ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

৭ পুলিশ সাসপেন্ড

সিনহা হত্যার কারণ এখনও অনুদ্ঘাটিত

প্রকাশিত: ২৩:০৫, ৮ আগস্ট ২০২০

সিনহা হত্যার কারণ এখনও অনুদ্ঘাটিত

মোয়াজ্জেমুল হক/ এইচএম এরশাদ ॥ টেকনাফে পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের হত্যার ঘটনাটি এখনও রহস্যজটে। সিনহা কি টার্গেট না কন্টাক্ট কিলিংয়ের শিকার নাকি অন্য কিছু তা কোন ধরনের অনুসন্ধানে বের হয়নি। সামাজিক যোগাযোগসহ বিভিন্ন মাধ্যমে বহু কথায় আসছে। কিন্তু বাহারছড়ার শামলাপুর চেকপোস্টে ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই লিয়াকত আলী গত ৩১ জুলাই রাত অনুমান সাড়ে ৯টার দিকে কেন মেজর সিনহাকে পরপর কয়েকটি গুলি করে হত্যা করেছেন তার সুনির্দিষ্ট কোন জবাব এখনও মেলেনি। এদিকে সিনহা হত্যাকান্ড নিয়ে তার বোনের দায়েরকৃত মামলার ৯ আসামির মধ্যে টেকনাফ থানার প্রত্যাহারকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৭ জনকে গত বৃহস্পতিবার কক্সবাজার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করার পর এদিন রাতেই আসামিদের কারাগারে নেয়া হয়েছে। আগামীকাল রবিবার থেকে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। তবে র‌্যাব-১৫ কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল আজিম আহমেদ জনকণ্ঠকে জানিয়েছেন, রিমান্ড যেহেতু মঞ্জুর হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ যে কোন সময় শুরু করতে কোন অসুবিধা নেই। এছাড়া আসামিদের মধ্যে যে দু’জন এখনও পলাতক রয়েছেন বলে জানানো হচ্ছে তাদের যাবতীয় তথ্যাদির খোঁজ নেয়া হচ্ছে। যদিও বৃহস্পতিবার এ হত্যাকান্ডের আসামিদের আইনজীবী জানিয়েছেন, এএসআই টুটুল ও কনস্টেবল মোস্তফা নামের কেউ জেলা পুলিশে নেই। তদন্ত কর্মকর্তার পক্ষে তাদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া জানানো হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানানো হয়েছে। অপরদিকে কক্সবাজার জেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় জোরদার আনা হয়েছে। কেননা, টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসিসহ পুলিশের বিভিন্ন মামলার কারণে যারা জেল খাটছেন তাদের অনেকে প্রদীপকে দেখে ক্ষুব্ধ হয়েছে। চিৎকার করে কেউ কেউ গালমন্দ করেছেন। ফলে কারা কর্তৃপক্ষ প্রদীপকে নিয়ে নজরদারি কিছুটা বৃদ্ধি করেছে। অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহাকে হত্যাকান্ডের বিষয়ে নানা তথ্যের ডালপালা কেবলি বিস্তার লাভ করছে। প্রশ্ন উঠেছে, এক মাসেরও বেশি সময় ধরে টেকনাফ এলাকায় বিচরণ করতে গিয়ে সিনহা ও তার সহযোগীদের চোখে পুলিশের কোন অপতৎপরতা ধরা পড়েছিল কিনা। যেহেতু তিনি তার একটি ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে সে চ্যানেলে এসব প্রচার হয়ে গেলে টেকনাফের ওসিসহ পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। সে কারণে তাকে টার্গেট করে হত্যা করা হল কিনা। ৩১ জুলাই রাতে ওই সময়ে ঘটনাস্থল থেকে এসআই লিয়াকত আলী টেলিফোনে তিনজনের সঙ্গে কথা বলেন। যার মধ্যে জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ, ওসি প্রদীপ কুমার দাশও রয়েছেন। এদের সঙ্গে লিয়াকতের কথোপকথনের ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলে এসেছে। এতে দেখা যায়, ওসি প্রদীপ এসপিকে জানাচ্ছেন শামলাপুর পুলিশ ফাঁড়িতে একটি কার আটকানোর পর গাড়ি থেকে একজন লিয়াকতকে লক্ষ্য করে গুলি করেছে। তিনি (প্রদীপ) লিয়াকতকে পাল্টা গুলি করতে বলেছেন। পরের ভিডিও ক্লিপে দেখা যায় লিয়াকত আলী পুলিশ সুপার জানাচ্ছেন, চেকপোস্টে আটকানোর পর একজন তাকে গুলি করেছে। তিনিও পাল্টা গুলি করেছেন। এদের কথোপকথনে কাউকে মাদক সংক্রান্ত আটকানোর ঘটনার কোন তথ্য নেই। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, একজন কার আরোহীকে আটকিয়ে কেন এসআই লিয়াকত আলী পর পর কয়েক রাউন্ড গুলি করলেন। পরবর্তীতে টেকনাফ থানায় এ সংক্রান্তে একটি মামলায় ৪ রাউন্ড গুলির কথা বলা হলেও নিহত সিনহার সুরতহাল রিপোর্টে ৬ গুলির কথা উল্লেখিত হয়েছে। প্রশ্ন জেগেছে, বাকি দুই রাউন্ড গুলি কে করেছে, বা কোত্থেকে এলো। মেজর অব সিনহা হত্যার ঘটনাটি দেশজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। ঘটনার পর সেনা প্রধান ও পুলিশের আইজি দুজনেই একসঙ্গে কক্সবাজার গেছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এরপর নিহত সিনহার বোন আদালতে ৯ জনকে আসামি করে আদালতে আর্জি পেশ করার পর তা টেকনাফ থানায় নথিভুক্ত হয়। এরপর এসআই লিয়াকত আলী, এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুনও এএসআই লিটন মিয়াকে কক্সবাজার জেলা পুলিশ লাইনে নজরদারিতে রাখা হয়। আরও পরে টেকনাফ থানার ওসি স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে থানা থেকে বেরিয়ে আসেন জিডির মাধ্যমে। বুধবার তিনি চট্টগ্রামে এসে প্রথমে হাসপাতালে ভর্তি ও পরে আত্মসমর্পণের ইচ্ছাব্যক্ত করলে সিএমপি কমিশনারের নির্দেশে তাকে পূর্ণ নিরাপত্তায় সন্ধ্যার আগে কক্সবাজার পৌঁছে দেয়া হয়। এ ঘটনাকে নিয়েও বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে এই বলে যে, এজাহারভুক্ত একজন আসামিকে গ্রেফতার না করে কেন অনেকটা ভিআইপির মর্যাদায় কক্সবাজার নেয়া হল। যদিও সিএমপি কর্তৃপক্ষ বলেছে, নিরাপত্তার স্বার্থে এ ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওদিকে গত দুবছর যাবত মাদকের বিরুদ্ধে রীতিমতো যুদ্ধ ঘোষণার পর টেকনাফ এলাকায় ওসি প্রদীপ কুমার দাশের নির্দেশে ক্রসফায়ারে প্রাণ গেছে অনেকের। পুলিশের ঘোষণা অনুযায়ী এরা সবাই মাদক কারবারি। মূলত ইয়াবা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত। আবার তবে কেউ কেউ ওসি প্রদীপের আর্থিক চাহিদা মেটাতে না পারার জের হিসাবে প্রাণ দিতে হয়েছে বলে এলাকায় চাউর হয়ে আছে। এখন যেহেতু সিনহা হত্যা মামলাকে ঘিরে ওসি প্রদীপ টেকনাফ থানা থেকে প্রত্যাহার হয়েছেন এবং পরে গ্রেফতার হয়ে জেলে গেছেন তখন এলাকার অনেক ভুক্তভোগী মুখ খুলতে শুরু করেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ক্রসফায়ারে নিহত অনেকের পরিবার ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। শুধু তাই নয়, তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়েও কিছু নারী তৎপর হয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানের নামে টেকনাফে অনেকের বাড়িঘর ওসির নির্দেশে ভাঙ্গা হয়েছে আবার দখলেও নেয়া হয়েছে। এ ঘটনার পর ওইসব বাড়ি নিমিষেই দখলমুক্ত হয়েছে। টেকনাফের শামলাপুর ও বাহারছড়া পাহাড়ে ওসি প্রদীপ কুমারের টর্চার সেল ছিল। শুধু তাই নয় টেকনাফ মডেল থানার নিচতলার ওপরেও ছিল অনুরূপ টর্চার সেল। যেখানে মানুষকে ধরে নিয়ে দিনের পর দিন আটকে রাখা হতো। আত্মীয়স্বজনকে খবর দিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায় করা হতো। এরপর কাউকে কাউকে ছেড়ে দেয়া হতো, আবার কাউকে রাতের বেলায় এনকাউন্টারে হত্যা করা হতো। ওসি প্রদীপের অপকর্মের নানা কাহিনী এখন একের পর এক বিভিন্নভাবে বেরিয়ে আসছে। যদিও এসব কাহিনী এলাকাবাসীর সকলেরই জানা। কিন্তু মুখ খুলতে পারত না ভয়ে। এখন অনেকে মুখ খুলতে শুরু করেছে। সিনহা হত্যাকান্ডের কারণ খুঁজতে গিয়ে একটি তথ্য জানা গেছে, টেকনাফ অঞ্চলে ইয়াবা পাচার বন্ধে পুলিশের সহায়তা এবং ভূমিকা শীর্ষক একটি ডকুমেন্টারি করছিলেন মেজর সিনহা ও তার টিমের সদস্যরা। এ কাজে টেকনাফ অঞ্চলের পুলিশের নানা অপকর্মের বিষয়সমূহ রেকর্ড হয়ে যায়। বিষয়টি পুলিশের কানে যাওয়ার পর সিনহার ওপর তারা ক্ষুব্ধ হন এবং একপর্যায়ে টার্গেটেড হন। যে কারণে হয়ত সিনহা নিহত হওয়ার পর তিনি ও তার দলের সদস্যরা থাকতেন অর্থাৎ রিসোর্ট নিলীমায় অভিযান চালিয়ে ইয়াবা, গাঁজা ইত্যাদি উদ্ধার দেখানো হয়েছে। কিন্তু নিয়ে যাওয়া হয়েছে সিনহার ক্যামেরা, ল্যাপটপ, হার্ডড্রাইভ এমনকি তার কম্পিটারটিও। এসব সামগ্রী পুলিশের দায়ের করা মামলার জব্দ তালিকায় নেই। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, পুলিশের অপকর্মের যেসব চিত্র বা প্রমাণ রেকর্ড হয়েছিল তা নষ্ট করতেই এসব সামগ্রী নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, প্রদীপের একটি বিশেষ সিভিল টিম ছিল। যার সদস্য সংখ্যা ১৮ থেকে ২০। এরা সব সময় এডিকটেড থাকত। এ গ্রুপের সদস্যদের নিয়ে প্রদীপ বিশেষ বিশেষ অভিযান চালাতেন। তিনি যখন যে থানায় পোস্টিং হন এ টিমের সদস্যদের নিয়ে যাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। এছাড়া সিভিল টিমের যখন যাকে ইচ্ছা তখন পুলিশের ড্রেস পরিয়ে অপারেশনে নেয়া হতো। কারাগারে সাবেক ওসি প্রদীপকে গালমন্দ ॥ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাসকে পুলিশ কারাগারে নিয়ে গেলে সেখানে মাদক মামলা টুকে দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফাসহ বহু কারাবন্দী ক্ষুব্ধ হয়ে গালমন্দ করেছেন। বিদেশী মদের বোতল ও অস্ত্র দিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো সাংবাদিক ফরিদ গত এক বছর ধরে কারাগারে রয়েছেন। এছাড়াও সাবেক ওসি প্রদীপের আক্রোসের শিকার হয়ে যারা কক্সবাজার কারাবন্দী হয়ে আছে, তারও প্রদীপের ওপর ক্ষুব্ধ মনোভাব প্রকাশ করেছেন। এ কারণে জেলা কারাগারের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রদীপের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে থানায় ভিড় ॥ টেকনাফ থানা থেকে প্রত্যাহৃত বহুল আলোচিত ওসি প্রদীদ দাশের নানা অপরাধের বিষয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছে ভুক্তভোগীরা। বৃহস্পতিবার থেকে ভুক্তভোগীরা থানায় ভিড় করছেন। সাবেক ওসি প্রদীপ দাশের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে তারা যাচ্ছেন দলে দলে। অভিযোগ রয়েছে, তাদের বেশিরভাগ থেকে এনকাউন্টারে হত্যার হুমকি দিয়ে প্রদীপ ও তার বাহিনীর সদস্যরা মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। উল্লেখ করা যেতে পারে, প্রদীপের নির্দেশে অনেককে এনে থানায় আটকে রাখা হত। ইয়াবার চালান দিয়ে গ্রেফতারের ভয় দেখানো হত। ফলে অনেকে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা দিয়ে মুক্তি পাবার চেষ্টা করত। আবার অনেককে রাতের বেলায় মেরিন ড্রাইভে নিয়ে গুলিতে মারা হতো। প্রদীপের টাকা আদায়কারীরা আতঙ্কে ॥ টেকনাফে কয়েকজন চৌকিদার-দফাদার ও দালাল প্রকৃতির কয়েক ব্যক্তি ওসি প্রদীপের টাকা আদায় করত বলে জানা গেছে। প্রদীপ জেলে যাওয়ায় তারা বর্তমানে তটস্থ অবস্থায় রয়েছে। উখিয়ার কুতুপালংয়ের বখতিয়ার মেম্বারকে ক্রস ফায়ার না দেয়ার জন্য তার ছেলের কাছ থেকে এক কোটি ও থাইংখালীর একজনের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা ওসি প্রদীপের জন্য টেকনাফের ইসমাইলের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে বাহাড়ছড়া শামলাপুর চেকপোস্টে এসআই লিয়াকতের গুলিতে প্রাণ হারান অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিনহার বোন যে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তারা হলেন টেকনাফ থানার প্রত্যাহৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী, এসআই নন্দলাল দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, এএসআই টুটুল ও কনস্টেবল মোঃ মোস্তফা। শেষোক্ত দুজন ছাড়া বাকিরা গত বৃহস্পতিবার কক্সবাজার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। তদন্ত সংস্থা র‌্যাবের আবেদনে আদালত এদের প্রত্যেককে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। প্রদীপ, লিয়াকতসহ ৭ পুলিশ সাসপেন্ড ॥ বিডি নিউজ জানায়, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যার আসামি টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ সাত পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন শুক্রবার রাতে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, পরিদর্শক প্রদীপ ও লিয়াকতকে বরখাস্তের আদেশ এসেছে পুলিশ সদর দফতর থেকে। আর এ মামলায় আত্মসমর্পণ করা বাকি পাঁচজন- এসআই নন্দলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়াকে বরখাস্তের আদেশ হয়েছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ কার্যালয় থেকে।
×