ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আইসোলেশন সেন্টার পরিদর্শনকালে মেয়র আতিক

মহাখালীর ডিএনসিসি মার্কেটকে আরবান হাসপাতাল করা হবে

প্রকাশিত: ২১:১৯, ১০ আগস্ট ২০২০

মহাখালীর ডিএনসিসি মার্কেটকে আরবান হাসপাতাল করা হবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর মহাখালীর ডিএনসিসি মার্কেটকে ৫০০ শয্যার আরবান হাসপাতালে রূপান্তরের পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। বর্তমানে এটি করোনা আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। রবিবার মহাখালীতে এ সেন্টরটি সরেজমিনে পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা জানান। এ সময় মেয়র আইসোলেশন সেন্টারটি ঘুরে দেখেন এবং কোভিড টেস্ট করাতে আসা মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। আইসোলেশন সেন্টারের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জুবায়েদুর রহমান, আর্মড ফোর্স ডিভিশনের মহাপরিচালক (অপারেশন এ্যান্ড প্ল্যানিং) এ এন এম মঞ্জুরুল হক মজুমদার, ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন, আঞ্চলিক কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল বাকী, স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শন শেষে আতিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ডিএনসিসি মার্কেট মূলত পাইকারী কাঁচাবাজারের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু বিভিন্ন কারণে এটি বাজারে বাস্তবায়ন করা যায়নি। তিনি বলেন, ডিএনসিসির নিজস্ব কোন হাসপাতাল নেই। সিটি কর্পোরেশন যখন দুই ভাগ হয়, তখন এর তিনটি হাসপাতালই দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে পড়েছে। মার্চের শুরুতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিলে আমরা বলেছিলাম, প্রয়োাজন হলে এই মার্কেটকে আইসোলেশন সেন্টারে রূপান্তর করা হবে। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এটি আর্মড ফোর্স ডিভিশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আর্মড ফোর্স ডিভিশন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের সঙ্গে আমি একটি মিটিং করে কাজ শুরু করি। মেয়র বলেন, যারা বিদেশ যাচ্ছেন, তারা করোনা পরীক্ষা নিয়ে সমস্যার মধ্যে থাকেন। তাই এই মার্কেটটিকে পরবর্তীতে কোভিড টেস্টের জন্য রূপান্তর করা হয়। যারা বিদেশ যাবেন, তারা যাতে করোনা টেস্টের সনদ নিতে পারেন। এ ধরনের একটি প্ল্যাটফর্ম প্রয়োজন। আমরা এখান থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোভিড টেস্টের ফল দেয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করি। প্রথম দিন ২০ জুলাই এখানে ১২৩ জন পরীক্ষা করতে এসেছিল। আমাদের একটা পরিকল্পনা ছিল যারা বিদেশ যাবেন তারা যেন নির্বিঘ্নে, কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই করোনা টেস্ট করতে পারেন। বর্তমানে এখানে প্রতিদিন দুই থেকে তিন হাজার করোনা টেস্ট করা যায়। এই ক্যাপাসিটি আমরা অর্জন করেছি। এখানে সমগ্র দেশ থেকেই মানুষ আসে করোনা পরীক্ষা করার জন্য। মানুষ যতই অনলাইনে ফরম ফিলাপ করে অনলাইনে টাকা জমা দিতে পারে, সে ব্যবস্থা করার জন্য আমি নির্দেশ দিয়েছি। আমরা চাই নগরবাসীকে যথাসম্ভব কষ্ট কম দিতে। আতিকুল ইসলাম আরো বলেন, ৭.১৭ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত এই মার্কেটটির আয়তন ১ লাখ ৮০ হাজার ৫৬০ বর্গফুট। যেহেতু ডিএনসিসির কোন ধরনের আরবান হাসপাতাল নেই, এটিকে আরবান হাসপাতালে রূপান্তর করার পরিকল্পনা করছি। এই ভবনকে আমরা যদি আরবান হাসপাতালে রূপান্তর করতে পারি, তাহলে নগরবাসীর জন্য অনেক সুবিধা হবে।
×