ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বরিশালে অস্তিত্ব সংকটে থাকা ২২ খাল জলাবদ্ধতার কারণ

প্রকাশিত: ১৬:৫১, ১০ আগস্ট ২০২০

বরিশালে অস্তিত্ব সংকটে থাকা ২২ খাল জলাবদ্ধতার কারণ

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ নগরায়নের যুগে নগরীর ভেতর দিয়ে প্রবাহিত খালগুলো দিনদিন সংকুচিত হয়ে পরেছে। অবৈধ দখলদারিত্ব এবং দূষণের কবলে পরে জোয়ার-ভাটা প্রবাহিত খালগুলো ক্রমান্বয়ে সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। সূত্রমতে, এসব খালে শুকনো মৌসুমে পানির প্রবাহ যেমন থাকেই না, তেমনি অতিবর্ষণের সময় পানি নিস্কাশনের প্রধান অন্তরায় হয়ে ওঠে। ফলে বৃষ্টি এবং নদীতে অতিরিক্ত জোয়ার আসলেই জলমগ্ন হয়ে পরে গোটা নগরী। সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে মেগা প্রকল্পের আওতায় খাল খননের জন্য বরাদ্দ চেয়েছে বিসিসি। তবে অনুদান নির্ভর এই প্রকল্পের জন্য এখনও বরাদ্দ মেলেনি। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, জোয়ার ভাটা বিদ্যমান নগরীতে এমন খাল রয়েছে ২২টি। তবে কাগজে কলমে ২২টি খালের বিষয়টি উল্লেখ থাকলেও বাস্তবতা অনেকটাই ভিন্ন। অবৈধ দখলদারিত্বের কারণে ২২টি খালের অধিকাংশই এখন মৃতপ্রায়। দূষণের কবলে পরে জোয়ার-ভাটা প্রবাহিত খালগুলো ক্রমান্বয়ে সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। আর এর বিরূপ প্রভাব পরেছে বর্তমানে নগরীর জলাবদ্ধতার ক্ষেত্রে। সচেতন নগরবাসীর মতে, দখলদারদের কবল থেকে খালগুলো উদ্ধার করে জরুরি ভিত্তিতে তা খনন করা না হলে অচিরেই খালগুলো অস্তিত্ব হারাবে। অস্তিত্ব সংকটে থাকা খালগুলো হলো-নগরীর মধ্যকার জেল খাল, সাগরদী খাল, লাকুটিয়া খাল, আমানতগঞ্জ খাল, নাপিতখালী খাল, ভাটার খাল, ভাড়ানীর খাল, শোভারানীর খাল (চাঁদমারীর খাল), ভেদুরিয়া খাল, ইছাকাঠী এবং উত্তর কড়াপুর রাস্তা সংলগ্ন খাল, কলাডেমা খাল, নবগ্রাম খাল, হরিনাফুলিয়া খাল, পুডিয়া খাল, সাপানিয়া খাল, জাগুয়া খাল, উত্তর নবগ্রামের সাগরদী খাল, টিয়াখালী খাল, কাশিপুর খাল, ঝোড়াখালি খাল ও সোলনা খাল। স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বাঁধাগ্রস্ত হওয়ায় এসব খালগুলো এখন মৃত প্রায় রূপ ধারণ করেছে। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে বিসিসির সড়ক ও ড্রেন নির্মাণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, খাল উদ্ধার এবং সংরক্ষণের তিটি মেগা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছিল ২৫০ কোটি টাকা। তবে অনুদান নির্ভর এ প্রকল্পগুলোর বরাদ্দ মেলেনি। যেকারণে খালগুলো পূর্বের অবস্থাতেই রয়ে গেছে। আর এ কারণে অতিবৃষ্টি এবং নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নগরীতে ঢুকে পরায় পানি নামতে বিলম্ব ঘটছে। এ ব্যাপারে বিসিসি’র ১১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মজিবর রহমান বলেন, শুধুমাত্র আমার ওয়ার্ডের খালটিই নয়, নগরীর অন্যান্য খালগুলো ইতোমধ্যে সংস্কার এবং পুনঃখননের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। এজন্য তিনি জলবায়ু প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দও চেয়েছেন। এডিবির অর্থ বরাদ্দ পেলেই বিসিসি এ বিষয়ে কাজ শুরু করবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
×