ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাসহ তিনজনকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশিত: ২১:৩৫, ৫ আগস্ট ২০২০

আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাসহ তিনজনকে কুপিয়ে হত্যা

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ টাঙ্গাইলের গোপালপুরের হাদিরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও টাঙ্গাইল লায়ন নজরুল ইসলাম ডিগ্রী কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম তালুকদার নিক্সনকে (৪৮) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত নিক্সনের বাড়ি আজগড়া গ্রামে। তবে সপরিবারে তিনি ধনবাড়ী উপজেলা সদরে থাকতেন। তিনি এনজিও ‘লায়ন রান ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। এদিকে পটুয়াখালীর বাউফলে যুবলীগ নেতা ও তার চাচাত ভাইকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। রবিবার সন্ধ্যায় এ খুনের ঘটনা ঘটে। খবর নিজস্ব সংবাদদাতাদের। স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার বিকেলে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী থেকে আজগড়া গ্রামের বাড়ি আসেন নিক্সন। সন্ধ্যায় আজগড়া মোড়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে রাত সাড়ে ১১টার দিকে মোটরসাইকেল চালিয়ে ধনবাড়ী ফিরছিলেন তিনি। পথে আজগড়া খালের ব্রিজ পার হওয়ার পর সেখানে আগে থেকে ওত পেতে থাকা কয়েকজন তার মোটরসাইকেলের গতি রোধ করে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ফেলে যান। টের পেয়ে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে শনিবার বিকেলে ধনবাড়ী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে রবিবার দুপুরে আজগড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে নিক্সনকে দাফন করা হয়েছে। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য তানভির হাসান ছোট মনির, গোপালপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ইউনুস ইসলাম তালকদার ঠান্ডুসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। বাউফলে যুবলীগ নেতা ও তার ভাই খুন ॥ পটুয়াখালীর বাউফলের কেশবপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের একপক্ষের হামলায় যুবলীগ নেতা ও তার চাচাতো ভাই খুন হয়েছেন। রবিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতের স্বজনরা ঘটনার জন্য বাউফল থানার ওসির দায়িত্বহীনতাকে দায়ী করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্থানীয় এমপি আসম ফিরোজ সমর্থিত কেশবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ সালেহউদ্দিন পিকু এবং সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলুর সঙ্গে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। রবিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে সালেহউদ্দিন পিকুর ছোট ভাই ওই ইউপির যুবলীগের সহ-সভাপতি রুমন তালুকদার (৩০) ও তার চাচাতো ভাই যুবলীগকর্মী ইসাত (২৪) কেশবপুর বাজারে নবী আলীর দোকানে বসে চা পান করছিলেন। এ সময় মহিউদ্দিন লাভলুর সমর্থক রফিক, রাসেল, ইব্রাহিম, নুরুর নেতৃত্বে ৩০-৪০ জন সশস্ত্র লোক তাদের ওপর হামলা করে এবং এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে রাত সাড়ে আটটার দিকে বাউফল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার আগে গত ৩১ জুলাই দুপুরে দুইপক্ষের মধ্যে দুই দফা সংঘর্ষ হয়। এতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সালেহউদ্দিন পিকুর এক ভাইসহ উভয়পক্ষের চারজন আহত হন। এ ঘটনায় ওইদিন সন্ধ্যায় সালেহউদ্দিন পিকু বাউফল থানায় মামলা করতে গেলে বাউফল থানার ওসি (তদন্ত) আল মামুন মামলা গ্রহণ করেননি। সালেহউদ্দিন পিকু অভিযোগ করেন, বাউফল থানার ওসি ওইদিন মামলা নিলে জোড়া খুনের ঘটনা নাও ঘটতে পারত। মামলা না নিয়ে ওসি দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন মামলা না হলেও পুলিশ তাহের, নুরুসহ ১১ জনকে আটক করেছে।
×