ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সিনহা হত্যার বিচার নিয়ে গড়িমসি সহ্য করা হবে না- সোহেল

প্রকাশিত: ১৮:৩৩, ৮ আগস্ট ২০২০

সিনহা হত্যার বিচার নিয়ে গড়িমসি সহ্য করা হবে না- সোহেল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অবিলম্বে কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভে পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মকর্তা সিনহা হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল। তিনি বলেন, সিনহা হত্যার সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এ হত্যার বিচার নিয়ে কোন রকম গড়িমসি সহ্য করা হবে না। রবিবার দুপুরে নয়া পল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রয়াত স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর আত্মার মাগফিরাতের জন্য ‘শফিউল বারী বাবু স্মৃতি সংসদ’ আয়োজিত স্মরণ সভা, খতমে কোরআন ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান। সোহেল বলেন, মানুষের জীবন বাঁচানো যাদের কাজ, তারা এখন মানুষের জীবন কেড়ে নেয়ার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, কক্সবাজারের টেকনাফে যে ঘটনাটি ঘটেছে তার বিচার যেন হয়। এই বিচার নিয়ে কোনো টালবাহানা না হয়। তিনি বলেন, কিছুসংখ্যক পুলিশ অফিসার আছেন যাদের নিত্য নৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে কখন কাকে ফাসিয়ে দিয়ে অর্থ আদায় করা যাবে। তারা অফিসে আসার সময় প্যান্টের পকেটে কিছু লাল রঙের বড়ি নেন এবং সারাদিন তার কাজ একটাই এই বড়ি কার পকেটে ঢুকিয়ে দিয়ে কিছু অর্থ আদায় করা যাবে। পুলিশের কর্মকর্তারা এখন নিজেদের ওয়েস্টার্ণ ছবির হিরো ভাবছেন। এই অবস্থার একটি বিহিত হওয়া দরকার। সিনহা হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেউ কেউ সরকার হটানোর দিবা স্বপ্ন দেখছে বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সোহেল বলেন, উনি কাদের মিন করেছেন আমরা জানি না। তবে আমরা খালি চোখে যা দেখছি তাতে মনে হচ্ছে দেশে কি আদৌ কোন সরকার আছে? প্রধানমন্ত্রী একাই সব কাজ করেন। আর কিছু মন্ত্রী আছেন যারা মাঝে-মধ্যে কিছু কথা বলে বিনোদন দেয়া ছাড়া আর কোন কাজ নেই। সুতরাং এ সরকার হটানোর চেষ্টার কি প্রয়োজন আছে? সরকার হটানোর হুমকী দিয়ে সোহেল বলেন, ‘যিনি ক্ষমতায় বসে আছেন ওই চেয়ারটায়, তার পেছনে সুতা আছে। এই সুতার মাথা দেশে নেই, অন্য দেশে আছে। সুতাগুলো কেটে দিয়ে ওই চেয়ারটায় একটা জোরে ধাক্কা দিলে কি হবে? দড়ি ধরে মারো টান, রাজা বা রানী হবে খান খান। সময় খুব কাছে চলে এসেছে বেশি দিন আর নেই, অপেক্ষা করেন।’ সোহেল বলেন, শফিউল বারী বাবু একজন ত্যাগী ও নিবেদিতপ্রাণ নেতা ছিলেন। বিএনপির দুঃসময়ে তার ত্যাগের কথা সবাই মনে রাখবে। মেধাবী, দক্ষ ও যোগ্য নেতা শফিউল বারী বাবুকে হারিয়ে শুধু দল ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি, আমার মনে হয় দেশ-জাতি একজন সম্বাবনাময় তরুণ নেতাকে হারিয়েছে। তিনি আমাদের কাছ থেকে চলে গেছেন, তাকে যেন আমরা সবসময় স্মরণ করি। পরিবারের জন্য বাবু কিছুই রেখে যেতে পারেনি। সে ভাড়া বাসায় থাকতো, ব্যাংক ব্যালেন্স কিছু রেখে যায়নি। তার পরিবারকে আমাদের সকলকে মিলে দেখতে হবে। তার পরিবারের যেন কোন সমস্যা না হয় খেয়াল রাখতে হবে। স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েলের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের নেতা মুস্তাফিজুর রহমান, গোলাম সারোয়ার, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, সাদরেজ জামান, রফিক হাওলাদার, ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমুখ। স্মরণসভা ও মিলাদ মাহফিল শেষে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন উলামা দলের সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম তালুকদার। স্মরণ সভায় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল বলেন, শফিউল বারী বাবুর অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করতে সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের এগিয়ে আসতে হবে। শফিউল বাবু আমাদের রাজনীতির যে পথ দেখিয়ে গেছেন আমরা সেই পথ অনুসরণ করবো।
×