ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মাঠে জুতা টানলেন সাবেক অধিনায়ক সরফরাজ ॥ শোয়েবের ক্ষোভ

প্রকাশিত: ১০:০৯, ৮ আগস্ট ২০২০

মাঠে জুতা টানলেন সাবেক অধিনায়ক সরফরাজ ॥ শোয়েবের ক্ষোভ

অনলাইন ডেস্ক ॥ ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে নেই তিনি। তবে দ্বাদশ ব্যক্তি হিসেবে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে নিজের কর্তব্য পালন করছেন সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। আর দ্বাদশ ব্যক্তি হিসেবে গতকাল শুক্রবার (৭ আগস্ট) শাদাব খানের জুতা জোড়া মাঠে বয়ে নিয়ে আসতে দেখা যায় তাকে। এরপর পানির বোতলও বয়ে নিয়ে আসেন তিনি। নিয়ম মেনে সবকিছু ঘটলেও এই ঘটনা দেশেরসাবেক অধিনায়ক সরফরাজের জন্য ভীষণ অসম্মানজনক। স্বাভাবিকভাবেই ঘটনায় টিম ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন শোয়েব আখতার। পাকিস্তানের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে আলোচনা সভায় রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস জানিয়েছেন, সাবেক অধিনায়ককে দিয়ে দলের অন্য ক্রিকেটারদের জুতা টানানো একেবারেই উচিৎ নয়। ঘটনায় সরফরাজকে ‘ভীতু’ বলেও সম্বোধন করেছেন পাকিস্তানের জাতীয় দলের সাবেক এই পেসার। শোয়েব বলেন, ভীতু হওয়ার জন্যেই পাকিস্তান কোচ মিকি আর্থার সবসময় সরফরাজের মাথার উপর ছড়ি ঘুরিয়ে এসেছে। তিনি বলেন, ‘ছবিটা আমার মোটেই ভালোলাগেনি। দেশের সাবেক অধিনায়ক যে কিনা কয়েক বছর আগে দেশকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দিয়েছে তার সঙ্গে এমনটা কখনোই করা উচিৎ নয়। তোমরা ওকে দিয়ে জুতা টানালে। ওটা যদি ও নিজে থেকে করতে চায় তাহলেও ওকে থামানো উচিৎ। ওয়াসিম আকরাম কখনও আমার জন্য জুতা টানেননি।’ শোয়েব আরও বলেন, ‘এই ঘটনা প্রমাণ করে সরফরাজ একজন দুর্বল মানুষ। আর সেই কারণেই মিকি আর্থার সবসময় ওর উপর প্রভাব খাটাতো। আমার কাছে ক্রিকেটারদের জন্য জুতো বয়ে আনার বিষয়টা কোনও সমস্যার নয়। কিন্তু সাবেক অধিনায়ক এটা কখনোই করতে পারেন না।’ ঘটনায় আখতারকে সমর্থন করেছেন ওই টেলিভিশন চ্যানেলের আরেক প্যানেলিস্ট তথা সাবেক অধিনায়ক রশিদ লতিফও। যদিও ঘটনায় বিতর্কের অবকাশ থাকায় ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামেন পাক কোচ মিসবা উল-হক। ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে তিনি বলেন, বাকি ক্রিকেটাররা সে সময় নেটে প্র্যাকটিসে ব্যস্ত থাকায় সরফরাজকে ওই কাজ করতে হয়। আর দ্বাদশ ব্যক্তি হিসেবে এই কাজ করাতে কোনও লজ্জা থাকার কথা নয়। এমন আলোচনা কেবল পাকিস্তানেই হওয়া সম্ভব। আমিও দ্বাদশ ব্যক্তি হিসেবে আমার কর্তব্য পালন করেছি। মিসবাহ আরও বলেন, ‘সরফরাজ একজন ভালো ক্রিকেটারের পাশাপাশি একজন ভালো মানুষ। ও জানে ক্রিকেট দলগত খেলা। অন্য ক্রিকেটাররা প্র্যাকটিসে ব্যস্ত থাকায় সাহায্য করার জন্য সরফরাজই একমাত্র ছিল। এখানে অসম্মানের কোনও ব্যাপার নেই। আর সরফরাজ নিজেও এতে কিছু মনে করেনি। এটা একটা ভালো টিমের লক্ষ্মণ।’
×