অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ টানা ১১ কার্যদিবস ইতিবাচক থাকার পর সোমবার দেশের শেয়ারবাজারে কিছুটা মূল্য সংশোধন হয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এতে কমেছে ডিএসইর প্রধান সূচক। সিএসইতে সবকটি সূচক বেড়েছে।
টানা উর্ধগতির পর শেয়ারবাজারের এই দরপতনকে স্বাভাবিক মূল্য সংশোধন হিসেবে দেখছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, টানা উত্থানের পর কিছুটা মূল্য সংশোধন হওয়া স্বাভাবিক। এছাড়া নতুন প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) আবেদন করার জন্য কিছু বিনিয়োগকারী শেয়ার বিক্রির কিছুটা চাপ বাড়িয়েছেন। এ কারণেই এই মূল্য সংশোধন হয়েছে।
করোনাভাইরাসের প্রকোপে নিরুত্তাপ শেয়ারবাজার প্রায় দেড়মাস ধরেই উর্ধ্বমুখী। রবিবার পর্যন্ত টানা ১১ কার্যদিবস উর্ধমুখী থাকে। এই টানা উত্থানে ৪৭৫ পয়েন্টে বাড়ে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক। এর মধ্যে একদিনেই বাড়ে ১৮০ পয়েন্ট।
এই বড় উত্থানের পর সোমবার লেনদেনের শুরুতেও শেয়ারবাজারে সূচকের ইতিবাচক প্রবণতা বজায় থাকে। সেখানে প্রথম ১০ মিনিটের লেনদেনে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ২১ পয়েন্ট বেড়ে যায়। কিন্তু এরপর বিক্রির চাপ বাড়ায় নিম্নমুখী হয়ে পড়ে সূচক। ফলে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১২ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৫৩৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সোমবারের বাজার পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সম্প্রতি বেশকিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যে কারণে শেয়ারবাজারে টানা উত্থান প্রবণতা দেখা যায়। টানা উত্থানের পর কিছুটা মূল্য সংশোধন হওয়া স্বাভাবিক। এ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
এদিকে প্রধান সূচক কমলেও বেড়েছে ডিএসইর অপর দুই সূচক। এর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৩ পয়েন্ট ১ হাজার ৫৪৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৫৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন অংশ নেয়া ১১১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২১৭টির। আর ২৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এই মূল্য সংশােধনের দিনে লেনদেনের পরিমাণও কিছুটা কমেছে। তবে ডিএসইতে হাজার কোটি টাকার ওপরে লেনদেন হয়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৮ কোটি ৮ লাখ টাকা। যা আগের দিন ছিল ১ হাজার ১২৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এ হিসেবে লেনদেন কমেছে ৮০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক ৭ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে ৫৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৮৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১১৩টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১৪৪টির দাম কমেছে এবং ২৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: