ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

‘নগদ’র মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেলেন ১৩০০ দুস্থ নারী

প্রকাশিত: ২২:৪৩, ৯ আগস্ট ২০২০

‘নগদ’র মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেলেন ১৩০০ দুস্থ নারী

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মদিন উদ্যাপনের অংশ হিসেবে ১৩০০ দুস্থ নারীকে ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সেবা ‘নগদ’র মাধ্যমে ২০০০ টাকা করে উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার সকালে গণভবনে এক অনুষ্ঠান থেকে ৬৪ জেলার এসব দুস্থ নারীকে উপহারের অর্থ দেন প্রধানমন্ত্রী। খবর বাংলানিউজের। অনুদানের টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে পুরো খরচ বহন করেছে দেশের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সেবা ‘নগদ’। এক্ষেত্রে প্রতিজন দুস্থ নারী তাদের প্রাপ্ত ২০০০ টাকা ক্যাশ আউট করার চার্জ হিসাবে অতিরিক্ত ৩৫ টাকা করে নিজেদের ‘নগদ’ এ্যাকাউন্টে পেয়েছেন। বাড়তি এই খরচও বহন করেছে ‘নগদ’। দুস্থ নারীর সংখ্যা নির্ধারণ এবং বাছাইয়ের পুরো কাজ করেছে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জাতীয় মহিলা সংস্থা। বঙ্গমাতার জন্মদিনের এমন একটি মহতী উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরে গোটা ‘নগদ’ পরিবার গর্বিত বলেও জানান ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ মিশুক। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের চাওয়া-পাওয়াকে অগ্রাধিকার দিয়ে ‘নগদ’ সব সময় জনবান্ধব সব সেবা দিয়ে আসছে। আর সে কারণে অন্যান্য মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল অপারেটগুলো খরচের ভয়ে যেখানে সুবিধাবঞ্চিত জনগণের জন্য সেবামূলক কাজে যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে অনাগ্রহী সেখানে ‘নগদ’ সব সময়ই জনহিতকর এসব কাজে সরকারের পাশে দাঁড়াচ্ছে। আমাদের এমন অনুসরণীয় কাজের ফলে দেশের প্রতিটি প্রান্তের মানুষের কাছে ডিজিটাল আর্থিক সেবার সুবিধা দ্রুততার সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ছে যা সর্বোপরি প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ রূপকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখছে বলে আমার বিশ্বাস। উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, এমপিসহ মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য (এমপি) মেহের আফরোজ চুমকি, সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এমপি এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী রওশন আক্তারসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে করোনার কারণে কাজ হারানো ৫০ লাখ পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান দেন প্রধানমন্ত্রী। যার মধ্যে ১৭ লাখ পরিবারকেই ‘নগদ’র মাধ্যমে অনুদানের অর্থ পাঠানো হয়। সেখানেও ক্যাশ আউট খরচের বড় একটি অংশ ‘নগদ’ বহন করে। তাছাড়া করোনার মতো এমন অতিমারীর সময়েও যাতে দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য তুলনামূলক কম খরচে চলতে পারে সেজন্যে ‘নগদ’ পাঁচ ধরনের ব্যবসায়ীদের ক্যাশ-আউট চার্জ হাজারে মাত্র ছয় টাকা নির্ধারণ করেছে, যা বাজারে প্রচলিত অন্যান্য অপারেটরের খরচের এক-তৃতীয়াংশের চেয়েও কম। গত বছর ২৬ মার্চ ডাক বিভাগের ডিজিটাল আর্থিক লেনদেনের সেবা হিসেবে ‘নগদ’ এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। তারপর থেকে একের পর এক নতুন নতুন সেবা চালু করে দেশের ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সেবার খাতে একচেটিয়াত্ব ভেঙে বিপ্লব এনে দিয়েছে ‘নগদ’।
×