ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

টাকা-পয়সার লেনদেনের জেরে আবাসন ব্যবসায়ী আবুল খায়ের খুন

প্রকাশিত: ২২:৪৩, ৯ আগস্ট ২০২০

টাকা-পয়সার লেনদেনের জেরে আবাসন ব্যবসায়ী আবুল খায়ের খুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ টাকা-পয়সার লেনদেনের জের ধরে রাজধানীর ভাটারার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় আবাসন ব্যবসায়ী আবুল খায়েরকে (৫২) খুন করা হয়েছে। নিহতের মোবাইল কললিস্ট ও আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের পর হত্যাকারীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। এদিকে এই হত্যাকা-ের ঘটনায় অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামির বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় হত্যা করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হত্যাকারীরা পুলিশের নাগালের মধ্যে রয়েছে বলে ভাটারা থানার ওসি মোহাম্মদ মোক্তারুজ্জামান জনকণ্ঠকে জানান। ওসি মোহাম্মদ মোক্তারুজ্জামান জানান, শুক্রবার রাতে নিহত আবুল খায়েরের মেয়ে খাদিজা আক্তার স্বর্ণা বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, রাজধানীর ভাটারার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বাসা থেকে ডেকে নিয়ে আবুল খায়ের (৫২) নামে এক আবাসন ব্যবসায়ীকে হত্যা করা হয়। তিনি সজীব বিল্ডার্স নামের একটি ডেভেলপার কোম্পানির মালিক। শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে পুলিশ বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এম ব্লকে ওই কোম্পানির অধীনে নির্মাণাধীন একটি ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তার লাশের ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীতে দাফন করা হয় বলে তার ছোট ভাই আব্দুল বারী বাবলু জানান। ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, আবুল খায়েরের মাথার পেছনে কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। এতে তার মাথার মগজ বের হয়ে গেছে। ঘটনার পর তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। লেনদেনের জের ধরে এই খুনের ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। অচিরেই হত্যাকারীদের গ্রেফতার করা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্তি করেন। ডিসি সুদীপ জানান, নির্মাণাধীন যে ভবনে আবুল খায়েরের লাশ পাওয়া যায়, সেটির মালিক তিনিসহ মোট নয়জন। চারতলা পর্যন্ত ছাদ ঢালাইয়ের পর গত ফেব্রুয়ারি থেকে ভবনের কাজ বন্ধ ছিল। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার আবুল খায়ের এক সময় ঠিকাদারিতে যুক্ত ছিলেন। বছর দশেক আগে নিজেই আবাসন ব্যবসা শুরু করেন। নিজের ছেলের নামে কোম্পানির নাম ‘সজীব বিল্ডার্স’ রাখেন। তার মেয়ে খাদিজা আক্তার স্বর্ণা একটি মেডিক্যাল কলেজে পড়ছেন। নিহতের ছোট ভাই আব্দুল বারী বাবলু জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে একটি ফোন পেয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে বেরিয়েছিলেন খায়ের। রাতে ভাই আর বাসায় ফিরে আসেননি। ফোনও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। বিষয়টি ভাটারা থানায় জানানো হয়েছিল। এরপর শুক্রবার সকালে ওই নির্মাণাধীন ভবনের সামনে আবুল খায়েরের মোটরসাইকেলটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে পুলিশ ভবনের দোতলার ছাদে আবুল খায়েরের মৃতদেহ পায়। বাবলু বলেন, শনিবার ভাই আবুল খায়েরের মৃতদেহ গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সুবর্ণচরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
×