ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

পাটুরিয়া ঘাটে ঈদফেরত যাত্রী-যানবাহনের চাপ বাড়ছে

প্রকাশিত: ১৯:১১, ৩ আগস্ট ২০২০

পাটুরিয়া ঘাটে ঈদফেরত যাত্রী-যানবাহনের চাপ বাড়ছে

অনলাইন রিপোর্টার ॥ ‘প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি শেষ করে পরিবার নিয়ে কর্মস্থলে চলে যাচ্ছি। ফরিদপুর থেকে দৌলতদিয়া পর্যন্ত রাস্তায় তেমন যানজট ছিলো না তবে, গাড়িতে স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই নাই এবং সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন চালকরা। ’ সোমবার (৩ আগস্ট) পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় এমন অভিযোগ করেন ফরিদপুর থেকে ঢাকাগামী যাত্রী খায়রুল বাশার। তিনি বলেন, ‘নদীতে স্রোত থাকায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ফেরিতে করে নৌ-পথ পার হলাম। যদিও সময়টা অনেক বেশি ব্যয় হলো। কিন্তু সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্যটা অনেক বেশি। ভাবছিলাম ফেরিতে চলাচলকারী যাত্রীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে কিন্তু সেই লঞ্চের মতোই গাদাগাদি করে সবাই ছুটে আসছে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায়। সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে ফেরিতে করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঈদফেরত যানবাহন ও যাত্রী ফেরিতে করে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় আসছে। পাটুরিয়া ঘাটে এখন ঈদফেরত যাত্রীদের মিলনমেলার সৃষ্টি হয়েছে, যে যার মতো নিজ নিজ কর্মস্থলের দিকে যাত্রা করছে। সাভারের পোশাক কারখানার শ্রমিক বলেন, বুধবার (৫ আগস্ট) থেকে আমাদের পোশাক কারখানা খোলা। এজন্য আগে ভাগে চলে আসা, কারণ ঈদ করতে বাড়ি যাওয়ার সময় ২০ কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হেঁটে পাটুরিয়া ঘাটে আসছিলাম। রাস্তায় আর যানজটের মধ্যে পড়তে চাই না যে কারণে একদিন আগেই চলে আসলাম। পাটুরিয়া লঞ্চ টার্মিনালের মালিক সমিতির ম্যানেজার পান্না লাল নন্দী বলেন, দুপুর ১টার পর থেকে লঞ্চে করে যাত্রীরা পাটুরিয়া ঘাটে আসতে শুরু করেছেন। বিকেলে আরও যাত্রীর চাপ বাড়বে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা সেক্টরের ডিজিএম জিল্লুর রহমান বলেন, দৌলতদিয়া ঘাট থেকে দুপুর থেকে যাত্রীবাহী পরিবহন, প্রাইভেটকার ও যাত্রীরা ঈদ শেষ করে পাটুরিয়া ঘাটের দিকে আসছে। এখন ১৭টি ফেরি দিয়ে ঈদফেরত যাত্রী ও যানবাহন পারাপারের কাজে নিয়োজিত আছে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
×