ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পাক-আফগান সীমান্ত সংঘর্ষে নিহত ২২

প্রকাশিত: ১৫:৪৬, ২ আগস্ট ২০২০

পাক-আফগান সীমান্ত সংঘর্ষে নিহত ২২

অনলাইন ডেস্ক ॥ পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্তে ক্রমশ বাড়ছে উত্তেজনা। গত বৃহস্পতিবার থেকে দেশ দুইটির সীমান্তে সংঘর্ষ চললেও এখন তা চরম আকার নিয়েছে। এ পর্যন্ত এই সংঘর্ষে অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় দুই দেশই পরস্পরকে দোষারোপ করে চলছে। পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী শহর চমন এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর আল জাজিরা, ওয়াশিংটন পোস্ট। সংঘর্ষে পাকিস্তানেরও অন্তত ৭ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে বলে পাক কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন। অপরদিকে আফগানিস্তানের কান্দাহারের (যার সীমান্ত পাকিস্তানের সঙ্গে) এক মুখপাত্র জানিয়েছে, সংঘর্ষে ১৫ জন নিহত ও আহত হয়েছে ৮০ জন। নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক এক আফগান কর্মকর্তা জানান, ঈদুল আজহা উপলক্ষে লোকজন সীমান্ত পারাপারের জন্য ক্রসিংয়ে ভিড় করেছিল। তাদের ওপর পাকিস্তানি বাহিনীর ছোড়া গোলায় ১৫ আফগান নিহত হয়েছে। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছেন, এদের মধ্যে একজন শিশুও রয়েছে। তিনি সংঘর্ষের জন্য পাকিস্তান বাহিনীকে দোষারোপ করেন। এক বিবৃতিতে দেশটির মন্ত্রণালয় সতর্ক করে জানিয়েছে, আফগান বিমান বাহিনী ও স্পেশাল বাহিনীর ইউনিট উচ্চ সতর্কতায় আছে। সংঘর্ষ অব্যাহত থাকলে তারা প্রতিশোধ নিতে প্রস্তুত। তবে আফগানিস্তানের দেওয়া বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করেছে পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দেশটির মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আফগান বাহিনী আন্তর্জাতিক সীমান্তের পাকিস্তানের পাশে জড়ো হওয়া নিরীহ লোকদের ওপর গুলি চালায়। তাদের বাঁচাতেই সেলফ ডিফেন্স প্রক্রিয়ায় পাকিস্তান বাহিনী পাল্টা জবাব দেয়। এছাড়া বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আফগান বাহিনী প্রথমে গুলি চালায় এবং পাকিস্তানের পক্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে পাকিস্তানের অন্তত ৭ জন বেসামরিক লোক নিহত ও ২৮ জন আহত হয়েছে বলে খবরে বলা হয়েছে। পাকিস্তানের সীমান্ত শহর ‘চমন’ এর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, সীমান্ত পেরিয়ে আফগানিস্তানে ঢোকার অপেক্ষায় থাকা লোকজন অধৈর্য্য হয়ে পাকিস্তানের স্থাপনাগুলোতে হামলে পড়লে সহিংসতার সূত্রপাত হয়। সীমান্ত ক্রসিং পেরিয়ে আফগানিস্তান-পাকিস্তান দু’পক্ষের লোকজনই এপার-ওপার যাতায়াত করে আসছে বহু দশক ধরে। কিন্তু চরমপন্থীদের মদদ দেওয়া নিয়ে দুই দেশের একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি সীমান্ত এলাকায় কড়া নিরাপত্তা এবং নজরদারি চালু হয়েছে।
×