ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ঈদের পর বিপিএল-ডিপিএল নিয়ে সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত: ০০:৪৩, ২৯ জুলাই ২০২০

ঈদের পর বিপিএল-ডিপিএল নিয়ে সিদ্ধান্ত

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ করোনাভাইরাসের প্রকোপে দেশে এখনও ক্রিকেট কর্মকা- ভালভাবে শুরু হতে পারেনি। সীমিত পরিসরে দেশের ৪ ভেন্যুতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) তত্ত্বাবধানে একক অনুশীলন হয়েছে কিছু ক্রিকেটারের। কিন্তু ক্রিকেটারদের খেলায় ফেরার জন্য তা একেবারেই অপর্যাপ্ত। বড় পরিসরে অনুশীলন হওয়া জরুরী খেলায় ফেরার জন্য। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগ (ডিপিএল) শুরুতেই থমকে গেছে করোনার আঘাতে। পুনরায় তা শুরু করা যাবে কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়। সামনে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) টি২০ আসর রয়েছে। সেটির ভাগ্যে কি ঘটবে তাও অজানা। তবে সম্প্রতি এক অনলাইন লাইভ অনুষ্ঠানে বিসিবির পরিচালক, বিপিএল গবর্নিং কাউন্সিলের টেকনিক্যাল কমিটি প্রধান ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানিয়েছেন ঈদ-উল-আজহার পরেই বিপিএল ও ডিপিএল নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। ঈদের পর আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ক্রিকেটারদের অনুশীলনের পরিধি বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে বিসিবির। ক্রিকেটাররাও চাইছেন বেশি বেশি অনুশীলন করতে। এমনকি ক্রিকেটে ফিরতেও মুখিয়ে আছেন তারা। বিসিবিও চাইছে মাঠে ক্রিকেট ফিরুক। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে কোনকিছুই নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে গত মার্চে শুরু হয়ে এক রাউন্ড পরেই থমকে যাওয়া ডিপিএল আবার শুরু করা নিয়েই ক্রিকেটারদের আগ্রহ বেশি। কিন্তু সেক্ষেত্রে মাঝে শুধু একটা মাসই ফাঁকা। কারণ অনুশীলন করে ফিটনেস ঠিক জায়গায় এনে ডিপিএল আবার শুরু করতে করতে সেপ্টেম্বরের আগে অসম্ভব। অক্টোবরে আছে প্রথম শ্রেণীর আসর জাতীয় ক্রিকেট লীগ (এনসিএল)। এরপর ডিসেম্বর/জানুয়ারিতে বিপিএল টি২০। সবগুলোই করতে চায় বিসিবি। তবে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে ফলপ্রসূ কোন আলোচনাই হয়নি। কারণ দেশের করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ক্রিকেট মাঠে ফেরানোর ঝুঁকি আছে, সেখানেই বিসিবির মূল বাধা। তবে ঈদের পরেই এসব নিয়ে বসবে বিসিবির ওয়ার্কিং কমিটি। এ বিষয়ে জালাল ইউনুস এক লাইভ অনুষ্ঠানে বলেন, ‘খুব শীঘ্রই আমরা আলোচনায় বসব, কোরবানির ঈদের পর বিসিবির ওয়ার্কিং কমিটির একটি সভা আছে। বিপিএল করার সময়টা হাতে আছে কেননা এটির জন্য নির্ধারিত সময় ডিসেম্বর-জানুয়ারি। সামনে আরও চার মাস হাতে থাকবে, আগস্ট-সেপ্টেম্বর-অক্টোবর-নবেম্বর। আমরা চেষ্টা করব বিপিএল ঠিক সময়েই করতে। আমরা চাই প্রিমিয়ার লীগ শুরু হোক। দেখা যাক, ক্লাবের সঙ্গে বিসিবির আলাপ-আলোচনা চলছে। আগস্টের দিকে দেখি করোনার অবস্থা কেমন হয়। সেটার ওপর নির্ভর করছে আমরা খেলা শুরু করতে পারব কিনা। কিন্তু জাতীয় দলের খেলোয়াড় যারা আছে বা স্কোয়াডে যারা আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড তাদের নিজেদের অধীনে যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা যোগান দিতে পারবে সেটি কি ক্লাবগুলো পারবে, একটা প্রশ্ন থেকে যায়।’
×