ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

করোনাকালে চাই সম্প্রসারণমূলক মুদ্রানীতি

প্রকাশিত: ২১:০৮, ৩১ জুলাই ২০২০

করোনাকালে চাই সম্প্রসারণমূলক মুদ্রানীতি

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও কাক্সিক্ষত জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন যার পরিমাণ বর্তমান বছরে ৩১ লাখ ৭১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা) প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে বাজারে মুদ্রা ও ঋণ সরবরাহ সম্পর্কে একটি আগাম ধারণা দিতে প্রতি ছয় মাস অন্তর মুদ্রানীতি ঘোষণা করে থাকে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং চলতি বছর সদ্য ঘোষিত বাজেটে জিডিপির প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৮.২ শতাংশ এবং সদ্য বিদায়ী অর্থ বছরে (২০১৯-২০) মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫.৪৮ শতাংশ যদিও বছর শেষে মূল্যস্ফীতির সার্বিক গড় দাঁড়ায় টার্গেটের চেয়ে বেশি অর্থাৎ ৫.৬৫ শতাংশ বিশেষত কোভিড-১৯ এর প্রভাবের কারণে যা এখনও চলছে। অনেক আগে থেকেই বেসরকারী খাতে ঋণ প্রবাহ মন্থর ছিল যা করোনার কারণে আরও বেগবান হয়েছে। এখন বন্যার কারণে শহর ও প্রান্তিকে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বাড়ছে এবং গত জুন মাসে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছিল ৬.২ শতাংশ যা মে মাসে ছিল ৫.০৯ শতাংশ। এ ছাড়াও খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়ায় ৬.৫৪ শতাংশ যা মে মাসে ছিল ৫.৯ শতাংশ। জাতীয় বাজেটে ঘোষিত দেশের অর্থনীতির উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারে মুদ্রা সরবরাহ করে থাকে যা একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং তারই অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বছরে দু’বার (জানুয়ারি জুন ও জুলাই জিসেম্বর) মুদ্রানীতি ঘোষণা করে থাকে। এই ধরনের একটি পরিস্থিতিতে চলতি অর্থবছরের (২০২০-২১) প্রথমার্ধের জুলাই-জিসেম্বরের মুদ্রানীতির প্রণয়নের প্রাথমিক কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক যেখানে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে আসবে বেসরকারী খাতে ঋণ প্রবাহ বৃদ্ধিকরণ এবং এই মাসের শেষ সপ্তাহে তা ঘোষণার কথা রয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট অংশীদারদের সঙ্গে মুদ্রানীতির দৃষ্টিভঙ্গি নির্ধারণের জন্য এক মতবিনিময়ের আয়োজন করেছে ই-মেইল/ ওয়েব সইটের মাধ্যমে এবং গত ৭ জুলাই ছিল মতামত গ্রহণের শেষ দিন। সংক্লিষ্ট ব্যক্তিগণ বলছেন করোনাকালীন অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবেলার চ্যালেঞ্জ নতুন মুদ্রানীতির মূল ফোকাস হওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক উভয় চ্যালেঞ্জ বিবেচনায় নিতে হবে। আমরা যদি বিগত বছরের মে থেকে বর্তমান বছরের মে পর্যন্ত আর্থিক জরিপের ফলাফল পর্যালোচনা করি তা হলে দেখা যায় যে এই সময়ে নিট বৈদেশিক সম্পদের প্রবৃদ্ধি ঘটেছে ৮. ১৭ শতাংশ, নিট অভ্যন্তরীণ সম্পদের প্রবৃদ্ধি ঘটেছে ১৩.২৮ শতাংশ এবং ক্যাপক মুদ্রা সরবরাহের প্রবৃদ্ধি ঘটেছে ১২.১৫ শতাংশ। আবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দাবি কমেছে-৩.১৭ শতাংশ, ডিপজিট মানি ব্যাংকসমূহের দাবি বেড়েছে ১৩.২ শতাংশ ও ডিপোজিট মানি ব্যাংক সমূহের সার্বিক জনসমূহের দাবি বেড়েছে ৫৫.৯৪ শতাংশ যার মধ্যে সরকারী খাতের দাবি মাত্র ৮.৮৫ শতাংশ। এখানে উল্লেখ্য যে সরকারের ঋণ গ্রহণের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। যেমন জুন ২০১৮ এ যেখানে সরকারী-বেসরকারী খাতে ঋণ স্থিতির পরিমাণ ছিল ১১.৮৯ সেটা ক্রমে বেড়ে ২০২০ জানুয়ারিতে দাঁড়িয়েছে ১৫.৮৫ তে ও মে ২০২ তে এই অনুপাত অপরিবর্তিত রয়েছে। জানুয়ারি ২০১৯ থেকে জানুয়ারি ২০২০ সময়ে জনখাতে ঋণের প্রকৃত প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫৬.৯ শতাংশ অথচ একই সময়ে সরকারী খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ৯.২ শতাংশ ও ব্যাপক মুদ্রার সরবরাহের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২.৪ শতাংশ। আবার ব্যাংকিং ব্যবস্থায় নিট বৈদেশিক প্রবৃদ্ধি গত তিন বছরই ইতিবাচক দেখা যায় যদিও সেই সময়ে চলতি হিসাবের ভারসাম্য ঋণাত্মক ছিল। কাজেই এই সময়ে মূলধন ও আর্থিক হিসাব উদ্বৃত্ত বৈদেশিক মুদ্রা আহরণে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বর্তমানে ৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উপনীত হয়েছে যা দিয়ে ছয় মাসের আমদানি ব্যয় পরিশোধ করা যাবে। গত বছরের মে পর্যন্ত আমদানি কমেছে-৮.১০ শতাংশ, রফতানি কমেছে-১৮.২ শতাংশ, বিদেশী বিনিয়োগ কমেছে-১৩.১৮ শতাংশ, তবে এই সময়ে ব্যক্তিগত স্থানান্তর বেড়েছে ৯.১ শতাংশ এবং রেমিটেন্স বেড়েছে ৮.৮ শতাংশ। এই আলোচনা থেকে প্রতীয়মান হয় যে বর্তমান অর্থবছরে ব্যাপক মুদ্রার সরবরাহের প্রবৃদ্ধি ১৩ শতাংশ হতে পারে। বাজেটে ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে যে ঋণ গ্রহণের কথা রয়েছে তাতে সরকারী খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি ৪৫ শতাংশ এবং বেসরকরী খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ১২ শতাংশ হতে পারে যদিও এটা নির্ভর করে ব্যক্তিখাতে স্থানীয় বিনিয়োগ কতটা শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে থাকবে। সাম্প্রতিককালে দেশে ব্যাংকের প্রসার অপরিকল্পিতভাবে ঘটেছে, সেভাবে আর্থিক পণ্যের ও সেবার বিকাশ ঘটেনি, সৃষ্টি হয়নি বন্ড বাজার, সেভাবে শেয়ারবাজারেরও উন্নয়ন ঘটেনি। এটা মনে রাখতে হবে বাংলাদেশে ব্যাংকিং খাতের পুঁজির ভিত্তি দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বনি¤েœ রয়েছে এবং খেলাপী ঋণের সংস্কৃতি প্রবল জোরদার রয়েছে। পূর্ব-নির্ধারিত আমানত ও সুদের হার আর্থিক পণ্য ও খাত বহুমুখীকরণের অন্তরায় হিসেবে কাজ করে যা কোনভাবে প্রয়োগয়োগ্য নয়। এভাবেই অর্থনীতিতে কাল বাজারের উদ্ভয় হয় এবং সাধারণ নিরীহ গ্রাহক ক্ষতির মুখে পড়ে যায় যা কাম্য নয়। তবে অর্থ সরবরাহে সঙ্গে সঙ্গে সুদের হারের দিকে নজর দিতে হবে যা হবে পলিসি হার, তথাকথিত আমানত সুদে হার নয়। কেভিড-১৯ এর কারণে যে ভাবে অর্থনীতিতে অর্থের জোগান বাড়ছে তাতে টাকার মূল্যমানের অবনতি ও মূল্যস্ফীতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সে জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে তার বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হবে। এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের গতানুগতিক ছক থেকে বেরিয়ে এসে এই সকল পরিস্থিতির মোকাবেলায় মুদ্রানীতিকে সাজাতে অসুবিধে কোথায়? এই বাজেটে (২০২০-২১) দুটি বিষয় বিশেষভাবে উল্লিখিত হয়েছে যেমন খেলাপী ঋণ এবং কালো টাকা সাদাকরণ যা এর আগে সেভাবে আসেনি। তাই এই মেয়াদের ঘোষিতব্য মুদ্রানীতিতে যে সকল বিষয়গুলোতে দৃষ্টি দেয়ার প্রয়োজন রয়েছে তা হলো : প্রথমত : ঋণ খেলাপী হওয়ার কারণে ব্যাংকের মুনাফা কমছে, তাড়ল্য সঙ্কট বাড়ছে এবং ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় স্থবিরতাকে উৎসাহিত করবে। এই সমস্যাটি সরকারী ব্যাংকেই প্রধান্য বিস্তার করছে যার কারণে সরকারকে মূলধন ঘাটতি পূরণের জন্য বাজেট কঠামো থেকে কোটি কোটি টাকা সহায়ক বাজেট সাপোর্ট দিতে হচ্ছে। এই বিষয়টি একান্তই ব্যাংকিং খাতের বিষয় যেখানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অভিভাবক হিসেবে কাজ করবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে এই কাজটি করছে অর্থ মন্ত্রণালয় বিশেষত নীতি প্রণয়ন সুপারিশে, সংসদে প্রশ্নোত্তরে ও ঋণ খেলাপীদের তালিকা প্রকাশে। এখন প্রশ্নটি হলো ব্যাংকের আমানতের অর্থ জনগণের, লালন করছে ব্যাংক ও সুদ মওকুফ কিংবা রিসিডিউলিং করছে সরকার। আবার ২ শতাংশ ঋণ পরিশোধ করে শতকরা ৯ ভাগ হারে সুদ দিয়ে আগামী দশ বছরের মধ্যে ঋণ ফেরত কিংবা খেলাপীর অপবাদ থেকে মুক্তি ইত্যাদি সব করছে সরকার যদিও কাজটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এখতিয়ার। কারণ এটি একটি সংবিধিবদ্ধ স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান যার চাকরি নীতিমালা (ংবৎারপব ৎঁষবং) ভিন্ন, কর্মপরিধি কিংবা কাজের কৃষ্টি (ড়িৎশ পঁষঃঁৎব) ভিন্ন, বেতন ভাতা হলেও আনুষঙ্গিক সুবিধা ভিন্ন এবং সমাজে একটি বিশেষ আমেজ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে স্ব স্ব মহিমায়। তাহলে কি ক্ষমতার অনুশীলনে ঘাটতি রয়েছে? নেপাল রাষ্ট্রীয় ব্যাংক সে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং সে দেশের কুঋণ মোট ঋণের মাত্র ৩ শতাংশ যেখানে সিআরআর ও এসএলআর অনেক বেশি। সেই দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ খেলাপীদের সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্নসহ এমনকি দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা পর্যন্ত করে আইনী ব্যবস্থার মাধ্যমে যা বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জন্য অনুকরণীয় হতে পারে যা মুদ্রানীতিতে তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা থাকা বাঞ্ছনীয়। দ্বিতীয়ত : দেশের তফসিলভুক্ত ব্যাংকগুলোতে খেলাপী ঋণের আধিপত্য থাকায় সুদের হার কমানো সম্ভব হয়ে উঠছে ও সরকার এক ডিজিট সুদের হার (ঋণের সুদ ৯% এবং আমানতের সুদ ৬%) নামিয়ে আনার ব্যাপারে একটি ঘোষণা দিয়েছিল গত (২০১৮) কিন্তু সকল ব্যাংক বিষেশত: ব্যক্তি মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এই সিদ্ধান্তের বাস্তবায়নে ধীরে চলার নীতি অনুসরণ করলেও এখন গত এপ্রিল থেকে তা বাস্তবায়িত হচ্ছে গত ২০১৮ এর মাঝামাঝি সময়ে অর্থমন্ত্রণালয় থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে একটি নির্দেশনা আসে সিআরআর ১ শতাংশ কমিয়ে আনার জন্য বিষেশত: বেসরকারী ব্যাংক মালিকদের সংগঠনের দাবির পরি প্রেক্ষিতে। এতে করে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ব্যাংকারদের কাছে চলে আসে। এর পরপরই মিডিয়াতে প্রশ্ন রাখা হলো এই বাড়তি অর্থ সরবরাহ অর্থনীতিতে কি প্রভাব ফেলবে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক কেনই বা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করল এই সিদ্ধান্ত পালনে। এই ঘটনাগুলোর বিশ্লেষণ ও সুশাসন আগামী মুদ্রানীতিতে বিশ্লেষণের দাবি রাখে: তৃতীয়ত : বিশ্বব্যাংকের তথ্য মতে বিনিয়োগবান্ধব ব্যবসার পরিবেশের র‌্যাংকিং এ ১৮৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৭৪। এতে করে বিনিয়োগের দিক থেকে আমরা আনেক পিছিয়ে আছি খেলাপী ঋণের কারণে। বর্তমানে মূল্যস্ফীতি নিম্নমুখী বিধায় বাংলাদেশ ব্যাংকের উচিত ছিল ব্যাংক হার (নধহশ ৎধঃব) কমানো। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এটি একটি হার এর মধ্যে অপরিবর্তিত রয়েছে। আগামী মুদ্রানীতিতে ব্যাংক হার অর্থাৎ রেপো ও বিভার্স রেপো সুদের হার কমিয়ে আনার প্রস্তাব থাকবে। কারণ নীতি সুদের হার কমলে ব্যাংকের লেনদেনের খরচ কমবে এবং আরও কম সুদে ব্যাংকগুলো ঋণের জোগান দিতে পারবে। ব্যবসায়ীসহ সমাজের অন্যান্য উদ্যোক্তারা আরও বিনিয়োগের প্রতি উৎসাহিত হতে পারবে এবং কোন কোন ব্যাংকের অধিক তারল্যের সমস্যা দূর হতে পারবে। চতুর্থত : ২০১৯-২০ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর বাস্তবায়নের হার শতকরা কত ভাগ যা আশাপ্রদ হবে না করোনার কারণে যার ভিতর দিয়ে সরকারী খাতের বিনিয়োগের একটি চিত্র পাওয়া যায়। যদিও বেসরকারী খাতের বিনিয়োগের প্রবৃদ্ধি তুলনামোলকভাবে কম হলেও এটা বলা যায় যে দেশে বিনিয়োগ থেমে নেই। স্থির বাজার মূল্যে বিগত তিন বছরে সরকারী বিনিয়োগ বেড়েছে প্রতি বছরে গড় ১৪ শতাংশ হারে এবং বেসরকারী বিনিয়োগ বেড়েছে ৬.৯৩ শতাংশ হারে যা অবশ্য বাড়াতে হবে। বাংলাদেশের অর্থনীতি বেশ ভাল করছিল তার সূচকের মানদ-ে কিন্তু কোভিড-১৯ বাধা হয়ে দাঁড়ায় এই পথে বিধায় এখনই প্রকৃত সময় বাধা অতিক্রম করে প্রবৃদ্ধি, বিনিয়োগ, সঞ্চয়, মাথাপিছু আয়, কর আদায় ইত্যাদির লক্ষ্যমাত্রা জিডিপির অনুপাত বাড়িয়ে নির্ধারিত করা যার নির্দেশনা আগমী মুদ্রানীতিতে আসা উচিত। পঞ্চমত, গুরুত্বপূর্ণ কিছু নীতি নির্ধারণী বিষয় যেমন খেলাপী ঋণ, ব্যাংকের তারল্য ব্যবস্থাপনা, পুঁজি বাজার ও বন্ড মার্কেট উন্নয়ন, পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহে উদ্যোক্তাদের উৎসাহ প্রদান, শেয়ারবাজারে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোর অন্তর্ভুক্তিকরণ, প্রযুক্তি নির্ভর গ্রীন হাউসভিত্তিক বাণিজ্যিক কৃষি খামার প্রতিষ্ঠায় ঋণ কর্মসূচী প্রচলন, কৃষি ও পল্লী অর্থনীতিতে ঋণের প্রবাহ বাড়ানো ইত্যাদি বিষয়গুলো আগামী মুদ্রানীতিতে ঘোষণা সংযোজন হতে পারে। বাংলাদেশের বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার তার নিকটবর্তী প্রতিবেশীগুলোর তুলনায় একটি স্থিতিশীল সামষ্টিক অর্থনীতি ধরে রাখতে পেড়েছে যা বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২০ থেকে উঠে এসেছে। সেই প্রেক্ষিতে বলা যায় ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য প্রথমার্ধের ঘোষিতব্য মুদ্রানীতিতে এই সুবর্ণ সুযোগের সদ্ব্যবহার করে পূর্বে ঘোষিত বিয়ষগুলোর প্রতি নির্দেশনা থাকা উচিত। লেখক : অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও ডিন, সিটি ইউনির্ভাসিটি ও সাবেক জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতি, ঢাকা mihir.city@gmail
×