ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিধ্বস্ত বিমানের ককপিটে ছিলেন স্বর্ণ পদক পাওয়া পাইলট

প্রকাশিত: ০৯:৫৩, ৮ আগস্ট ২০২০

বিধ্বস্ত বিমানের ককপিটে ছিলেন স্বর্ণ পদক পাওয়া পাইলট

অনলাইন ডেস্ক ॥ শুক্রবার রাতে এক ভয়াবহ দুর্ঘটনার সাক্ষী রয়ে গেল ভারত। আমিরাত থেকে ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার মিশনেই এমন দুর্ঘটনা। দুবাই থেকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছিল ভারতীয়দের। কোঝিকোড়ে রানওয়েতে অবতরণের সময় ভেঙে দু’টুকরো হয়ে যায় সেই বিমান। মারা যায় পাইলট, কো-পাইলটসহ বিমানের ১৯ যাত্রী। জানা গেছে, ওই বিমানের ককপিটে পাইলট ও কো-পাইলট হিসেবে ছিলেন উইং কমান্ডার দীপক বসন্ত সাথে ও ক্যাপ্টেন অখিলেশ কুমার। ক্যাপ্টেন দীপক সাথে ছিলেন ভারতীয় বিমানের একজন ফাইটার পাইলট। পরে বাণিজ্যিক বিমান ওড়ানো শুরু করেন তিনি। ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমির সাবেক ছাত্র এই দীপক সাথে। বোয়িং ৭৩৭ বিমান ওড়ানোয় দক্ষ তিনি। এক অফিসার জানিয়েছে, এই দীপকের সঙ্গে ভারতীয় বিমানের একজন দক্ষ পাইলট ছিলেন। তিনি প্রেসিডেন্ট স্বর্ণ পদকও পেয়েছিলেন। হায়দারাবাদে তিনি ‘সোর্ড অব অনার’ পান। বাণিজ্যিক বিমান চালানোর আগে একাধিক যুদ্ধবিমান উড়িয়েছেন তিনি। জানা গেছে, ক্যাপ্টেন অখিলেশ কুমার গত বছরেই বিয়ে করেছেন। করোনার জন্য আটকেপড়া ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব পেয়েছিলেন তারা। ৩৫ ফুট উঁচু থেকে পড়ে যায় বিমানটি। আর তার ফলেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভারত মিশনের অধীনেই এই বিমান দুবাই থেকে আসছিল। সেখান থেকে আটকেপড়া যাত্রীদের নিয়ে আসা হচ্ছিল। কোঝিকোড়ের কারিপুর এয়ারপোর্টের রানওয়ে পেরিয়ে পড়ে যায় বিমানটি। ভারতের অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী বলেন, বৃষ্টির জন্যই এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে। খারাপ আবহাওয়ার জন্য ৩৫ ফুট গভীরে পড়ে যায় বিমানটি। আর তাতেই দু’ভাগে ভেঙে যায় ওই বিমান। তিনি জানিয়েছেন, এটি একটি টেবিল টপ এয়ারপোর্ট, তাই এখানে অবতরণ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। টেবিল টপ এয়ারপোর্ট অর্থাৎ যেখানে রানওয়ের দু’পারে রয়েছে খাদ। আর সেখানেই ৩৫ ফুট খাদে পড়ে গেছে বিমানটি। যদিও ইঞ্জিনে আগুন না লাগায় প্রাণে বেঁচে গেছেন অনেকেই। ডিজিসিএ-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুবাই-কোঝিকোড় এয়ারক্রাফটটি ছিল ফুল স্পিডে। প্রথন চেষ্টায় নামতে পারেনি ওই বিমান। দ্বিতীয়বারের চেষ্টায় সেটি নামে। এই ঘটনার পর সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভারতীয় দূতাবাস জরুরি হেল্পলাইন নম্বর চালু করে। এবং তারা শোক প্রকাশ করে জানায়, এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস ফ্লাইট নম্বর এIX 1344, দুবাই থেকে কারিপুর যাত্রা পথ ছিল। রানওয়েতে অবতরণের পর পিঁছলে যায় এবং ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। আমরা সব যাত্রীদের সুস্থতা কামনা করি। এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসে জরুরি হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে আরব আমিরাতের শারজাতে। পাওয়া যাবে জরুরি তথ্য। (00971 6 5970303) ০০৯৭১৬৫৯৭০৩০৩ তাদের নম্বর। তবে এখনও আহতদের পুরো তথ্য পাওয়া যায়নি, বাড়তে পারে আহত এবং নিহতের সংখ্যা।
×