ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

করোনায় আরও ৩২ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত: ২২:৪১, ৯ আগস্ট ২০২০

করোনায় আরও ৩২ জনের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ৩২ জনের মৃত্যু এবং শনাক্ত হয়েছেন নতুন ২৬১১ জন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ৩৩৬৫ এবং আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২ লাখ ৫৫ হাজার ১১৩ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০২০ জনসহ এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৪৬ হাজার ৬০৪ জন। ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ৭৩৭টিসহ এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ লাখ ৪৯ হাজার ৫০৭টি। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২২.২৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৭.৪৭ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.৩২ শতাংশ। শনিবার দুপুরে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডাঃ নাসিমা সুলতানা। তিনি বলেন, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩২ জনের মধ্যে পুরুষ ২৫ জন এবং নারী ৭ জন। তাদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৪ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৪ জন, ২১ থেকে ৩০ বছর একজন রয়েছেন। বিভাগ বিশ্লেষণে দেখা যায়, তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৬ জন, চট্টগ্রামে ৪ জন, খুলনায় ৫ জন, রাজশাহীতে ৪ জন, বরিশালে একজন এবং সিলেটে ২ জন রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ৩১ জন এবং বাড়িতে একজন মারা গেছেন। অধ্যাপক ডাঃ নাসিমা সুলতানা আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৮৬৪ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৯ হাজার ২৫ জন। আইসোলেশন থেকে ২৪ ঘণ্টায় ৪৯০ জন এবং এখন পর্যন্ত ৩৭ হাজার ১৪ জন ছাড় পেয়েছেন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশন করা হয়েছে ৫৬ হাজার ৩৯ জনকে। আর প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টাইন মিলে ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে ২ হাজার ১৮৪ জনকে। কোয়ারেন্টাইন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৮৫১ জন এবং এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৩৮০ জন ছাড় পেয়েছেন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে ৪ লাখ ৫০ হাজার ৩৩২ জনকে। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৫২ হাজার ৯৪২ জন। অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, এ পর্যন্ত যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের বয়স এবং শতকরা হারে দেখা গেছে, শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে ১৮ জন, যা দশমিক ৫৪ শতাংশ; ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ৩৩ জন, যা দশমিক ৯৯ শতাংশ; ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৮৭ জন, যা ২.৬১ শতাংশ; ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২১৪ জন, যা ৬.৪২ শতাংশ; ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৪৬২ জন, যা ১৩.৮৬ শতাংশ; ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৯৫৩ জন, যা ২৮.৫৯ শতাংশ এবং ষাটের অধিক বয়সের রয়েছেন এক হাজার ৫৬৬ জন, যা ৪৬.৯৮ শতাংশ। ডাঃ নাসিমা সুলতানা জানান, সারাদেশে করোনা রোগীদের জন্য সাধারণ শয্যা সংখ্যা ১৫ হাজার ২৪৮টি, সাধারণ শয্যায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৪০৪৪ জন এবং খালি ১১ হাজার ২০৪টি শয্যা। এর মধ্যে ঢাকা শহরের হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৭০৩২টি, ভর্তি রোগী ২১১২ জন এবং শয্যা খালি আছে ৪৯২০টি। চট্টগ্রাম মহানগরীতে সাধারণ শয্যার সংখ্যা ৭৮২টি, ভর্তিকৃত রোগী ২৩৫ জন এবং খালি রয়েছে ৫৪৭টি শয্যা। দেশের অন্যান্য হাসপাতালে সাধারণ শয্যার সংখ্যা ৭৪৩৪টি, ভর্তিকৃত রোগী ১৬৯৭ জন এবং খালি রয়েছে ৫৭৩৭টি শয্যা। অতিরিক্ত মহাপরিচালন জানান, এ পর্যন্ত যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৬১৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৭৯৮ জন, রাজশাহী বিভাগে ২০৯ জন, খুলনায় ২৫২ জন, বরিশালে ১৩২ জন, সিলেটে ১৫৮ জন, রংপুর বিভাগে ১৩২ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৭১ জন। অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডাঃ নাসিমা সুলতান বলেন, বিনীতভাবে আবারও অনুরোধ জানাব, যেকোন লক্ষণ, উপসর্গ থাকলে অবশ্য নিকটস্থ নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্রে গিয়ে নমুনা দেবেন এবং পরীক্ষা করাবেন। এই করোনাভাইরাসকে মোকাবেলা করার জন্য নমুনা পরীক্ষা করা অনেক বেশি জরুরী। যত বেশি আমরা নমুনা পরীক্ষা করতে পারব, তত বেশি এই রোগ প্রতিরোধ করা সহজ হবে। কাজেই আপনারা এই রোগ গোপন করবেন না। জ্বর, কাশিকে সামান্য মনে করবেন না। জ্বর, কাশি হলেই আপনারা নমুনা পরীক্ষা করতে দেবেন। উপজেলা, জেলাসহ সব জায়গায় নমুনা পরীক্ষা করার ব্যবস্থা আছে। স্বাস্থ্যবিধিগুলো যথাযথভাবে মেনে চলার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ জানান ডাঃ নাসিমা সুলতানা।
×