ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দেয়ায় কেশবপুরে ৮ পরিবার অবরুদ্ধ

প্রকাশিত: ১৬:৪০, ১০ আগস্ট ২০২০

যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দেয়ায় কেশবপুরে ৮ পরিবার অবরুদ্ধ

নিজস্ব সংবাদদাতা, কেশবপুর ॥ কেশবপুরে প্রতিপক্ষ পৈত্রিক সম্পত্তি জবর দখল করে যাতায়াতের রাস্তা বেড়া দিয়ে ঘিরে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে কারনে গত কয়েকদিন ধরে ৮টি পরিবার অবরুদ্ধবস্থায় জীবন-যাপন করছেন। ক্ষতিগ্রস্ত সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে কেশবপুর থানায় এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার টিটাবাজিতপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম তার পিতা মোঃ সরোয়ার হোসেন শেখের প্রায় ৫০ বছর ধরে তার পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত কেশবপুর থানার ৫৮ নং টিটাবাজিতপুর মৌজার ৪৩০ খতিয়ানের ১৫২৮ ও ১৫৫৩ হাল দাগের ৪৭ শতক জমি ভোগ দখল করে আসছেন। প্রতিপক্ষ জিল্লুর রহমান গং প্রায় সময় তাদের দখলীয় সম্পত্তি জবর দখলের হুমকী দিয়ে আসছিল। স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে গত ৩ আগষ্ট উভয়পক্ষ আমিন দিয়ে উক্ত জমির মাপজোপ শুরু করেন। উপস্থিত গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সিদ্ধান্ত অমান্য করে সম্পত্তি ভাগবাটওয়ারার আগেই প্রতিপক্ষ জিল্লুর রহমান, মফিজুল ইসলাম, মোসলেম শেখ, রায়হান, আজগর আলী, আয়ুব আলী, ইউনুস ও ইসলাম শেখ সংঘবদ্ধ হয়ে তার পৈত্রিক জমির ৪৭ শতকের মধ্য থেকে ১৫ শতক জমি বাঁশের বেড়া দিয়ে জোর করে ঘিরে দেয়। ওই জমিতে থাকা বাঁশের ঝাড় ও বিভিন্ন প্রজাতির গাছের ডালপালা কেটে ও ভেঙ্গে নষ্ট করে দেয়। এতে সিরাজুল ইসলামের প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন। গত ০৮ আগষ্ট সকালে উক্ত জিল্লুর রহমান গং তাদের জমিতে থাকা বড় বড় শিশু, মেহেগনি ও জাম গাছ কেটে বিক্রি করার চেষ্টা করে। এ সময় তারা বাঁধা ও প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকী প্রদান করে। তাদের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে দেয়ায় সিরাজুল ইসলামসহ ৮টি পরিবার অবরুদ্ধ জীবন যাপন করছেন। অব্যাহত হুমকীর কারনে তাদের ৮টি পরিবারের পুরুষরা গত ৫ দিন ধরে বাড়ী ছাড়া রয়েছেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জিল্লুর রহমান জানান, উভয়পক্ষের আমিন দিয়ে জমি মাপজোপের পর ১৫ শতক জমি তাদের পাওনা হয়। উক্ত জমি তারা তাদের দখলে নিয়েছেন। তাছাড়া তাদের প্রাপ্য জমি ফেরৎ দিবে না বলে সিরাজুল গং একের পর এক তাদের বিরুদ্ধে থানাসহ বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ করছে। এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার ওসি জসিমউদ্দীন জানান, আমি ছুটিতে আছি। এ ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান।
×