ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

হিরোশিমা-নাগাসাকি মানবতার ধ্বংস চিহ্ন

প্রকাশিত: ২১:২৮, ৯ আগস্ট ২০২০

হিরোশিমা-নাগাসাকি মানবতার ধ্বংস চিহ্ন

৬ আগস্ট, ১৯৪৫। হিরোশিমা শহরে ঝকঝকে সকাল। শহরের ঘুম ভাঙেনি তখনও। শিশুরা তাদের স্কুলে প্রভাতী শরীরচর্চায় ব্যস্ত, কর্মজীবী মানুষেরা তাদের কর্মস্থলে কাজ শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সময় তখন সকাল ৮ : ১৫ মিনিট। মহাসাগরের তিনিয়ান দ্বীপ থেকে টেক অফ করে উল্কা বেগে উড়ে এলো মার্কিন বি-২৯ বম্বার ‘এনোলা গে’ জাপানের হিরোশিমার ওপর। বিমানটির ক্রু নামিয়ে দিলেন পেটমোটা ‘লিটল বয়’ কে সাড়ে তিন লাখ লোকের শহর হিরোশিমার ওপর। ১০ ফুট লম্বা, ৪ হাজার ৪০০ কিলোগ্রাম ওজনের ‘লিটল বয়’-এর মাথায় ছিল সাড়ে ১৫ কিলোটন টিএনএটি ক্ষমতাযুক্ত ৬৪ কেজির ইউরেনিয়াম। মাটি থেকে ৫৮০ মিটার উচুঁতেই বিস্ফোরিত হয় পৃথিবীর প্রথম এ্যাটম বোমা ‘লিটল বয়’। বিস্ফোরণ স্থলের দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বোমাটি তার বিধ্বংসী ক্ষমতা দেখিয়েছিল। বিস্ফোরণ স্থল থেকে ৬০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত কম্পন অনুভব করেছিলেন ও পরমাণু বোমার মাশরুম মেঘ দেখেছিলেন জাপানবাসীরা। এই হামলায় প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ মারা যায়। বোমার প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্ট রোগগুলোর কারণে হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী আরও ২ লাখ ৩৭ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। আহত ২ লাখ মানুষ চিরদিনের জন্য পঙ্গু হয়ে গেছে। বিস্ফোরণের দেড় কিলোমিটারের মধ্যে যা যা ছিল সব পুড়ে কয়লা হয়ে যায়। হাজার হাজার মানুষ পুড়ে মিশে গেল মাটির সঙ্গে। প্রায় ৫০ হাজার বাড়িঘর পুড়ে ধূলিসাৎ হয়ে গেল মুহূর্তের মধ্যে । ধ্বংস হয়ে গেল অনেক সরকারী গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, জনগণের ব্যবহার্য সুবিধা যেমনÑ হিরোশিমা পারফেকচুয়াল সরকারী অফিস, সিটি হল, হিরোশিমা স্টেশন, টেলিগ্রাম ও পোস্ট অফিস, স্কুল, ট্রেন-গ্যাস-ওয়াটার সাপ্লাই স্টেশন ইত্যাদি। পারমাণবিক বিপর্যয় ভালভাবেই কাটিয়ে উঠেছে শহরটি। যদিও এখানকার বাসিন্দারা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সেই বোমা হামলার বিভীষিকা ভুলবে না। শহরে ছড়িয়ে আছে বিভিন্ন স্মৃতিস্তম্ভ ও স্মৃতিচিহ্ন। হিরোশিমার যেখানে বোমাটি পড়েছিল সেখানে গড়ে উঠেছে স্মৃতিস্তম্ভ। পাশেই হিরোশিমা শান্তি স্মৃতি জাদুঘর ১৯৫৫ সালে নির্মিত হয়। এ শহর এখন হয়ে উঠেছে শান্তি ও উন্নয়নের নগরী। একটি বিধ্বস্ত দেশ কিভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারে তার একটি বড় উদাহরণ এ শহরটি। বিখ্যাত প্রেক্ষাগৃহ এখন ‘এ্যাটমিক বম্ব ডোম’ হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে নির্মম বোমা হামলার কালের সাক্ষী হিসাবে। ১৯৯৬ সালে এই ডোমটি ‘হিরোশিমা শান্তি স্মৃতিসৌধ’ নামে ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের স্বীকৃতি পায়। ৯ আগস্ট, ১৯৪৫। জাপানের কিউশো দ্বীপের এক সুন্দর শহর নাগাসাকি। ৯ আগস্ট সকাল ১১টা ২ মিনিটে মার্কিন বিমান বাহিনীর একটি বিমান থেকে ফ্যাটম্যান নামের পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করা হয় । বোমা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে শহরটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। বোমাটি মাটি থেকে ৫০০ মিটার উপরে বিস্ফোরিত হয়। নাগাসাকি পরিণতি হয় মৃত নগরীতে। ধারণা করা হয়, প্রায় ৭৪ হাজার মানুষ তখনই মারা যায়। বোমার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় পরবর্তীতে আরও ১ লাখ ৩৫ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটে। নাগাসাকি এখন বদলে গেছে। জাপানের অবকাঠামো উন্নয়নের চমৎকার উদাহরণ নাগাসাকি। অমানবিক বোমা হামলার ক্ষতচিহ্ন বুকে নিয়ে বয়ে চলেছে নদী, শিশুদের কলকাকলিতে প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে শিক্ষাঙ্গন, স্বাভাবিক গতিতেই চলছে অফিস-আদালত-পার্ক-খেলার মাঠ। হিবাকুসা : জাপানী ভাষায় হিবাকুসা মানে হচ্ছে বিস্ফোরণ আক্রান্ত মানুষজন। হিরোশিমা-নাগাসাকির বীভৎসতার সময় থেকে মার্কিনী বর্বরতার নৃশংসতম ক্ষতচিহ্ন বহন করে চলেছে এই হিবাকুসারা বংশপরম্পরায়। জাপানের ‘দ্য এ্যাটমিক বোম্ব সারভাইভার্স রিলিফ’ আইন অনুযায়ী ১) যারা বোমা বিস্ফোরণস্থলের সামান্য কয়েক কিলোমিটার মধ্যে ছিলেন ২) পরমাণু বোমা বিস্ফোরণের দুই সপ্তাহের মধ্যে যারা বিস্ফোরণস্থলের দুই কিলোমিটারের মধ্যে ছিলেন ৩) যারা বিস্ফোরণ নিঃসৃত তেজস্ক্রিয়তায় আক্রান্ত এবং এই তিন অবস্থার মধ্যে থাকা গর্ভবতী মহিলার সকলেই হিবাকুসা হিসেবে চিহ্নিত। হিবাকুসারা সরকারী সহায়তা পেয়ে থাকেন। প্রতি বছর বিস্ফোরণের বার্ষিকীতে বিগত বছরে নিহত হিবাকুসাদের নাম লিখে দেয়া হয় হিরোশিমা-নাগাসাকির বুকে। জাপান সরকার ৬ লাখ ৫০ হাজার হিবাকুসা শনাক্ত করেছে। এর মধ্যে ৩১ মার্চ, ২০১৯ পর্যন্ত ১ লাখ ৪৫ হাজার ৮৪৪ জন বেঁচে আছেন। আগস্ট ‘২০১৯ পর্যন্ত হিরোশিমা এবং নাগাসাকি স্মরণীয় মৃত্যুতালিকায় ৫ লাখ হিবাকুসার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। মানুষ এবং পরিবেশের উপর পারমাণবিক বোমার প্রভাব : মানুষ এবং পরিবেশের উপর প্রভাবের মূল কারণ হচ্ছেÑ বোমা বিস্ফোরণের পর এর তীব্র তাপ, ব্যাপক আগুনের লেলিহান শিখা এবং বিকিরণ (রেডিয়েশন)। বোমা বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে এবং কেন্দ্রের দূরত্ব ভেদে ক্ষয়ক্ষতির নিরূপণ করা হয়। মানুষ, প্রাণী পুড়ে ছাই হয়ে যায়, দালান-কোঠা, বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়ে যায়। যারা কিছুটা দূরে অবস্থান করে তাদের বিভিন্ন পর্যায়ের পোড়া, অন্যান্য ভয়াবহ ক্ষত সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে বিকিরণের কারণে নানা ধরনের স্নায়ুরোগ, ক্যান্সার, বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম, পঙ্গুত্বসহ নানা ধরনের কষ্টকর রোগের সৃষ্টি হয়। বাড়িঘর ধ্বংসের পাশাপাশি গাছপালাসহ পরিবেশের সকল সম্পদ ধ্বংস হয়ে যায়। বাতাসে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে। এর জন্য মানুষ এবং পরিবেশ দীর্ঘস্থায়ী ঝুঁকিতে পড়ে যায়। শুধু বিস্ফোরণের কারণেই নয়, দুর্ঘটনার কারণেও বড় বিপদ হতে পারে যেমন চেরনোবিল দুর্ঘটনা। এছাড়া যারা বোমা তৈরি কারখানায় কাজ করে, ইউরেনিয়াম খনি কর্মী, বোমা বহনকারী, গবেষণাকর্মী সকলেই প্রতিনিয়ত বিকিরণের শিকার হয়ে মারাত্মক চিকিৎসা বিপর্যয়ের শিকার হচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ায় পারমাণবিক অস্ত্রের প্রভাব : আন্তর্জাতিকভাবে দক্ষিণ এশিয়াকে ‘নিউক্লয়ার হট ফ্লাশ পয়েন্ট’ বলা হয়। ১৯৪৭-এরপর থেকেই ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বিশেষ করে কাশ্মীরকে ঘিরে বৈরী সম্পর্ক বিরাজ করছে। ১৯৬৫, কার্গিল যুদ্ধসহ বেশ কয়েকটি যুদ্ধও হয়েছে। বেশির ভাগ সময় নানা কারণে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করে। দেশ দুটি বেশ আগেই নিউক্লিয়ার ক্লাবের গর্বিত সদস্য হয়েছে। ১৯৯৮ সালের ১১ ও ১৩ মে ভারত পারমাণবিক পরীক্ষা করে যার মাসখানেকের মধ্যে পাকিস্তান প্রতিজবাব হিসেবে পারমাণবিক পরীক্ষা করে। দুদেশের মানুষ খুবই উল্লসিত হয়। এ এক মরণঘাতী অশুভ প্রতিযোগিতা। ভারত ২০১১/১২ তে অগ্নি-৪ এবং অগ্নি-৫ সিরিজের আন্তঃমহাদেশীয় পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্রের চূড়ান্ত পরীক্ষায় সফল হয়েছে। আমেরিকার রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, কাশ্মীর বিরোধের জের ধরে ভারত ও পাকিস্তানের পারমাণবিক যুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে প্রায় সাড়ে ১২ কোটি মানুষের প্রাণহানি ঘটবে। গবেষকরা বলছেন, এর ফলে জলবায়ুর ওপর যে বিরূপ প্রভাব পড়বে তাতে অনাহারে মারা যাবে আরও বহু কোটি মানুষ। এ রকম এক বিপর্যয়ের ধারণা দিতে গিয়ে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর এই দুটো দেশের মধ্যে যুদ্ধ লেগে যেতে পারে। দেশ দুটি যখন উত্তেজিত হয় তখন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি-ধমকির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে। ভয়ের আশঙ্কা, যদি কখনও নিরাপত্তার অভাবে জঙ্গীদের হাতে এ অস্ত্র চলে যায় তাহলে বিভীষিকা অনিবার্য হতে পারে। যদি কখনও এ ধরনের অঘটন ঘটে তবে দক্ষিণ এশিয়ার কোন দেশই অনিরাপদ থাকবে না। ইন্টারন্যাশনাল ফিজিশিয়ানস্ ফর দ্য প্রিভেনশন অব নিউক্লিয়ার ওয়ার (আইপিপিএনডব্লিউ) : যুক্তরাষ্ট্র-সোভিয়ত ইউনিয়নের ঠা-া লড়াই এবং পারমাণবিক অস্ত্রের ক্রমবর্ধমান বিস্তারের উদ্বিগ্ন হয়ে ১৯৮০ সালে বিশ্বের সচেতন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সমাজ যুক্তরাষ্ট্রের বার্নার্ড লাউন এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের ইয়েবজেনি চ্যাজবের নেতৃত্বে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব গড়ার আন্দোলনের কর্মসূচী নিয়ে আইপিপিএনডব্লিউ গঠন করে। বিশ্বের ৬৩ দেশের চিকিৎসকদের সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত সংগঠনটি পারমাণবিক যুদ্ধের ভয়াবহতার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নিয়ে বিভিন্ন দেশের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে আলোচনা করে একদিকে। অন্যদিকে বিশ্বব্যাপী জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে আন্দোলনে সম্পৃক্ত করে। ফলে বিশ্বের সকল শান্তিকামী মানুষের ব্যাপক সাড়া ও সমর্থন পাওয়া যায়। আইপিপিএনডব্লিউ তার কাজের স্বীকৃতস্বরূপ ১৯৮৫ তে নোবেল শান্তি পুরস্কার অর্জন করে। এর ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালে ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন টু এবোলিশ নিউক্লিয়ার উইপন (আইক্যান) এর অংশীদার হিসেবে পুনরায় নোবেল শান্তি পুরস্কার অর্জন করে। বাংলাদেশের ফিজিশিয়ানস্ ফর সোসিয়াল রেসপন্সিবিলিটি (পিএসআর) দুটো সংগঠনের অংশীদার। আমার সৌভাগ্য হয়েছিল ২০১৭ সালে দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে নোবেল পুরস্কার গ্রহীতা দলের সদস্য হয়ে নরওয়ের অসলোতে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে। ট্রিটি প্রহিবিটিং নিউক্লিয়ার উইপনস্ (টিপিএনডব্লিউ) : পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধ করনের এ চুক্তিটি ২০১৭ সালের ৭ জুলাই ১২২ ভোটে জাতিসংঘে গৃহীত হয়েছে। বিশ্ববাসীর জন্য এ এক বড় শান্তির খবর। ৫০টি দেশে তাদের নিজস্ব পার্লামেন্ট সংসদে অনুমোদিত হলেই এ চুক্তিটি কার্যকর হবে এবং তখন বিশ্বের সকল পারমাণবিক অস্ত্র অবৈধ বলে গণ্য হবে । ৪০টি দেশ ইতোমধ্যে অনুমোদন করেছে, বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম। বর্তমানে বিশ্ব ত্রিমুখী আক্রমণের শিকার : ১) কোভিড-১৯-২) চলমান জলবায়ু পরিবর্তন ৩) পরমাণু অস্ত্রের ভয়াবহতা। মাঝে মাঝেই উত্তপ্ত হয় আমেরিকা-দক্ষিণ কোরিয়া । চীন-ভারত নতুন দ্বন্দ্বে লিপ্ত, মাঝখানে পাকিস্তান তো রয়েছেই। এদের সবার কাছেই পারমাণবিক অস্ত্র আছে। বিশ্ববাসীকে প্রায়ই হুমকি-ধমকি শুনতে হয়। বিশ্বে এখন ১৭০০ পারমাণবিক অস্ত্র আছে যা দিয়ে আমাদের প্রিয় পৃথিবীকে মুহূর্তেই কয়েকবার ধ্বংস করা যাবে, ধ্বংস করা যাবে হাজার হাজার বছর ধরে তিল তিল করে গড়া মানব সভ্যতাকে। বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ ক্ষুধা, দারিদ্র্য, পুষ্টিহীনতা, বিনাচিকিৎসা, অশিক্ষা, নিরাপদ পানির কষ্টে ভুগছে যখন, তখন অন্যদিকে দেখছি মানবতা ধ্বংসকারী পারমাণবিক অস্ত্রের অসম প্রতিযোগিতা। উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ্য, পরমাণু অস্ত্রের ৪ সপ্তাহের ব্যবস্থাপনার অর্থ দিয়ে বিশ্বের সকল শিশুকে খাদ্য ও প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া যায়। শান্তিপ্রিয় বিশ্ববাসী চায় একটি শান্তিপূর্ণ, প্রগতিশীল, নিরাপদ, অমানবিকতামুক্ত সুন্দর পৃথিবী। আর কোন মানবতাধ্বংসী হিরোশিমা-নাগাসাকি নয়। আর এজন্য বিশ্বের শান্তিকামী মানুষদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে সোচ্চার হতে হবে। লেখক : সাবেক উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় সহ-সভাপতি, আইপিপিএনডব্লিউ, দক্ষিণ এশিয়া
×