ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

গাইবান্ধায় দীর্ঘস্থায়ী বন্যার কারণে চরাঞ্চলে মরিচের ব্যাপক ক্ষতি

প্রকাশিত: ১৬:১০, ৯ আগস্ট ২০২০

গাইবান্ধায় দীর্ঘস্থায়ী বন্যার কারণে চরাঞ্চলে মরিচের ব্যাপক ক্ষতি

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা ॥ এ বছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় গাইবান্ধার ফুলছড়ি, সাঘাটা, সুন্দরগঞ্জ ও সদর উপজেলার বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে প্রতিবারের ন্যায় এবারও ব্যাপক মরিচের চাষ করা হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী বন্যার কারণে জমিতেই মরিচের গাছ পচে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে মরিচ উৎপাদন আশংকাজনক হারে হ্রাস পেয়েছে। ফলে বাজারে মরিচের আমদানি কমে যাওয়ায় অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে মরিচ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মরিচ চাষিরা চরম বিপাকে পড়েছে। বর্তমানে গাইবান্ধা জেলার হাট-বাজারে এখন প্রতিকেজি কাঁচা মরিচের দাম ২০০ থেকে ২১০ টাকা। এছাড়া পাইকারি প্রতিকেজি মরিচের দাম ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। অথচ ইতোপূর্বে এই মৌসুম সময়ে প্রতিকেজি মরিচের খুচরা মূল্য ছিল ২০ থেকে ৩০ টাকা। গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র নদীর কোল ঘেঁষে ওঠা চরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় হাট ফুলছড়ি এখন মরিচের হাট নামে খ্যাতি অর্জন করেছে। কিন্তু এবার এই হাটে মরিচের আমদানি অনেক কম। তদুপরি দামও অনেক বেশী। এদিকে করোনা ভাইরাসের কারণে বগুড়া, জয়পুরহাটসহ অন্যান্য জেলা থেকে কাঁচা মরিচের আমদানিও হচ্ছে কম। ফলে হাট-বাজারে মরিচের দাম কমছে না। এতে ক্রেতারা পড়েছে বিপাকে। কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, এখন এ জেলার চরাঞ্চলগুলোতে প্রতিবছর মরিচের চাষ হয় অনেক বেশী। ফলে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত মরিচ দিয়ে জেলার চাহিদা পূরণ হতো। কিন্তু এবার বন্যায় মরিচের ক্ষতি হওয়ায় পার্শ্ববর্তী বগুড়া, জয়পুরহাট ও নওগাঁ থেকে মরিচ আমদানী করে চাহিদা মেটালেই বাজারে মরিচের দামে সামঞ্জস্য ফিরে আসবে।
×