ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ট্রাম্পের নির্বাচন পেছানোর প্রস্তাবে রিপাবলিকানদের না

প্রকাশিত: ১০:১৩, ৩১ জুলাই ২০২০

ট্রাম্পের নির্বাচন পেছানোর প্রস্তাবে রিপাবলিকানদের না

অনলাইন ডেস্ক ॥ জালিয়াতি হতে পারে এমন উদ্বেগ জানিয়ে নবেম্বরের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া উচিত বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে প্রস্তাব জানিয়েছিলেন তার দল রিপাবলিকানের প্রথম সারির নেতারাই নির্বাচন স্থগিতের এমন প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছেন। বিবিসির প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে। মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটেন সংখ্যাগরিষ্ঠ অর্থাৎ প্রেসিডেন্টে ট্রাম্পের দল রিপাবলিকানের নেতা মিচ ম্যাককনেল এবং নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের সংখ্যালঘু দল রিপাবলিকানের নেতা কেভিন ম্যাককার্থি উভয়ই ট্রাম্পের এমন ধারণা নাকচ করে দিয়েছেন। প্রতিনিধি পরিষদ এখন বিরোধী ডেমোক্র্যাটদের দখলে। তবে নির্বাচন স্থগিত কিংবা পেছানোর কর্তৃত্ব প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেই। নির্বাচন পেছাতে হলে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব মার্কিন কংগ্রেসের উভয় কক্ষ থেকে পাস হতে হবে। প্রতিনিধি পরিষদ ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় সেখান থেকে পাসের কোনো সম্ভাবনা তো ছিলই না, এখন নিজ দলের বিরোধিতার মুখে পড়ায় এটা সম্ভব হবে না। বিবিসির বৃহস্পতিবারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভোট প্রদানের ‘যথাযথ, সুরক্ষিত ও নিরাপদ’ পরিবেশ সৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত রাখার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তবে ট্রাম্পের অভিযোগের পক্ষে সমর্থনযোগ্য প্রমাণ খুবই কম। তিনি অনেকদিন ধরেই মেইল-ইন ভোটিংয়ের বিরোধিতা করে আসছেন। সিনেটর ম্যাককনেল বলেছেন, ‘যুদ্ধ, মন্দা কিংবা গৃহযুদ্ধ চললেও দেশের ইতিহাসে নির্বাচন পেছানোর কোনো নজির নেই এর আগে কোনো মার্কিন প্রেসিনেডন্ট নির্বাচন বিলম্বিত হয়নি। আবারও যাতে নভেম্বরের তিন তারিখে নির্বাচন হয় আমরা অবশ্যই তার একটি উপায় বের করবো।’ প্রতিনিধি পরিষদের বিরোধীদলীয় নেতা ম্যাককার্থিও একই সূরে ট্রাম্পের এমন প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বলেন, আমাদের তফসিলি নির্বাচনের ইতিহাসে এমনটা কখনোই ঘটেনি। আমাদের যে সময় নির্ধারণ করা আছে সে অনুযায়ী নির্বাচনের আয়োজন করা উচিত। ট্রাম্পের মিত্র হিসেবে পরিচিত সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহামও বলেছেন, নির্বাচন পেছানোর বিষয়টি ভালো কোনো ধারণা নয়। করোনায় শীর্ষ আক্রান্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ অঙ্গরাজ্য সরকার ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণের শঙ্কায় স্বাস্থ্যবিধির কথাগুলো মাথায় রেখে মেইলের মাধ্যমে ভোটের আয়োজন করতে চায়। দীর্ঘদিন ধরেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অভিযোগ তুলে আসছেন যে, মেইল-ইন পদ্ধতিতে ভোট হলে তাতে জালিয়াতি হতে পারে। নভেম্বরের আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে ফল নেবেন না, এমন গুঞ্জনও বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে। ট্রাম্প গতকাল টুইট বার্তায় বলেন, ‘সর্বজনীন মেইল-ইন ভোটিং নভেম্বরের নির্বাচনকে ইতিহাসের সবচেয়ে ভুল ও প্রতারণামূলক নির্বাচণে পরিণত করবে; যা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য মারাত্মক বিব্রতকর।’ ইতোমধ্যে ক্যালিফোর্নিয়া, উটাহ, হাওয়াই, কলোরোডা, ওরেগন ও ওয়াশিংটন রাজ্য সবার ভোট মেইলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
×