বঙ্গবন্ধু হত্যায় জিয়াসহ যারা যুক্ত তাদের মুখোশ উন্মোচন করা প্রয়োজন ॥ তথ্যমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনীদের দেশে ফেরত এনে বিচারের রায় কার্যকর করা মুজিব শতবর্ষে আমাদের প্রত্যয়। একইসঙ্গে জিয়াউর রহমানসহ যারা এরসঙ্গে যুক্ত তাদের মুখোশ জনগণের সামনে উন্মোচন করা প্রয়োজন। পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী, নীলনক্সা প্রণয়নকারীদের মরণোত্তর বিচারের দাবি জানিয়েছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মুরাদ হাসান। রবিবার সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রীর ক্লিনিক ভবনের সামনে শোক দিবস উপলক্ষে ‘আলোকচিত্র, ডিজিটাল ডিসপ্লে ও সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধু’ সপ্তাহব্যাপী প্রদর্শনী উদ্বোধনকালে মন্ত্রীদ্বয় এই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মুরাদ হাসান, তথ্য সচিব কামরুন নাহার, সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবাহান চৌধুরীসহ তথ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে মন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর আলোকচিত্র ও ডিজিটাল ডিসপ্লে উদ্বোধন করেন। পরে মূল অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। অলোচনা অনুষ্ঠান শেষে তিনি সচিবালয় ক্লিনিক ভবনের সামনে আয়োজিত সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধু শীর্ষক সপ্তাহব্যাপী প্রদর্শনী পরির্দশন করেন। এ সময় তথ্য প্রতিমন্ত্রী, সচিবসহ উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে অন্যায়ের প্রতিকার করতে হয়। সেজন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বিচার হয়েছে। বিচারের রায় কার্যকরও হয়েছে। এই মুজিব শতবর্ষে আমাদের প্রত্যয় হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর যেসব পলাতক খুনী এখনও পৃথিবীর যেসব জায়গায় পালিয়ে আছে, তাদের বাংলাদেশে ফেরত এনে বিচারের রায় কার্যকর করা। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে একটি উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে রূপান্তর করার জন্য কাজ শুরু করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে যে বছর হত্যা করা হয় সে বছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭.৪ শতাংশ। যেটি আমরা ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বঙ্গবন্ধুর কন্যার নেতৃত্বে অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছি। চার দশক পড়ে সেটা সম্ভব হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে যে বছর হত্যা করা হয় সে বছর ১০ হাজার মেট্রিক টন বেশি খাদ্য উৎপাদন হয়েছিল। হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠন করে যখন সমৃদ্ধির পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন তাকে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে রূপান্তর করতে পারেননি। তবে তার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণের পথে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশ খাদ্য ঘাটতির দেশ ছিল, সেদেশ এখন খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশ। স্বল্প উন্নত দেশের তালিকাভুক্ত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। এদিকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী, নীলনক্সা প্রণয়নকারীদের মরণোত্তর বিচারের দাবি জানিয়েছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মুরাদ হাসান। তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার যারা মূল পরিকল্পনাকারী, নীল নক্সা প্রণয়নকারী তাদের মুখোশ বাঙালী জাতির সামনে উন্মোচিত করতে হবে। এ সময় এ দেশের একজন নাগরিক ও বঙ্গবন্ধুর এই দেশের একজন সন্তান হিসেবে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার মূল পরিকল্পনাকারীদের মরণোত্তর বিচারের দাবি জানান ডাঃ মুরাদ হাসান। মুরাদ হাসান বলেন, ‘আগামী ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকীতে, জাতীয় শোক দিবসে আমাদের বাঙালী জাতির এবার একটাই শপথ থাকবে- বঙ্গবন্ধুর পলাতক হত্যাকারী খুনীরা, আত্মস্বীকৃত খুনীরা বিদেশের মাটিতে পলাতক রয়েছেন, তাদের যথাযথ আইনী প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে দেশে ফিরিয়ে এনে হাইকোর্ট কর্তৃক যে দণ্ডাদেশ ঘোষিত হয়েছে সেই রায় কার্যকর করতে হবে।