ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

কারাগার থেকে পালানো কয়েদির সন্ধান মেলেনি, তদন্ত কমিটির কার্যক্রম শুরু

প্রকাশিত: ২৩:০৪, ৯ আগস্ট ২০২০

কারাগার থেকে পালানো কয়েদির সন্ধান মেলেনি, তদন্ত কমিটির কার্যক্রম শুরু

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে নিখোঁজ হওয়া যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি আবু বকর সিদ্দিকের খোঁজ শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তাকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন। এদিকে এ ঘটনায় গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির সদস্যরা তদন্ত কাজ শুরু করেছেন। তারা শনিবার দিনভর কারাগার এলাকা পরিদর্শন করেছেন। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২’র সিনিয়র সুপার জাহানারা বেগম জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লকআপের সময় বন্দীদের গণনাকালে একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি আবু বকর সিদ্দিককে পাওয়া যায়নি। কারাগারের ভেতরে বিভিন্ন সেল ও ওয়ার্ডসহ আশপাশের এলাকা তন্ন তন্ন করে খোঁজা হয়। এমনকি কারাগারের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে তা পর্যবেক্ষণ করা হলেও কোথাও তার সন্ধান মেলেনি। এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে কারা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোনাবাড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কারাগারের জেলার বাহারুল আলম এ মামলার বাদী হয়েছেন। পলাতক ওই কয়েদিকে আটক করতে পুলিশ ও র‌্যাবসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গাজীপুরসহ বিভিন্নস্থানে অভিযান চালাচ্ছে। কিন্তু শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তার হদিস পাওয়া যায়নি। এদিকে এ ঘটনায় তদন্তের জন্য গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যে তদন্ত কাজ শুরু করেছেন। কমিটির সদস্যরা শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গাজীপুরে কাশিমপুরের এ কারাগারে আসেন। তারা দিনভর কারাগার এলাকা পরিদর্শন করেন এবং কারাগারের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করেন। এসময়ে তারা কারা কর্মকর্তা-কারা রক্ষী ও বন্দীসহ বিভিন্নজনের সঙ্গে কথা বলেন। অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল আবরার হোসেন এ তদন্ত কমিটির প্রধান। তিন সদস্যের এ কমিটির অন্যরা হলেন- ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি (প্রিজন্স) তৌহিদুর রহমান ও মানিকগঞ্জ কারাগারের জেলার বিকাশ রায়হান। তদন্ত শেষে এ কমিটিকে তিন কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল আবরার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, তদন্তের কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। কারাগার থেকে কয়েদি কিভাবে পালিয়ে গেছে, ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত, কারা দায়ী- আমরা সে বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি ও তদন্ত করছি। আমরা তদন্তের প্রাথমিক কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি। অল্প সময়ের মধ্যেই বাকি কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। তদন্ত কার্যক্রম শেষ হলেই সবকিছু জানা যাবে। তাই তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে এ মুহূর্তে কোন তথ্য জানানো সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, নতুন করে কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এব্যাপারে তদন্ত কমিটি সুপারিশ করবে। তিনি বিকেলে গাজীপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের গেটে এসব কথা বলেন।
×