ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

৬৫ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শুরু হচ্ছে মিড-ডে মিল কার্যক্রম

প্রকাশিত: ১৮:৪৬, ৩ আগস্ট ২০২০

৬৫ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শুরু হচ্ছে মিড-ডে মিল কার্যক্রম

অনলাইন রিপোর্টার ॥ আগামী বছর থেকে সারা দেশের ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিল কার্যক্রম চালু করবে সরকার। সপ্তাহের তিন দিন রান্না করার খাবার এবং তিন দিন বিস্কুট দেওয়া হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, ‘১৯ হাজার ২৭২ কোটি টাকার প্রকল্প পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছি। আগামী বছর ৬৫ হাজার ৬২০টি স্কুলে মিড-ডে মিল চালু করবো। তিন দিন রান্না করা খাবার তিন দিন বিস্কুট দেওয়া হবে। ’ স্কুল ফিডিং প্রকল্পের আওতায় দেশের ১০৪ উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চ পুষ্টিমান সমৃদ্ধ বিস্কুট এবং মিড-ডে মিল কার্যক্রমের আওতায় ১৬ উপজেলায় চাল, ডাল ও ভোজ্য তেল বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দিচ্ছে সরকার। স্কুল ফিডিং প্রকল্পের আওতাধীন ১০৪টি উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মাথাপিছু ২৫ থেকে ৫০ প্যাকেট বিস্কুট দেওয়া হচ্ছে। আর মিড-ডে মিলের জন্য মজুতে যেসব চাল, ডাল রয়েছে তা বিতরণ করা হচ্ছে। করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এই পদক্ষেপ নেয় সরকার। গত ২০ জুলাই কুড়িগ্রামের রৌমারীতে জুন ও জুলাই মাসের সংরক্ষণ করা স্কুল ফিডিং প্রকল্পের বিস্কুট ও মিড-ডে মিলের চার, ডাল ও ভোজ্য তেল বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে রান্না করা খাবার ও উচ্চ পুষ্টিমান সমৃদ্ধ ফর্টিফাইড বিস্কুট দেশের ১৬ উপজেলার মোট ২ হাজার ২৫৬ টি বিদ্যালয়ের ৪ লাখ ২৯ হাজার ৩৪৬ শিক্ষার্থীর মাঝে প্রতি স্কুল দিবসে পরিবেশন করা হচ্ছিল। কিন্তু কোভিড-১৯ -এর প্রাদুর্ভাব পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিস্কুট সরবরাহ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। জাতীয় স্কুল মিল নীতি-২০১৯ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই মিল নীতির আওতায় ২০২৩ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ কার্যক্রম চালু করা হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, স্কুল ফিডিং প্রকল্পের আওতায় দেশের দারিদ্র পীড়িত এলাকায় বিস্কুট বিতরণ কর্মসূচি চালু করা হয় ২০১০ সাল থেকে। দফায় দফায় বাড়িয়ে বর্তমানে ১০৪ উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিস্কুট বিতরণ করা হচ্ছে। এই প্রকল্প শুরুর পর থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ও লেখাপড়ায় শিক্ষার্থীদের মনোযোগ বাড়লে বরগুনার বামনা, জামালপুরের ইসলামপুর এবং বান্দরবানের লামা উপজেলায় ডব্লিউএফপি’র সহযোগিতায় ২০১৩ সাল থেকে পাইলট প্রকল্প হিসেবে মিড-ডে মিল বা দুপুরে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়। এই পাইলট প্রকল্প ফলপ্রসূ হওয়ার পর জাতীয় মিড-ডে মিল নীতিমালা-২০১৯ -এর আওতায় দেশের ১৬টি উপজেলায় দুপুরের রান্না করা খাবার বিতরণ কার্যক্রম শুরু করে সরকার। স্কুল মিল কর্মসূচির আওতায় উপজেলা নির্বাচন করা হয়েছে দারিদ্র্য ম্যাপ অনুযায়ী। সরকারি এই কার্যক্রমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খাবার দেওয়া হচ্ছে কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী ও রাজিবপুর, দিনাজপুরের ফুলবাড়ি, পাবনার বেড়া, নওগাঁ জেলার পোরশা, গাইবান্ধার সাঘাটা, শেরপুরের নালিতাবাড়ি, জামালপুরের ইসলামপুর, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া ও কাউখালী, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া, যশোরের ঝিকরগাছা, খুলনার বাটিয়াঘাটা, বরগুনার বামনা, লক্ষ্মীপুর জেলার সদর উপজেলা এবং সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায়।
×