ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নিজভূমে পরবাসী হওয়ার শঙ্কায় কাশ্মীরীরা

প্রকাশিত: ০০:০৭, ৩০ জুলাই ২০২০

নিজভূমে পরবাসী হওয়ার শঙ্কায় কাশ্মীরীরা

ভারতের কট্টর মোদি সরকারের নতুন বাসস্থান আইনে কাশ্মীরের বাইরের লোকেরাও সেখানে স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার সুযোগ পাবেন। এ অবস্থায় নিজ ভূমিতে পরবাসী হওয়ার শঙ্কায় পড়েছেন কাশ্মীরীরা। এর আগে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে বর্তমান সরকার। শ্রীনগরের বাসিন্দা ৭৫ বছরের কবি ও ইতিহাসবিদ জারিফ আহমেদ জারিফ টেলিফোনে এক সাক্ষাতকারে বলেন, ‘আমাদের কাশ্মীর একটি সাজানো বাগান। নতুন আইন লুটেরাদের জন্য সেই বাগানে প্রবেশের দ্বার খুলে দিয়েছে। তারা সব ধ্বংস করে ফেলবে। সেই দিন আর খুব বেশি দূরে নয় যখন আমরা আমাদের ভূমি ও জঙ্গলের অধিকার থেকে বঞ্চিত হব। আমাদের চাকরির সুযোগ ও অর্থনৈতিক উৎস কেড়ে নেয়া হবে। নিজেদের ভূমিতেই কাশ্মীরীরা দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকে পরিণত হবে।’ দেশভাগের সময় কাশ্মীরের যে অংশ ভারতে পড়ে সেখানে ঘটে চলা অনেক পরিবর্তন এবং বড় বড় ঘটনা নিজ চোখে দেখেছেন জারিফ। তিনি এখন কাশ্মীরের ভবিষ্যত সংস্কৃতি, ভূমি সুরক্ষা এবং সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাগ্য নিয়ে দারুণ চিন্তিত। কারণ গত মে মাসে ভারত সরকার কাশ্মীরে ওই স্থায়ী বাসস্থান আইন পাস করেছে। ভারতের সংবিধানে বিশেষ মর্যাদার কারণে আগে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যে বাইরের মানুষ জমি কিনতে পারতেন না। কিন্তু ২০১৯ সালের আগস্টে ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকার কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে রাজ্যটিকে জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ নামে কেন্দ্রশাসিত দুইটি আলাদা অঞ্চলে ভাগ করে। এর ফলে কাশ্মীরী নন এমন ভারতীয়দের জন্য সেখানে জমি কেনা, চাকরি এবং উচ্চশিক্ষা নেয়ার দ্বার খুলে যায়। এরই পথ ধরে কাশ্মীরে নতুন করে নির্ধারিত হওয়া বাসস্থান আইনে সেখানকার বাইরের মানুষদের জন্য স্থায়ী অধিবাসী হওয়ার সুযোগ তৈরি হওয়ায় তারাই বাসস্থান, চাকরি এবং শিক্ষায় অগ্রাধিকার পাবে বলে স্থানীয়রা আশঙ্কায় আছে। শ্রীনগরের সাংবাদিক হারুন রেশি জানান, ‘তাদের স্বতন্ত্র সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিচয়...এমনকি আমাদের ভাষা এবং ঐতিহ্য, সব কিছুই আজ বিপদগ্রস্ত।’ -এনডিটিভি
×