ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ফ্লাইট মিসের অভিযোগ

৭২ ঘণ্টার মধ্যে করোনা সনদ পেতে ভোগান্তি

প্রকাশিত: ২৩:০৩, ২৯ জুলাই ২০২০

৭২ ঘণ্টার মধ্যে করোনা সনদ পেতে ভোগান্তি

আজাদ সুলায়মান ॥ বাহাত্তর ঘণ্টার মধ্যে করোনা সনদ সংগ্রহ করতে যাত্রীদের শুধু ভোগান্তি নয়Ñ ফ্লাইট মিস করার মতো কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হচ্ছে। এমনিতেই ঘরে ফেরা প্রবাসীদের আর্থিক দুরবস্থা, তার ওপর যোগ হয়েছে নগদ টাকায় রিপোর্ট সংগ্রহ ও ফ্লাইট মিসের দুর্ভাগ্য। সরকার নির্ধারিত ফি দিয়ে দেশব্যাপী ১৬টি কেন্দ্রে গিয়ে করোনা সনদ সংগ্রহে যাত্রীদের অভিযোগের অন্ত নেই। বিদেশ থেকে আসার সময় করোনা পরীক্ষার সনদ না লাগলেও বাংলাদেশ ত্যাগ করতে এই সনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যদিও সংযুক্ত আরব আমিরাত ছাড়া বিশ্বের অনেক দেশই তাদের দেশে ঢুকতে এ সনদ বাধ্যতামূলক করেনি। কোন ধরনের পরিকল্পনা ও আলোচনা ছাড়াই হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের। ঢাকাসহ সারাদেশের ১৬টি সরকারী হাসপাতালে নমুনা সংগ্রহ ও রিপোর্ট প্রদান করা হলেও ভোগান্তির শিকার বেশি হতে হচ্ছে চট্টগ্রাম ও সিলেট এলাকায়। রাজধানীতে সেনাবাহিনী পরিচালিত মহাখালী ডিএনসিসি মার্কেটের কেন্দ্রে মোটামুটি স্বাভাবিক গতিতে এ সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হলেও বাইরের কেন্দ্রগুলোর অবস্থা তেমন সুখকর নয়। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে অবশ্য বলা হচ্ছে, হেলথ টেকনোলজিস্টদের ধর্মঘটে চলতি সপ্তাহে কয়েকটি কেন্দ্রে কিছুটা জটিলতা দেখা দিয়েছে। তবে এজন্য ফ্লাইট মিসের কোন অভিযোগ বা তথ্য তাদের জানা নেই। উল্লেখ্য, গত ১২ জুলাই অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় বিদেশ গমনেচ্ছু যাত্রীদের কোভিড-১৯ মুক্ত সনদ নিয়ে বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। সপ্তাহখানেক পর ১৯ জুলাই বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, ২৩ জুলাই থেকে বাংলাদেশ থেকে আকাশপথে বিদেশ গমনকারী সকল এয়ারলাইন্সের যাত্রীদের কোভিড পরীক্ষার সনদ বাধ্যতামূলক। কোভিড-১৯ পরীক্ষার বিষয়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলা হয়। বিদেশগামী যাত্রীকে বিমানযাত্রার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নমুনা জমা দিতে হবে। যে কোন ব্যক্তির জন্য করোনা পরীক্ষার সরকার নির্ধারিত ফি ২০০ টাকা। কিন্তু বিদেশগামী যাত্রীদের সশরীরে ল্যাব গিয়ে পরীক্ষার জন্য দিতে হবে ৩৫০০ টাকা এবং বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করলে ফি দিতে হবে ৪৫০০ টাকা। দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে মাত্র ১৪টি জেলায় বিদেশগামীদের করোনা পরীক্ষার স্যাম্পল নেয়া হবে। এসব স্যাম্পল পরীক্ষা করা হবে ১৬টি সরকারী হাসপাতালে। যেসব জেলায় স্যাম্পল সংগ্রহের বুথ রয়েছেÑ সেগুলো হচ্ছে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, খুলনা, কুষ্টিয়া, ময়মনসিংহ, বগুড়া, রাজশাহী, দিনাজপুর, সিলেট, রংপুর, বরিশাল, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, কুমিল্লা। অভিযোগ রয়েছে, প্রথমে বলা হয়েছিল টাকা বেশি দিলে বাসা থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হবে। বাস্তবে তার কোন প্রতিফলন ঘটেনি। অসুস্থ বয়স্ক নারী পুুরুষ ও গুণীজন সবাইকে কেন্দ্রে গিয়েই নমুনা প্রদান ও সনদ সংগ্রহ করতে হচেছ। আবার কোন জেলায় সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে বিদেশগামীদের করোনা পরীক্ষার নমুনা নেয়া হলেও কোন কোন জেলায় নেয়া হচ্ছে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে। জনবল সঙ্কটের অজুহাতে অনেক ক্ষেত্রেই বাড়িতে গিয়ে নমুনা সংগ্রহে আগ্রহী নয় নির্ধারিত ল্যাবগুলো। যেমন দিনাজপুরে বিদেশগামীদের নমুনা নেয়া হচ্ছে এম আবদুর রহিম মেডিক্যাল কলেজে। এই জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ আব্দুল কুদ্দুছ বলেন, আমরা এম আবদুর রহিম মেডিক্যাল কলেজে একটি ডেডিকেটেড বুথের ব্যবস্থা করেছি। সরাসরি সেখানে নমুনা দেয়া যাবে। সকাল ৯টা থেকে নমুনা নেয়া হবে। আমার অধীনে যে টিমটি আছে, তারা ফিল্ডে কাজ করে। তাদের যদি বিদেশগামীদের নমুনা সংগ্রহের কাজে জড়িয়ে ফেলি, তাহলে ফিল্ডের কাজ বন্ধ হয়ে যাবে। তাছাড়া আমরা নমুনা সংগ্রহ করলেও পরীক্ষা হতো আবদুর রহিম মেডিক্যাল কলেজের ল্যাবেই। তাই সরাসরি সেখানেই নমুনা দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। হাসান নামের ইতালী প্রবাসী এক ব্যক্তি দৈনিক জনকণ্ঠকে বলেন, এ ১৬টি হাসপাতাল বা বুথ সিলেকশনে প্রবাসীদের আনুপাতিক হার বিবেচনায় নেয়া হয়নি। ঢালাওভাবে করা হয়েছে দেশব্যাপী। এজন্য কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও ঢাকায় বেশী চাপ পড়েছে। আবার কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, টাঙ্গাইল, ঢাকা, সিলেট, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, কক্সবাজার ও ফেনী এই ১৩ জেলায় প্রবাসীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। যদিও বিদেশগামীদের করোনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে এ বিষয়গুলো বিবেচনায় নেয়া হয়নি। কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ফেনী জেলা প্রবাসীদের তালিকার শীর্ষে থাকলেও এই পাঁচ জেলার মানুষদের করোনা পরীক্ষা করাতে যেতে হবে কুমিল্লায়। কুমিল্লা জেলার সিভিল সার্জন কার্যালয়ে একটি বুথের মাধ্যমে স্যাম্পল নেয়া হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত স্যাম্পল নেয়া হয়। জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ নিয়াতুজ্জামান গণমাধ্যমকার্মীদের বলেন, আমরা ২০ জুলাই থেকে স্যাম্পল নেয়া শুরু করেছি। কুমিল্লা ছাড়াও আমাদের লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনীসহ মোট ৫ জেলার দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে। এতগুলো জেলার মানুষের স্যাম্পল নিতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্যাম্পল ল্যাবে পাঠাতে না পারলে সময় মতো রিপোর্ট দেয়া সম্ভব হবে না। তারপরও আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করব। এদিকে সঠিক সময়ে অর্থাৎ বাহাত্তর ঘণ্টার মধ্যে করোনার সনদ সংগ্রহ করতে গিয়ে অনেককেই চরম ভোগান্তি ও ফ্লাইট মিসের মতো কঠিন পরিণতির শিকার হতে হচ্ছে। রাজধানীর মহাখালীতে ডিএনসিসি মার্কেটের বুথে গিয়ে দেখা যায়, এখানে দৈনিক গড়ে সাড়ে তিনশ’ থেকে ৫শ’ প্রবাসী এসে ভিড় জমান। তারা ফ্লাইটের তারিখের দুদিন আগে এখানে এসে নমুনা দিয়ে যান। প্রথম দিন দিয়ে যান সকাল নয়টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে। পরদিন ২টার পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সনদ সংগ্রহ করতে পারেন। তারপরদিন ফ্লাইট ধরতে এয়ারপোর্টে যেতে পারেন। এতে সবারই মোটামুটি মানানসই হয়ে যায়। কেউ ইচ্ছে করলে বাসায় বসেও অনলাইনে সনদ দেখে প্রিন্ট কপি নিতে পারেন। এখানে কর্মরত একজন সেনা কর্মকর্তা জানান, প্রতিদিনই বিদেশগামী আসছেন। লাইনে দাঁড়িয়ে শৃখলামতো সিরিয়াল নিয়ে ভেতরে যান। নমুনা দিয়ে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে চলে যান। পরদিন এসে আবার একই কায়দায় সনদ নিয়ে যান। এ কেন্দ্রে এখনও পর্যন্ত বড় ধরনের অনিয়ম বা জটিলতা দেখা না দিলেও প্রথম দুদিন হেলথ টেকনিশিয়ানদের কর্মবিরতির দরুন রিপোর্ট তৈরি ও সার্ভারে প্রবেশে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। এতে হয়তো কেউ কেউ ফ্লাইট মিস করে থাকতে পারেন। যদিও এ বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ দেননি। রাজধানীর চিত্র মোটামুটি হলেও চট্টগ্রামে অভিযোগের অন্ত নেই। প্রতিদিনই ফ্লাইট মিসের ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ। গত চারদিনে কয়েকজনের ফ্লাইট মিসের খবর মিলেছে। হযরত শাহজালাল আন্তার্জাতিক বিমানবনন্দরে দাঁড়িয়ে এক দর্শনাথী জানান, তিনি তার এক আত্মীয়কে বিদায় জানাতে এসেছেন। দুবাই যাবেন, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এসে ফ্লাইট ধরার তারিখ ছিল মঙ্গলবার। কিন্তু পারেননি। রাউজানের গহিরা এলাকার আসাদুজ্জামানের ফ্লাইট ছিল। ২৭ জুলাই সোমবার সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানে। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা এবং দুপুর আড়াইটায় ঢাকা থেকে দুবাইগামী ফ্লাইট ছিল তার। ২৬ জুলাই রবিবার বিকেল ৩টায় করোনা সনদ পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ১৮ ঘণ্টা অপেক্ষার পরও করোনা সনদ পাননি তিনি। প্রায় ২২ ঘণ্টা পর দুপুর ১২টার দিকে তিনি যখন করোনা সনদ পেলেন, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী ফ্লাইট তখন আকাশে। এরপর স্বভাবই ফ্লাইট মিস। তিনি সাংবাদিকদের বলেন- ফেব্রুয়ারিতে দেশে এসে করোনার কারণে আটকে যাই। আগামীকাল ৩১ জুলাই পর্যন্ত ভিসার মেয়াদ আছে। অথচ ঈদের আগে দুবাইয়ের কোন ফ্লাইটেই আসন খালি নেই। জানি না কর্মস্থলে আর ফিরতে পারব কিনা। যদি যেতে না পারি তাহলে সামনে কী করব, কী খাব- কি করব সেটা কেউ জানে না। এ দায় কে নেবে? কাজী রবিউল আলম নামে এক যাত্রী জানান, সাধারণ মানুষ যখন ২০০ টাকায় করোনা রিপোর্ট পাচ্ছে, তখন পুরো সাড়ে ৩ হাজার টাকা দিয়েও এই হয়রানি কেন? এই যাত্রীদের অনেকেই আবার পজিটিভ হচ্ছেন। যার ফলে মধ্যরাতে রিপোর্টের অপেক্ষায় থাকা যাত্রীরাও ঝুঁকিতে আছেন। অভিযোগ রয়েছে, বৃহত্তর চট্টগ্রামে শুধু একটি মাত্র ল্যাব ফৌজদারহাট বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এ্যান্ড ইনফেকশন ডিজিসে (বিআইটিআইডি) বিদেশগামীদের করোনা পরীক্ষার অনুমতি দেয়ায় নমুনাজট ও রিপোর্ট পেতে দেরি হচ্ছে। এদের অবহেলা, ল্যাবে কর্মরতদের অনভিজ্ঞতা ও অদক্ষতার কারণে মাসুল দিতে হচ্ছে বিদেশগামীদের। শুধু আসাদুজ্জামান একা নন। তার মতো এমন আরও ভুক্তভোগী রয়েছেন। গত সোমবার যথাসময়ে করোনা সনদ না পাওয়ায় চট্টগ্রামের অর্ধশতাধিক বিদেশগামী যাত্রী ফ্লাইট মিস করেছেন। রবিবার বিকেল ৩টা থেকে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন অফিসে অপেক্ষা করে, খোলা আকাশের নিচে নির্ঘুম রাত কাটিয়েও সকালে নির্ধারিত ফ্লাইটের আগে রিপোর্ট পাননি তারা। রিপোর্ট না পেয়ে অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন। দীর্ঘ অপেক্ষার পর যারা পেয়েছেন, তারাও সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন। ফ্লাইট ধরার জন্য এক কাপড়েই অনেককে ছুটতে হয়েছে বিমানবন্দরে। দেখা করা হয়ে ওঠেনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। তারপরও শেষ রক্ষা হয়নি। ফ্লাইট মিস করতেই হয়েছে। এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডাঃ শেখ ফজলে রাব্বি বলেন, এটা ঠিক হয়ে যাবে। সার্ভারের সমস্যার কারণে বিদেশগামীদের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট দিতে দেরি হয়েছে। রবিবার ২৮১ জনের রিপোর্ট দেয়ার কথা থাকলেও রিপোর্ট আসে মাত্র ৬৭টি। এর মধ্যে কিছু রিপোর্ট ছিল ডাবল। এগুলো ঠিক করতেও সময় লেগেছে। এদিকে জানা গেছে- অনেক রাষ্ট্রই তাদের দেশে প্রবেশ করতে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট চাচ্ছে না। এছাড়া সার্টিফিকেট নেয়ার পরও যে কেউ যেকোন সময় আক্রান্ত হতে পারেন। বিদেশফেরত প্রবাসীরা বর্তমানে সঙ্কটে আছেন। এর ওপর টেস্টের যে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে, তা তাদের জন্য অনেক বেশি। শুধু টেস্ট নয়, যাতায়াত মিলিয়ে একেক জনের ১০-১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হবে। প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতি সবসময় সচল রেখেছেন। এই মুহূর্তে তাদের জন্য এ খরচ অনেক বেশি। অন্যদিকে ৬৪টি জেলার মানুষের জন্য মাত্র ১৪ জেলায় টেস্টের ব্যবস্থা মোটেও পর্যাপ্ত নয়। তারপরও যেসব জেলায় প্রবাসী বেশি, সেব জেলাকে গুরুত্ব দেয়া হলে সমস্যা কম হতো। সবচেয়ে ভাল হতো যদি বিমানবন্দরে প্রবেশের আগেই কোনভাবে টেস্টের ব্যবস্থা করা হতো। তাহলে আর প্রবাসীদের নানা দিকে ছোটাছুটি করতে হতো না। জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেন, বিদেশগামী যাত্রীদের সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে গিয়ে নমুনা জমা দিতে হবে। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নমুনা পরীক্ষার জন্য জমা দিতে হবে। নমুনা জমা দেয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের রিপোর্ট দেয়া হবে। বিদেশগামী যাত্রীদের নমুনা পরীক্ষার জন্য প্রয়োজন হলে পরবর্তীতে আমরা সেন্টারের সংখ্যা আরও বাড়াব। এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী বলেন, যে বিধি-বিধান হয়েছে তা করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সার্টিফিকেট তো কোথাও লাগে না। ইতালির ঘটনার পর এসব বিধি-বিধানের বিষয়গুলো সামনে আসছে। এখন বিদেশে যেতে হলে করোনা টেস্ট করাতে হবে। এজন্য নির্দিষ্ট জেলায় আলাদা বুথ করা হয়েছে। করোনা টেস্ট তো আর প্রতি থানায় থানায় করা সম্ভব না।
×