ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ঘুষ নিয়ে দ্বন্দ্বের জের, কৃষককে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশিত: ২২:২১, ৭ আগস্ট ২০২০

ঘুষ নিয়ে দ্বন্দ্বের জের, কৃষককে কুপিয়ে হত্যা

নিজস্ব সংবাদদাতা, নোয়াখালী, ৬ আগস্ট ॥ নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চরজব্বার ইউনিয়নে আবদুল মান্নান (৫১) নামের এক কৃষককে বয়স্ক ভাতার ঘুষ নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। ওই সময় সন্ত্রাসীদের হামলায় আরও তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এক ইউপি সদস্যসহ ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে উপজেলার চরজব্বার ইউনিয়নের কাঞ্চনবাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কৃষক আবদুল মান্নান উপজেলার পশ্চিম চরজব্বার গ্রামের মজিবুল হকের ছেলে। আহতরা হলেন, পশ্চিম চরজব্বার গ্রামের নুর আলমের ছেলে পল্লী চিকিৎসক আবুল কাশেম (৩০), মোঃ রাসেল (২২) ও জয়নাল আবেদীনের ছেলে হেলাল উদ্দিন (৩৬)। নিহতের ছোট ভাই আওয়ামী লীগ নেতা সফিকুর রহমান জানান, মহামারী করোনাভাইরাসের মাঝামাঝি সময়ে চরজব্বার ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাহার উদ্দিন বৃদ্ধ মফিজুর রহমানকে বয়স্ক ভাতা দেওয়ার নাম করে তার কাছ থেকে এক হাজার টাকা ঘুষ নেয়। এর কিছুদিন পর ওই বৃদ্ধ ইউপি সদস্য বাহার উদ্দিনকে ভাতা অথবা ঘুষের টাকা ফেরত দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করলে বাহার বৃদ্ধাকে মারধর করে। ওই ঘটনায় আমার চাচাত ভাই যুবলীগ কর্মী মঞ্জু প্রতিবাদ করলে বাহারের ছেলে বেন্ডা ও স্থানীয় মজিবুল হক মাঝির ছেলে ইসমাঈলের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তাকে পিটিয়ে আহত করে। ওই ঘটনায় গত ১০ এপ্রিল মঞ্জু বাদী হয়ে চরজব্বার থানায় মামলা দায়ের করেন। এর জের ধরে বুধবার রাতে স্থানীয় কাঞ্চন বাজারে ইউপি সদস্য বাহার উদ্দিন ও মজিবুল হক মাঝির ছেলে ফজলুল হক ফজলুর নেতৃত্বে ইসমাঈল হোসেন, আনিছ, আবুল কালাম, আবদুল আলী, আজাদ হোসেনসহ ১৫/২০ জনের সঙ্গবদ্ধ সন্ত্রাসী মঞ্জুকে না পেয়ে বাজারে ফাঁকা গুলি ছুড়ে আমার ভাই আবদুল মান্নান ও আমাদের আত্মীয়-স্বজনের ওপর হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট করে চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় গুরুতর আহত আবদুল মান্নান, আবুল কাশেম, মোঃ রাসেল ও হেলাল উদ্দিনকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবদুল মান্নানকে মৃত ঘোষণা করেন।
×