় মালিকানার সোনালি ব্যাংক। অভিযোগ উঠছে, কোন কোন ব্যাংক নিজেদের পছন্দের ব্যক্তিদের ঋণ দিচ্ছে। প্রকৃত উদ্যোক্তারা দীর্ঘদিন ঘুরেও কোন ঋণ পাচ্ছেন না। এক টাকাও বিতরণ করেননি এমন ব্যাংকের সংখ্যাও কম নয়। এসএমইতে এমন চিত্র থাকলেও বড় শিল্প ও সেবা খাতের জন্য ঘোষিত ৩০ হাজার কোটি টাকার তহবিল থেকে এরই মধ্যে বিপুল অঙ্কের ঋণ বিতরণ হয়েছে। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য ঘোষিত প্যাকেজ বাস্তবায়নে কোন কোন ব্যাংক সহযোগিতা করছে না। এ ধরনের ব্যাংক থেকে সরকারী আমানত তুলে নেয়ার সুপারিশ করেন তিনি। বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে বলেন, তহবিল ব্যবস্থাপনা ব্যয় বেশি হওয়ায় এমনিতেই এসএমই খাতে ঋণ বিতরণে বেশিরভাগ ব্যাংক অনীহা দেখায়। এর মধ্যে ৯ শতাংশ সুদহার নির্ধারণ করে দেয়ায় অনেক ব্যাংক সমস্যায় পড়েছে। এ ছাড়া ভর্তুকির সুদ পেতে ব্যাংকগুলোকে নানা যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনে কোন ভুল ধরা পড়লে তখন সুদহারের একটি অংশ ফেরত দিতে হয়। এসব কারণে ব্যাংকগুলো সাধারণত এ ধরনের ঋণ বিতরণে অনাগ্রহ দেখায়। ব্র্যাক ব্যাংকের ঋণের বড় অংশই এসএমই খাতে। জানতে চাইলে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, ‘৯ শতাংশ সুদে ক্ষুদ্র ও ছোট উদ্যোক্তাদের ঋণ দেয়া সম্ভব নয়। কারণ, এসব ঋণের খরচ অনেক বেশি। আমরা ১৩-১৪ শতাংশে ঋণ দিতাম, উদ্যোক্তারাও ভাল ব্যবসা করছিল। এখন তারা ব্যাংক থেকে ঋণ না পেলে ২৫ শতাংশ সুদে এনজিও থেকে নেবে। এতে তারা লোকসানে পড়ে যাবে। যার প্রভাব পড়বে দেশের কর্মসংস্থানেও।’ প্রণোদনার ঋণ বিতরণ করতে গিয়ে এসব সমস্যা কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানানো হয়েছে তিনি জানান। জানতে চাইলে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি শামস মাহমুদ বলেন, ‘কভিড-১৯ মহামারীর কারণে দেশের অন্যান্য খাতের মতো ‘কুটির, অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সরকার প্রণোদনা তহবিল ঘোষণা করলেও উদ্যোক্তারা ব্যাংক থেকে পর্যাপ্ত ঋণ সহায়তা পাচ্ছেন না।’ এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গবর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে হলে গ্রাম থেকে টাকা শহরে না এনে বরং গ্রামে আরও টাকার প্রবাহ বাড়ানো দরকার। এর ফলে গ্রামের উন্নয়ন হবে, মানুষ শহর থেকে আবার গ্রামমুখী হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে এসএমই খাতে মোট ঋণের পরিমাণ ২ লাখ ১৯ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা। একজন উদ্যোক্তা সর্বোচ্চ ৭৫ কোটি টাকা পর্যন্ত এসএমই ঋণ নিতে পারেন। জামানতহীন ঋণে গ্যারান্টি দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক ॥ করোনার প্রভাব মোকাবেলায় কুটির, মাইক্রো ও ক্ষুদ্র শিল্পে ঋণপ্রবাহ বাড়াতে ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আওতায় ওইসব শিল্পে বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো জামানতবিহীন ঋণ বিতরণ করলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গ্যারান্টি দেবে। ফলে গ্রাহকের কাছ থেকে ঋণ আদায় না হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এর বিপরীতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা দেবে। দেশে প্রথমবারের মতো এ ধরনের একটি গ্যারান্টি স্কিম প্রণীত হলো। এ বিষয়ে গত ২৭ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এতে যেসব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এ স্কিমের আওতায় ঋণ বিতরণে আগ্রহী তাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এর আগে গত এপ্রিলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ঋণ দিতে যে ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, তা বাস্তবায়ন করতে এ গ্যারান্টি দেয়া হবে। বিষয়টি তদারকি করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমইএ এ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস বিভাগে ‘ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম ইউনিট’ নামে একটি উপ-বিভাগ গঠন করা হয়েছে। এই ইউনিট থেকে ঋণের বিপরীতে গ্যারান্টি দেয়া হবে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এ স্কিমের আওতায় এসব খাতে চলতি মূলধন ঋণের সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ পর্যন্ত গ্যারান্টি দেয়া হবে। এর মধ্যে উৎপাদন ও সেবা খাতের ঋণের সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ এবং ট্রেডিং খাতে ঋণের ৩০ শতাংশ পর্যন্ত গ্যারান্টি দেয়া যাবে। ঋণ দিতে হবে জামানতবিহীন। অগ্রাধিকার দিতে হবে গ্রামীণ কুটির, ক্ষুদ্র ও মাইক্রো শিল্পকে। নতুন কোন গ্রাহক ঋণ নিতে চাইলে তাদেরও এর আওতায় ঋণ দেয়া যাবে। গ্রাহকের ঋণের পরিমাণ যাই হোক সর্বনি¤œ ২ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা ঋণের বিপরীতে এ গ্যারান্টি দেয়া হবে। এর বেশি বা কম ঋণ থাকলে তার ওপর এই গ্যারান্টি প্রযোজ্য হবে না। এতে আরও বলা হয়, গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত যেসব বেসরকারী খাতের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর খেলাপী ঋণ ১০ শতাংশ বা তার কম শুধু তারাই এই স্ক্রিমের আওতায় সুবিধা পাবেন। এর বেশি খেলাপী ঋণ থাকলে তারা এটির আওতায় কোন সুবিধা পাবেন না। তবে সরকারী মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে এই শর্ত প্রযোজ্য হবে না। অর্থাৎ তাদের খেলাপী ঋণ ১০ শতাংশের বেশি থাকলেও এর আওতায় বিবেচিত হবে না। সরকারী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এর আওতায় গ্যারান্টি সুবিধা পাবে। গ্যারান্টির বিপরীতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিভিন্ন হারে ফি পরিশোধ করতে হবে। চলতি মাসের মধ্যে প্রণোদনা তহবিলের সকল ঋণ বিতরণের নির্দেশ ॥ প্রণোদনা ঋণ বিতরণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে তহবিল জোগান দেয়া হলেও ঋণ দিতে ব্যাংকগুলো ধীরগতিতে চলছে বলে এফবিসিসিআইসহ ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সংগঠন অভিযোগ করে আসছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংকও এ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে। এমন পরিস্থিতিতে গত ১৭ জুন সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে সভা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই সভায় ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সেবা খাতের জন্য ঘোষিত ৩০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ নিয়ে আলোচনা হয়। এরপর ব্যাংকগুলোকে প্রণোদনা প্যাকেজের বেশিরভাগ ঋণ চলতি জুলাই মাসের মধ্যে বিতরণ করতে হবে, অবশিষ্ট অংশ বিতরণ আগস্ট মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
×