ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মাদারীপুরে ৪০ গ্রামে ঈদ-উল আযহা পালিত

প্রকাশিত: ১৭:০০, ৩১ জুলাই ২০২০

মাদারীপুরে ৪০ গ্রামে ঈদ-উল আযহা পালিত

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর ॥ মাদারীপুরে ৪০ গ্রামে ঈদ-উল-আযহা পালন করেছেন হযরত সুরেশ্বরী (রাঃ) এর ভক্ত অনুসারীরা। সৌদি আরবসহ মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোর সাথে মিল রেখে ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে শুক্রবার ঈদের নামাজ শেষে পশু কোরবানী দেওয়া হয়েছে। এবার করোনা ভাইরাস সংক্রমনের কারণে কোনো ঈদ গাঁয়ে জামাত না হয়ে এলাকার মসজিদে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। গত দেড়‘শ বছরের মধ্যে এবারই প্রথম ঈদগাঁয়ে জামাত না হয়ে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করলেন হযরত সুরেশ্বরী (রাঃ) এর ভক্ত অনুসারীরা। পরে বন্যার কারণে উঁচুস্থানে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে পশু কোরবানী দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সুরেশ্বর দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা হযরত জান শরীফ শাহ্ সুরেশ্বরী (রাঃ) এর অনুসারীরা প্রায় দেড়‘শ বছর পূর্ব থেকে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সাথে মিল রেখে রোজা রেখে ঈদুল-ফিতর ও ঈদ-উল-আযহা উদযাপন করছেন। তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার সদর উপজেলার পাঁচখোলা, জাজিরা, মহিষেরচর, জাফরাবাদ, চরকালিকাপুর, তাল্লুক, বাহেরচরকাতলা, চরগোবিন্দপুর, আউলিয়াপুর, ছিলারচর, মস্তফাপুর, কালকিনির সাহেবরামপুর, আন্ডারচর, আলীনগর, বাঁশগাড়ী, খাসেরহাট, রামারপোল, ছবিপুর, ছিলিমপুর, ক্রোকিরচর, সিডিখান, কয়ারিয়া, রমজানপুর, বাটামারা, রাজারচর, শিবচরের পাচ্চরসহ জেলার ৩ উপজেলার অন্তত ৪০ গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমান ঈদ-উল-আযহা পালন করেন। মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের তাল্লুক গ্রামের সুরেশ্বর পীরের মুরিদ মোত্তাকিন আহমেদ সোহেল ফকির বলেন, “ইসলাম ধর্মের সবকিছুই মক্কা শরীফ হয়ে বাংলাদেশে এসেছে। তাছাড়া মক্কা শরীফ থেকে বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য মাত্র ৩ ঘন্টা। তাই সৌদি আরবসহ মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোর সাথে মিল রেখে আমরা রোজা রাখি, ঈদ-উল ফিতর ও ঈদ-উল আযহা উদযাপন করি। সে হিসেবে আজ শুক্রবার আমরা ঈদ-উল আযহা পালন করছি।”
×