ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আরও ৩৪ জনের মৃত্যু

শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৭ শতাংশের ওপরে

প্রকাশিত: ২২:০৫, ১০ আগস্ট ২০২০

শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৭ শতাংশের ওপরে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ৩৪ জনের মৃত্যু এবং শনাক্ত হয়েছেন নতুন ২৪৮৭ জন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ৩৩৯৯ এবং আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২ লাখ ৫৭ হাজার ৬০০ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হওয়া ১৭৬৬ জনসহ এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৪৮ হাজার ৩৭০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ হাজার ৭৫৯টিসহ এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ লাখ ৬০ হাজার ৩১৯টি। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ১২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৭ দশমিক ৬০ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩২ শতাংশ। রবিবার দুপুরে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডাঃ নাসিমা সুলতানা। তিনি বলেন, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩৪ জনের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৬ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৬ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৪ জন এবং ২১ থেকে ৩০ বছর একজন রয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬ জন, খুলনা বিভাগে ৭ জন, রাজশাহী বিভাগে ৪ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে একজন এবং রংপুর বিভাগে ২ জন রয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৬২৮ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৮ হাজার ৯৪০ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৭১৩ জন, এখন পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৭২৭ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশন করা হয়েছে ৫৬ হাজার ৬৬৭ জনকে। তিনি আরও জানান, প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম মিলে ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে ২ হাজার ৫৬ জনকে। কোয়ারেন্টাইন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড়া পেয়েছেন ২ হাজার ২৫৮ জন, এখন পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন ৩ লাখ ৯৯ হাজার ৬৩৮ জন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে ৪ লাখ ৫২ হাজার ৩৭৮ জনকে। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৫২ হাজার ৭৪০ জন। অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, এ পর্যন্ত যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের বয়স এবং শতকরা হারে দেখা গেছে, শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে ১৮ জন, যা দশমিক ৫৪ শতাংশ; ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ৩৩ জন, যা দশমিক ৯৯ শতাংশ; ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৮৭ জন, যা দুই দশমিক ৬১ শতাংশ; ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২১৪ জন, যা ছয় দশমিক ৪২ শতাংশ; ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৪৬২ জন, যা ১৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ; ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৯৫৩ জন, যা ২৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং ষাট এর অধিক বয়সের রয়েছেন এক হাজার ৫৬৬ জন, যা ৪৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ। ডাঃ নাসিমা সুলতানা জানান, সারাদেশে করোনা রোগীদের জন্য সাধারণ শয্যা সংখ্যা ১৫ হাজার ২৪৮টি, সাধারণ শয্যায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৪০৪৪ জন এবং খালি ১১ হাজার ২০৪টি শয্যা। এর মধ্যে ঢাকা শহরের হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৭০৩২টি, ভর্তি রোগী ২১১২ জন এবং শয্যা খালি আছে ৪৯২০টি। চট্টগ্রাম মহানগরীতে সাধারণ শয্যার সংখ্যা ৭৮২টি, ভর্তিকৃত রোগী ২৩৫ জন এবং খালি রয়েছে ৫৪৭টি শয্যা। দেশের অন্যান্য হাসপাতালে সাধারণ শয্যার সংখ্যা ৭৪৩৪টি, ভর্তিকৃত রোগী ১৬৯৭ জন এবং খালি রয়েছে ৫৭৩৭টি শয্যা।
×