ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

করোনায় আরও ৩৩ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত: ২২:৫৫, ১২ আগস্ট ২০২০

করোনায় আরও ৩৩ জনের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ৩৩ জনের মৃত্যু এবং শনাক্ত হয়েছেন নতুন ২৯৯৬ জন। এ নিয়ে মৃত্যু সংখ্যা ৩৪৭১ এবং আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২ লাখ ৬৩ হাজার ৫০৩ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হওয়া ১৫৩৫ জনসহ এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৫১ হাজার ৯৭২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ৮২০টিসহ এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ লাখ ৮৭ হাজার ৯৮৮টি। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক ২২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩২ শতাংশ। মঙ্গলবার দুপুরে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডাঃ নাসিমা সুলতানা। তিনি বলেন, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩৩ জনের মধ্যে ২৮ পুরুষ এবং ৫ নারী। তাদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ৩, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৩, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৪, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৫, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৫, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন। বিভাগ বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে ১৫, চট্টগ্রামে ৫, রাজশাহীতে ৫, খুলনায় ৩, ময়মনসিংহে এক এবং রংপুরে ৪ জন রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ৩০ জন এবং বাড়িতে ৩ জন মারা গেছেন। অধ্যাপক ডাঃ নাসিমা সুলতানা আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৮৬৩ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৯ হাজার ২৬০ জন। আইসোলেশন থেকে ২৪ ঘণ্টায় ৫৮৪ জন এবং এখন পর্যন্ত ৩৯ হাজার ৮৫ জন ছাড় পেয়েছেন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশন করা হয়েছে ৫৮ হাজার ৩৪৫ জনকে। প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টাইন মিলে ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে ২ হাজার ৮৮৪ জনকে। কোয়ারেন্টাইন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৫৫৯ জন এবং এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ৫৭ হাজার ২৫৮ জন ছাড় পেয়েছেন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে ৪ লাখ ৪ হাজার ৮০১ জনকে। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৫২ হাজার ৮০৭ জন। আগামীকাল (বুধবার) থেকে অনলাইনে স্বাস্থ্য বুলেটিন বন্ধ হয়ে যাবে জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ নাসিমা সুলতানা বলেন, আগামীকাল থেকে এই অনলাইন ব্রিফিংটি আর হবে না। ব্রিফিং বন্ধ হলেও তথ্য প্রবাহে কোন অসুবিধা হবে না। যথারীতি প্রেস রিলিজ সবাইকে পাঠিয়ে দেয়া হবে। আপনারা সব তথ্যই জানতে পারবেন। তথ্য নিয়মিতভাবে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো হবে বলে জানান ডাঃ নাসিমা সুলতানা। গত চার মাসেরও বেশি সময় ধরে দুপুর আড়াইটায় করোনাভাইরাস সম্পর্কিত নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিন পরিবেশন করে আসছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। চীনের উহান প্রদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের পর গত ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে করোনাভাইরাস নিয়ে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) প্রেস ব্রিফিং শুরু করে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা ওই সময় ব্রিফ করতেন। মার্চের প্রথম দিকে দেশে করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর আইইডিসিআরের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতরও সরাসরি ব্রিফিংয়ে যুক্ত হয়। মার্চের শেষ দিকে ডাঃ ফ্লোরার পরিবর্তে নিয়মিত ব্রিফিং পরিচালনা করেন অধিদফতরের এমআইএস বিভাগের পরিচালক ডাঃ হাবিবুর রহমান। এরপর স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে অনলাইনে ব্রিফিংয়ের পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। ওই সময় সাংবাদিকরা জুম প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হয়ে ব্রিফিংয়ে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেয়ার সুযোগ পেতেন। এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে এসে সাংবাদিকদের যুক্ত হওয়ার পর্বটি বাদ দিয়ে ‘ব্রিফিং’কে ‘বুলেটিন’ আকারে উপস্থাপন করতে শুরু করে অধিদফতর। স্বাস্থ্য বুলেটিনে নিয়মিতভাবে তথ্য উপস্থাপন করে আসছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ নাসিমা সুলতানা। এবার বুলেটিনও বন্ধ করে করোনার তথ্য ‘প্রেস বিজ্ঞপ্তি’তে প্রচারের সিদ্ধান্ত নিল স্বাস্থ্য অধিদফতর।
×