জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ করোনার উপসর্গ জ্বর, সর্দিকাশি, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে আরও কমপক্ষে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন সাতক্ষীরায় গৃহবধূসহ দুইজন, কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুলিশ কনস্টেবল ও পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পল্লী চিকিৎসক। এছাড়া করোনা আক্রান্ত হয়ে রাঙ্গামাটিতে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বাগেরহাটে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছে রাঙ্গামাটিতে ৩১ জন, নড়াইলে দুই চিকিৎসকসহ ৪০, ঝালকাঠিতে ছয়, মাগুরায় আট ও গাইবান্ধায় ১৭ জন। সোমবার ও মঙ্গলবার করোনা সংক্রান্ত এসব তথ্য পাওয়া গেছে। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের।
জ্বর ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে মঙ্গলবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক গৃহবধূসহ দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার রাতে হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে তারা মারা যান। মৃত ব্যক্তিরা হলেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাউলডাঙা গ্রামের সাজ্জাদ হোসেনের স্ত্রী সোনিয়া খাতুন (৪০) ও কালীগঞ্জের ওবায়দুরনগরের মৃত কাঙাল সরকারের ছেলে সুবাধ সরকার (৭৭)।
এদিকে করোনার উপসর্গে সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শনিবার রাতে ও রবিবার সকালে এক ব্যবসায়ীসহ দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তিরা হলেন- তালা উপজেলার মাগুরা বারুইপুর গ্রামের মৃত হাতেম আলীর ছেলে ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক (৫০) ও কালীগঞ্জের ভদ্রখালী ওবায়দুল্লাহপুর গ্রামের মৃত মাদার আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম (৬৫)।
এছাড়া করোনা উপসর্গে সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শুক্রবার রাতে দু’জনের মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার পর্যন্ত সাতক্ষীরায় করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে ৫২ জন। আর করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২২ জন।