ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ভ্যাকসিন পরীক্ষার জন্য চীনা কোম্পানির আবেদন

প্রকাশিত: ২১:৩৪, ৫ আগস্ট ২০২০

ভ্যাকসিন পরীক্ষার জন্য চীনা কোম্পানির আবেদন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ এক চীনা কোম্পানির তৈরি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক ব্যবহার বাংলাদেশে করার অনুমোদন দিতে পারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সন্তোষজনক ফল পাওয়া গেলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর ভ্যাকসিনটি প্রয়োগের অনুমোদন দেয়া হবে। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল মান্নান। এ সময় আইসিডিডিআর,বি প্রতিনিধি দলের সদস্য, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। স্বাস্থ্য সচিব বলেন, চীনের একটি ওষুধ কোম্পানি ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার আবেদন করেছে। আইসিডিডিআর,বির মাধ্যমে আবেদন স্বাস্থ্য অধিদফতর হয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এসেছে। এ বিষয়ে আজ (মঙ্গলবার) আইসিডিডিআর,বি প্রতিনিধিদের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ে আমরা জরুরী বৈঠক করেছি। স্বাস্থ্যসচিব জানান, পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সন্তোষজনক ফল পাওয়ার পর যদি এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয় তারপর এর ফল পেতে ছয় মাস সময় লেগে যাবে। এর মধ্যে যদি বিশ্বের অন্য কোন দেশে ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয় তবে আমরা সেটি পাওয়ার জন্যও যোগাযোগ রাখছি। তিনি বলেন, আমরা খোঁজখবর নিয়ে জেনেছি, চীনের সিনোভ্যাক বায়োটেক ওষুধ কোম্পানিটি সম্পূর্ণ বেসরকারী একটি কোম্পানি। এর সঙ্গে চীনা সরকারের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। এই প্রতিষ্ঠানটির তৈরি ভ্যাকসিন এর আগে চীনে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে নিরীক্ষা চালিয়ে সফল হয়েছে। সেটা বিবেচনায় রেখে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে যদি তা সন্তোষজনক হয়, তবে আমাদের দেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর প্রয়োগের জন্য আইসিডিডিআর,বির মাধ্যমে এ ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেয়া হবে। অক্সফোর্ড ও চীনা ভ্যাকসিন পেতে আশাবাদী বাংলাদেশ ॥ বাংলানিউজের খবরে বলা হয়, বিশ্বের ছয়টি কোম্পানি করোনার ভ্যাকসিন ট্রায়ালের তৃতীয় ধাপে রয়েছে জানিয়ে সংশ্লিষ্ট বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চীন ও যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়সহ গ্যাভী ফাউন্ডেশনের ভ্যাকসিন পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী বাংলাদেশ। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মোঃ আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে করোনা ভ্যাকসিন সংক্রান্ত এক সভায় এ তথ্য জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। সভায় জানানো হয়, বর্তমান বিশ্বের ৬টি কোম্পানি ভ্যাকসিন ট্রায়ালের তৃতীয় ধাপে রয়েছে। দেশে সময়মতো ট্রায়াল দেয়া হলে চীনের সাইনোভ্যাট কোম্পানির ভ্যাকসিন দেশের সাধারণ মানুষের দেহে প্রয়োগ করতে অন্তত ৬ মাসের মতো লাগতে পারে। সভায় বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা জানান, এ ভ্যাকসিন ১৮ থেকে ৫৯ বছর বয়সের স্বাস্থ্যকর্মীদের মাঝেই প্রথমে দেয়া হবে। তৃতীয় ধাপের পর এ ভ্যাকসিন সবার জন্য উন্মুক্ত করা যেতে পারে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন বক্তারা।
×