ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মানুষের কাছে নগদ অর্থের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশিত: ২৩:২৩, ৯ আগস্ট ২০২০

মানুষের কাছে নগদ অর্থের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ করোনায় ব্যবসা-বাণিজ্যের মন্দাবস্থা। কাজ নেই, বেকার হচ্ছে অনেক মানুষ। আবার অনেকের কাজ আছে কিন্তু নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন না। ফলে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা সংসারের খরচ মেটাতেই এখন হিমশিম খাচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে টাকা ব্যাংকে না জমিয়ে তুলে ফেলছে মানুষ। আবার অনেকে মহামারীতে নিজের হাতে টাকা রাখতেই পছন্দ করছেন। এর ফলে গত ছয় মাসে ব্যাংকবহির্ভূত জনগণের হাতে নগদ অর্থের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা কাছাকাছি হয়ে গেছে। অর্থনীতিবিদরা বলছে, করোনায় ব্যবসা-বাণিজ্যের মন্দা, আর্থিক সঙ্কট, আমানতের সুদহার কম হওয়ায় মানুষের সঞ্চয় কমে গেছে। আবার যাদের অর্থ আছে তারাও নিজের হাতে টাকা রাখতেই পছন্দ করছেন। তবে এটা অর্থনীতির জন্য খুব ভাল নয়। ব্যাংকে টাকা না রাখলে আমানত কমে যায়। এতে করে ব্যাংকগুলোর ঋণ দেয়ার সক্ষমতা কমে যায়। ফলে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হয়। কর্মসংস্থান কমে যায়। পাশাপাশি অর্থের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে জুন পর্যন্ত ব্যাংকবহির্ভূত অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৯২ হাজার ৩৮৪ কোটি টাকা। যা আগের বছর একই সময় ছিল এক লাখ ৫৪ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরে ব্যাংকবহির্ভূত টাকার পরিমাণ বেড়েছে ৩৮ হাজার ৯৭৪ কোটি টাকা। সেই হিসাবে বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ২৪.৬৯ শতাংশ। এর মধ্যে দেশে মহামারী করোনা প্রাদুর্ভাবের সময়ে অর্থাৎ এপ্রিল থেকে জুন এ তিন মাসেই বেড়েছে ১৯ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা। এ প্রসঙ্গে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, মানুষের এখন আয় রোজগার নেই। জমানো টাকা ভেঙে জীবিকা নির্বাহ করতে হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকবে পরিস্থিতি উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত। তবে এটা খুব শিগগিরই স্বাভাবিক হবে তা বলা যাচ্ছে না। এ কারণে মানুষ আপতকালীন সময়ে নগদ টাকা হাতে রাখছেন। এছাড়া ব্যাংকের সুদ হার অনেক কমানো হয়েছে।
×