নিজস্ব সংবাদদাতা, গফরগাঁও, ২৯ জুলাই ॥ ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে ঈদকে সামনে রেখে সেমাইয়ের চাহিদা কিছুটা বেড়ে যায়। সারাবছর বাজারে যে সেমাই বিক্রি করা হয় তার প্রায় ৭৫ শতাংশই হয় ঈদ মৌসুমে। চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতি বছরেই গফরগাঁওয়ে বৃষ্টি বেকারিসহ উপজেলার কয়েকটি বেকারিতে ভেজাল ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেমাই তৈরির মচ্ছব। তবে ভেজাল সেমাই উৎপাদন কারখানাগুলোতে প্রশাসনের নেই কোন নজরদারি বা অভিযান।
জানা যায়, উপজেলার পাগলা বাজার, দত্তের বাজার ও পৌর শহরের বৃষ্টি বেকারিসহ বিভিন্ন বেকারিতে বছরের পর বছর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভেজাল সেমাই উৎপাদন করলেও এদিকে নজর রাখছে না কেউ। কোন কোন বেকারিতে সেমাই কারখানার পরিবেশ এতই জঘন্য ও নোংরা স্যাঁতস্যাঁতে মেঝের মধ্যে ফেলে রাখা হয় ময়দা। সে ময়দা পা দিয়ে ম- তৈরি করে শ্রমিকরা। গরমে শ্রমিকদের গায়ের ঘাম মিশে সেমাইয়ের ম-ের সঙ্গে। মেঝেতে রাখা ম-ের মাঝে পড়ে মশা, মাছি ও বিভিন্ন পোকা-মাকড়। সেমাইতে মিশানো হয় বিভিন্ন কৃত্রিম রং। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে সেমাই বিক্রেতা নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে একাধিক ব্যবসায়ী জানান, গফরগাঁও উপজেলা ভেজাল সেমাইয়ে সয়লাব হয়ে গেছে। এরা খুবই প্রভাবশালী। বৃষ্টি বেকারির সেমাই পৌর শহরের কয়েকটি দোকান ছাড়া গ্রাম গঞ্জের দোকানগুলোতে বিক্রি হয় বেশি। বৃষ্টি বেকারি ও ফুড প্রোডাক্টসের মালিক বলেন, গত ঈদ মৌসুমে অনেক ব্যবসা করেছি। ঈদ-উল-আজহাকে সামনে রেখে মাত্র ৬০/৬৫ মণ সেমাই উৎপাদন করেছি তেমন ব্যবসা নেই।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: