ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ঘরে বসে উঁকি দিয়ে সরকারের সমালোচনা করবেন না ॥ তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২৩:০১, ৯ আগস্ট ২০২০

ঘরে বসে উঁকি দিয়ে সরকারের সমালোচনা করবেন না ॥ তথ্যমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, বিএনপির নেতারা ঘরে বসে জুম মিটিংয়ে টেলিভিশনে উঁকি দেন। তারা ঘর থেকে বের হন না। আর যারা ঘরের মধ্যে বসে বসে উঁকি দেন, সরকারের সমালোচনা করেন তাদের বলব-ঘরে বসে উঁকি দিয়ে সরকারের সমালোচনা করবেন না। জনগণের পাশে দাঁড়ান। শনিবার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কৃষকলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপিকে কৃষকলীগ থেকে শেখার আহ্বান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা কৃষকলীগ থেকে শিখুন। ধান কাটার সময় অসহায় কৃষকের পাশে দাঁড়িয়ে কৃষকলীগ ধান কেটেছে। বিএনপিকে দেখা যায়নি। শুধু কেটেছে নয়, মাথায় করে কৃষকের বাড়িতে ধান পৌঁছে দিয়েছেন। এই কাজটি তো বিএনপি করেনি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি দিনও ঘরে বসে নেই। তিনি সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। দলের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। তার সঠিক নেতৃত্বের কারণে সরকার আল্লাহর রহমতে করোনাভাইরাসকে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। যদি আমরা সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি তাহলে ভবিষ্যতে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে পারব। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশে নানান ধরনের বিশেষজ্ঞ আছে। কিছু সত্যিকার বিশেষজ্ঞ, কিছু বিশেষ কারণে অজ্ঞ বিশেষজ্ঞ, আবার কিছু সব বিষয়ে বিশেষজ্ঞ। করোনা পরিস্থিতি যখন শুরু হলো তখন এই বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ অনাহারে মৃত্যুবরণ করবে! তাদের আকাক্সক্ষাকে ভুল প্রমাণিত করে, শেখ হাসিনার সঠিক নেতৃত্বের কারণে কেউ অনাহারে মৃত্যুবরণ করেনি। তথ্যমন্ত্রী বলেন, যে সমস্ত বিশেষজ্ঞ রাত ১২টার পরে টেলিভিশনের পর্দা ফাটিয়ে দেন। আর যে সমস্ত সুশীল নেতৃবৃন্দ শুধু পরামর্শ দেন আর ভুল ধরেন। আমি তাদের নাম দিয়েছি ভুল ধরার পার্টি। তাদের কাজ হচ্ছে শুধু ভুল ধরা। এখন তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এক মুঠো চাল নিয়েও কারও কাছে যাননি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি করোনা সঠিকভাবে মোকাবেলা না করতে পারতেন, তবে মৃত্যুর হার তো ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে বেশি হতো। বক্তব্যের শুরুতে ১৫ আগস্টে নিহত সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংসার পেতে ছিলেন কিন্তু সংসার করেননি। তিনি সংসার হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন এই পুরো জাতিকে। বাঙালী জাতি ছিল তাঁর সংসার। আর সেই সংসারকে ধরে রেখেছিলেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিল্লাতুন্নেছা। শুধু সংসার ধরে রেখেছিলেন তা নয়, বঙ্গমাতা শেখ ফজিল্লাতুন্নেছা বঙ্গবন্ধু যখন জেলে থাকতেন তখন দলটাকে ধরে রেখেছেন। বঙ্গবন্ধুর জীবনে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ এসেছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিল্লাতুন্নেছার কাছ থেকে। কৃষকলীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী। সভায় পরিচালনা করেন কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট উম্মে কুলছুম স্মৃতি এমপি।
×