ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

করোনা আক্রান্তের হার কমতে শুরু করেছে ॥ স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২২:৪২, ৩১ জুলাই ২০২০

করোনা আক্রান্তের হার কমতে শুরু করেছে ॥ স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশে করোনা আক্রান্তের হার কমতে শুরু করেছে বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, চীনে প্রথম শনাক্ত হওয়ার পর থেকেই করোনা বিষয়ক সচেতনতা কার্যক্রম শুরু করে সরকার। দেশে প্রথম রোগী শনাক্তের বিশ্বের আক্রান্ত দেশের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে করোনা প্রতিরোধে নানা কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন। স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ আলী নূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পাঁচটি দফতরের চুক্তি স্বাক্ষর হয়। দফতরগুলো হলো; পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতর, নিপোর্ট, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতর, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতর। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, শুরুতে পরিস্থিতি বুঝতে কিছুটা সময় লাগলেও এখন দেশের চিকিৎসা খাত কোভিড-১৯ চিকিৎসায় সঠিক অবস্থানেই রয়েছে। যথার্থ উদ্যোগ নেয়ার ফলে দেশের কোভিড হাসপাতাল এখন ৬০ ভাগ শয্যা খালি পড়ে আছে। কোভিড ডেডিকেটেড অর্ধেক আইসিইউ বেডে কোন রোগী নেই। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, কোভিড-১৯ মোকাবেলায় সরকার দ্রুত কিছু উদ্যোগ নিতে সক্ষম হয়েছে। প্রথম দিকে কেবলমাত্র ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা চালু ছিল। এখন জেলা শহরেও সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা চালু করাসহ প্রায় ৭০টি হাসপাতাল সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা করা হচ্ছে। টেলি মেডিসিন ব্যবস্থার মাধ্যমে শত শত চিকিৎসক অনলাইনে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী নতুন কিছু কার্যকরী চিকিৎসা সেবা হাসপাতালগুলোতে দেয়া হচ্ছে। ফলে, দেশে ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার কমতে শুরু করেছে। নমুনা পরীক্ষা কমে যাওয়ার বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা টেস্ট কমিয়ে দিয়েছি এমনটি নয়। আসলে লোকজন টেস্ট কম করাতে আসছেন। এছাড়া অনেক এলাকায় বন্যার কারণে লোক ল্যাবে যেতে পারছেন না। সে কারণেও টেস্ট করানো সম্ভব হচ্ছে না। টেস্ট কিটের কোন সঙ্কট নেই। অনেক ক্ষেত্রে লক্ষণ প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে বাসা থেকে অনেকেই টেলিমেডিসিন সেবা নিয়ে সুস্থ হচ্ছেন বলেও পরীক্ষার হার কমে গেছে। জাহিদ মালেক বলেন, আমেরিকায় করোনা আক্রান্ত প্রায় আড়াই হাজারে একজন মারা গেছে, ইউরোপের দেশগুলোতে প্রায় দেড় হাজারে একজন মারা গেছে। সে তুলনায় বাংলাদেশ ৫৫ হাজারে একজন মারা গেছে। আমি মনে কার এটি আমাদের দেশের জন্য একটি স্বস্তির খবর। পবিত্র ঈদ-উল-আজহা এবং বন্যাকে ঘিরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাহিদ মালেক। তিনি আরও বলেন, সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার কমানোর জন্য আমরা বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। জনগণকেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি।
×