ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

টাঙ্গাইলের মধুপুরে বন্যায় বিএডিসি’র আউশ-আমন ধান প্লাবিত

প্রকাশিত: ১৫:৪৭, ৬ আগস্ট ২০২০

টাঙ্গাইলের মধুপুরে বন্যায় বিএডিসি’র আউশ-আমন ধান প্লাবিত

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল ॥ টাঙ্গাইলের মধুপুরে বন্যা ও জলাবদ্ধতায় বিএডিসি’র চলতি আউশ ও আমন মৌসুমের লাগানো ধানের জমি প্লাবিত হয়েছে। অপরদিকে জলাবদ্ধতায় ডুবে যাওয়া বীজ তলার পানি মেশিন দিয়ে সেচের মাধ্যমে টিকিয়ে রাখার নানামুখি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে খামার কর্তৃপক্ষ। মধুপুর বীজ উৎপাদন খামার সূত্রে জানা যায়, মধুপুরের কাকরাইদ এলাকায় অবস্থিত মধুপুর বীজ উৎপাদন খামারের ৩৪৫ একর আবাদী জমির মধ্যে ২৫০ একর জমি চলমান বন্যা ও জলাবদ্ধতার কারণে প্লাবিত হয়েছে। গত ৮ জুলাই হতে টানা ভারী বর্ষনও পাহাড়ি ঢলের কারণে খামারটির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত গুজা খাল, বংশাই নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে খামারের আবাদী জমি প্লাবিত হয়। ফলে খামারের চলতি ২০২০-২০২১ আউশ মৌসুমের ৪৫ একর জমির মধ্যে ব্রি-ধান ৪৮ জাতের ৫ একর জমির বীজ ফসল প্লাবিত হয়ে কাইচ থোড় অবস্থায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। খামার কর্তৃপক্ষের নানামুখী প্রচেষ্টার কারণে চলতি ২০২০-২০২১ মৌসুমের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্থ না হলেও আমন মৌসুমের রোপনকৃত ব্রি-ধান ৮৭ জাতের ১০ একর এবং বিনা ধান ১৭ জাতের ১২ একরসহ মোট ২২ একর জমি পানিতে প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষতির মুখে রয়েছে। চলতি আমন মৌসুমের ২৪২ একর জমিতে প্রায় ৩৮৫ মেট্রিক টন লক্ষ্য মাত্রার বিপরীতে কেবল ৬০ একর জমি রোপণ করা সম্ভব হয়েছে। অতিদ্রুত পানি না কমলে চারার বয়স বৃদ্ধি পেয়ে রোপণ অনুপযোগী হয়ে পড়বে। এ ব্যাপারে মধুপুর বীজ উৎপাদন খামারের উপ-পরিচালক (খামার) সঞ্জয় রায় জানান, গত ৮ জুলাই থেকে টানা ভারী বর্ষন, পাহাড়ি ঢলে গুজা খাল ও বংশাই নদীর পানি বৃদ্ধি ও চলমান বন্যা ও জলাবদ্ধতায় খামারের ৩৪৫ একর আবাদী জমির মধ্যে ২৫০ একর প্লাবিত হয়েছে। খামার কর্তৃপক্ষের নানামুখী প্রচেষ্টা রয়েছে। আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে পানি নেমে গেলে বীজ তলায় চারা রোপন করে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করার চেষ্টা চালিয়ে যাবো।
×