ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ছাড়পত্র ছাড়াই প্রাথমিকে ভর্তির নির্দেশ

প্রকাশিত: ০০:১৩, ১০ আগস্ট ২০২০

ছাড়পত্র ছাড়াই প্রাথমিকে ভর্তির নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট মহামারীতে সঙ্কটে পড়ে যারা বসবাসের জায়গা বদলের কারণে কোন ধরনের ছাড়পত্র (টিসি) ছাড়াই বছরের যে কোন সময় সংশ্লিষ্ট এলাকার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় রবিবার এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করেছে। পরিপত্রটি প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তা ছাড়াও ডিসি ও ইউএনওদের পাঠিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ উদ্ভূত পরিস্থিতে সারা দেশের বিদ্যালয়গুলো বন্ধ রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বিভিন্ন কারণে ছাত্রছাত্রীরা বর্তমানে শহর ছেড়ে গ্রামে অবস্থান করছেন। পরিপত্রে আরও বলা হয়, গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী কিছু কিন্ডারগার্টেন স্কুল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ফলে ছাত্রছাত্রীরা বিদ্যালয়বিহীন হয়ে পড়তে পারে। ‘এই পরিস্থিতি বিবেচনা করে শিক্ষার্থীরা যাতে বিদ্যালয়হীন হয়ে ঝরে না পড়ে সেজন্য ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের বছরের যে কোন সময় তাদের বাসস্থানের সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের আওতাধীন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি কার্যক্রম গ্রহণের অনুরোধ করা হলো।’ পরিপত্রে বলা হয়েছে, যে শিক্ষার্থী ভর্তি হবে সে যে বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছিল তার আইডি কার্ড, বেতন বই, স্লিপ, ক্লাস ডায়েরি, বইপুস্তক বা খাতাপত্র সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক যাচাই করবেন। এক্ষেত্রে কোন ছাত্রপত্র (টিসি) প্রয়োজন হবে না। প্রাথমিকের ক্লাস টিভির পর এবার রেডিওতে ॥ মহামারীর মধ্যে পাঠদানের ধারাবাহিকতা রাখতে সংসদ টিভির পাশাপাশি বেতারের মাধ্যমে প্রাথমিকের ক্লাস সম্প্রচার করতে যাচ্ছে সরকার। আগামী ১২ আগস্ট থেকে বাংলাদেশ বেতারের এএম-৬৯৩ মেগাহার্জে এবং এফএম ব্যান্ড ও কমিউনিটি রেডিওতে এই ক্লাসের সম্প্রচার শুরু হবে জানিয়ে রবিবার আফিস আদেশ জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। রবি থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা ৫ মিনিট থেকে বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত এই ক্লাস সম্প্রচার করা হবে। এখন ইউনেস্কোর সহযোগিতায় দূর শিক্ষণ পদ্ধতিতে রেডিওতে ‘ঘরে বসে শিখি’ স্লোগানে ক্লাস সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভিসি ও প্রো-ভিসির শূন্যপদ পূরণে নাম চাইল মন্ত্রণালয় ॥ অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারের পদ শূন্য রয়েছে। শীঘ্রই এসব শূন্যপদ পূরণের উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি। এই লক্ষ্যে ৩১ আগস্টের মধ্যে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ সিনিয়র প্রফেসরদের নামের তালিকা ও জীবন বৃত্তান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর জন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। মন্ত্রী রবিবার দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি ও কোষাধ্যক্ষের শূন্যপদ পূরণের ব্যবস্থা নেয়া সংক্রান্ত এক ভার্চ্যুয়াল মিটিংয়ে সভাপতির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান। শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ মাহবুব হোসেনসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তারা মিটিংয়ে যুক্ত ছিলেন।
×