ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

টানা চার মাস পরে পর্যটকের পদচারনায় কুয়াকাটা মুখরিত

প্রকাশিত: ১৯:৩০, ২ আগস্ট ২০২০

টানা চার মাস পরে পর্যটকের পদচারনায় কুয়াকাটা মুখরিত

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, পটুয়াখালী ॥ টানা চার মাস পরে পর্যটকের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে কুয়াকাটা। ঈদের দ্বিতীয় দিনে, রবিবার সকাল থেকেই পর্যটকরা কুয়াকাটায় ভিড় করতে শুরু করে। শত শত পর্যটক দর্শনার্থী সাগরের বেলাভূমে নেমে যেন প্রশান্তির পরশ খুঁজে পেয়েছে। প্রকৃতির লীলাভূমি কুয়াকাটাকে ঘিরে গড়ে ওঠা হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ও যেন স্বস্তির ছাপ দেখা গেছে। প্রত্যেকটি হোটেলে দুই চারটি কক্ষ ভাড়া হয়েছে। সকল ধরনের স্বাস্থ্য বিধি মেনেই পহেলা জুলাই কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল খুলে দেয়া হলেও পর্যটকের দেখা যেন মেলেনি। দুই চারজন, ছিটে-ফোটা আনাগোনা ছিল পর্যটকের। আজ রবিবার সকাল থেকে সেই কাঙ্খিত পর্যটকের পদভারে মুখরিত হতে থাকে কুয়াকাটা। কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ জানান, প্রত্যেক হোটেল-মোটেলে দুই চারজন পর্যটক এসেছেন। কুয়াকাটা গেস্ট হাউসে দুইটি কক্ষ ভাড়া হয়েছে। আধুনিক হোটেল খান প্যালেসের পরিচালক মো. রাসেল খান জানালেন, আজকে (রবিবার) পাঁচটি কক্ষ ভাড়া হয়েছে। আগামিকালের জন্য প্রায় ৩০ কক্ষ বুকিং করা রয়েছে। স্টার হোটেল, সিকদার রিসোর্ট এন্ড ভিলাস কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের ১১টি কক্ষ এবং চারটি ভিলাস ভাড়া হয়েছে। একই দৃশ্য অধিকাংশ হোটেলের। একইভাবে খাবার হোটেল, বিভিন্ন ধরনের ক্ষুদে দোকানিরাও কিছুটা উৎফুল্ল রয়েছেন পর্যটকের পদচারনায়। মোট কথা পর্যটন নির্ভর সকল ব্যবসায়ী পরিবারে কিছুটা স্বস্তি নেমে এসেছে। আজ, রবিবার দুপুরে বহু পর্যটক সাগরে গোসলে নেমে মাতোয়ারা হয়ে ওঠেন। দীর্ঘ গৃহবন্দীদশা থেকে যেন মুক্ত হওয়ার ব্যাকুলতা ছিল এদের মনে-প্রাণে। সাগরের ঢেউয়ের সঙ্গে এরা তান্ডবে নেমেছে। কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্টের দুই দিকে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা ছিল পর্যটকের পদচারনায় মুখরিত। শুধু কুয়াকাটা নয় পর্যটন শহর কলাপাড়ার শেখ কামাল সেতু, পায়রা বন্দর এলাকা ও ফোরলেন সড়ক, পায়রা তাপ বিদ্যুত কেন্দ্র এলাকায় দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা গেছে। কুয়াকাটা সৈকতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান অপরদিকে “পরিচ্ছন্ন কুয়াকাটা- পরিচ্ছন্ন আমরা” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) এর উদ্যোগে রবিবার সকাল ১০টায় সৈকতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়েছে। পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেন কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি নাসির উদ্দিন বিপ্লব, টোয়াক প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার, টোয়াক সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু, কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক কাজী সাঈদসহ টোয়াক সদস্য বৃন্দ। তাঁরা বলেন, পর্যটকদের ভ্রমন উপযোগী হিসেবে কুয়াকাটাকে গড়ে তুলতে আমাদেরই এগিয়ে আসতে হবে। কুয়াকাটা সৈকতকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা আমাদেরই কর্তব্য। তাই এখানকার পর্যটনমুখী ব্যবসায়ীদের সচেতনতার লক্ষ্যে এ পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়েছে।
×