ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঈদে অন লাইনে২৭ হাজার পশু বেচাকেনা

ই-কমার্স কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ড গতিশীল করেছে

প্রকাশিত: ২২:৩৩, ৮ আগস্ট ২০২০

ই-কমার্স কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ড গতিশীল করেছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ই-কমার্স দেশের কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ব্যাপক হারে গতিশীল করেছে। এ বছর ঈদ-উল-আজহায় ই-কমার্সের মাধ্যমে দেশে ২৭ হাজার পশু কেনাবেচা হয়েছে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল মাত্র ১০ হাজার। শুধু যে পশু কেনাবেচা হয়েছে তা নয়। সব ধরনের পণ্যেই ই-কর্মাসের মাধ্যমে বিক্রি হয়েছে। দেশে প্রতিবছর ই-কর্মাসের পরিধি বাড়ছেই। দেশের মানুষ যে ডিজিটাল সুবিধা পেতে শুরু করেছে তা এখান থেকেই বোঝা যায়। এই শিল্পকে আরও ভাল করে গড়ে তুলতে চারটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। এই চারটি বিষয় হচ্ছে, ইন্টারনেট, লেনদেনের ব্যবস্থা, ডেলিভারি সুবিধা ও বিশ্বাস। ই-কমার্সের জন্য এই চারটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ফলে অর্থনৈতিক কর্মাকান্ড আরও বেগবান হচ্ছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এক অনলাইন আলোচনায় এ তথ্য জানিয়েছেন। তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের এক হিসেবে দেখা বলা হয়েছে, দেশে ই-কমার্সের বাজার দিন দিন বড় হচ্ছে। প্রতিবছর হাজার কোটি টাকার কেনাবেচা হচ্ছে ই-কমার্সের মাধ্যমে। তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ই-কমার্সে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ব্যবসা করতে গেলে আপনাকে বিশ্বাস রাখতে হবে। যে পণ্যটি অর্ডার করেছে ক্রেতা তাকে সেই পণ্যই দিতে হবে। অন্য ব্যান্ড বা কোম্পানির পণ্য দিলে ব্যবসা টিকবে না। এছাড়া পণ্যের মানও ঠিক রাখতে হবে। বর্তমানে আমরা যে ব্যবসার কথাই চিন্তা করি না কেন, প্রযুক্তিকে বাদ দিয়ে ওই ব্যবসার উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। বর্তমানে প্রায় দুই হাজারের মতো উদ্যোক্তা ই-কমার্স নিয়ে কাজ করছেন। সোশ্যাল মিডিয়াকেও ই-কমার্স হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এখন শুধু ছবি শেয়ার করা কিংবা যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে না সোশ্যাল মিডিয়াকে, এটা মানুষের কর্মসংস্থান এবং অর্থনৈতিক যে কর্মকান্ড, সেটাকেও কিন্তু বেগবান করছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এখন মানুষ উপর্জনের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করছেন। এটা ইতিবাচক। তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া আমরা কিভাবে ব্যবহর করব, সেটা নির্ভর করছে ব্যবহারকারীর ওপর। আমরা ইচ্ছে করলে ভাল কাজেও ব্যবহার করতে পারি, আবার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাণিজ্যিক কাজে বা সমাজবিরোধী কাজেও ব্যবহার করতে পারি। কিংবা অন্য কাউকে ক্ষতি করতেও সেটা ব্যবহার করা যায়। তবে বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ইতিবাচক হিসেবেই দেশের বেশিরভাগ মানুষ ব্যবহার করছেন। নিজেদের ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী হিসেবে মনে করবেন না, আমাদের স্বপ্ন বড় থাকতে হবে। কিভাবে ব্যবসাকে আরও প্রসারিত করা যায় সেই চিন্তা থাকতে হবে। আপনাদের ই-কমার্স সংক্রান্ত সব সুযোগ-সুবিধা এসএমই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সরকার দেবে। সূত্র জানিয়েছে, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের যুগান্তকারী অগ্রগতি ঘটেছে। ই-গবর্নমেন্ট ডেভেলপমেন্ট ক্ষেত্রে দেশ উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে গেছে। দেশ এখন বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে অনেক ওপরে উঠে এসেছে। ১৯৩ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১১৫তম। এই হিসাবে দেশ এখন র‌্যাঙ্কিংয়ের দিক থেকে ৩৫ ধাপ এগিয়ে রয়েছে। এই অগ্রগতির অংশীদার বর্তমান সরকার ও দেশের জনগণ। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ে উঠছে। ২০২১ সালের মধ্যে দেশ পুরোপুরি ডিজিটাল হবে এমন ভিশন নিয়ে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। জনগণের দোরগোড়ায় সরকারের সব ধরনের সেবা পৌঁছে দেয়া হবে। যাতে একজন নাগরিকও এই সেবা থেকে বঞ্চিত না হন তার জন্য গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত কানেক্টিভি তৈরি করা হচ্ছে। দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন অপটিক্যাল ফাইবারের সঙ্গে যুক্ত করার কাজ প্রায় শেষ। এই কাজটি শেষ হলে শহর ও গ্রামের সঙ্গে কোন পার্থক্য থাকবে না। দেশের সব মানুষ ইন্টারনেটে সমান সুযোগ ভোগ করবেন।
×