ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

দেশে করোনায় মৃত্যু তিন হাজারে পৌঁছেছে

প্রকাশিত: ২৩:০২, ২৯ জুলাই ২০২০

দেশে করোনায় মৃত্যু তিন হাজারে পৌঁছেছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা তিন হাজারে পৌঁছেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ৩৫ জনের মৃত্যু এবং শনাক্ত হয়েছেন নতুন ২৯৬০ জন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ৩০০০ এবং আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২ লাখ ২৯ হাজার ১৮৫ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হওয়া ১৭৩১ জনসহ এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ২৭ হাজার ৪১৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ৭১৪টিসহ এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১১ লাখ ৩৭ হাজার ১৩১টি। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ২৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৩১ শতাংশ । মঙ্গলবার দুপুরে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩৫ জনের মধ্যে পুরুষ ২৬ জন আর নারী ৯ জন। হাসপাতালে মারা গেছেন ২৬ জন, বাড়িতে মারা গেছেন আট জন, আর হাসপাতালে মৃত অবস্থায় এসেছেন একজন। তাদের বয়স বিশ্লেষণে ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৩ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে তিনজন আর ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে মারা গেছেন চারজন। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে পাঁচজন, খুলনা ও সিলেট বিভাগে চারজন করে, বরিশাল ও রাজশাহী বিভাগে তিনজন করে, ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগে দুজন করে মারা গেছেন। অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, মৃত তিন হাজার মধ্যে বয়স বিশ্লেষণে দেখা গেছে, শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে ১৮ জন, যা মোট মৃত্যুর দশমিক ৬০ শতাংশ, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ৩০ জন, এক দশমিক শূন্য শতাংশ, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৮৪ জন, দুই দশমিক ৮০ শতাংশ; ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২০০ জন, ছয় দশমিক ৬৭ শতাংশ, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৪২৫ জন, ১৪ দশমিক ১৭ শতাংশ , ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৮৬৯ জন, ২৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ এবং ৬০ বছরের বেশি এক হাজার ৩৭৪ জন, ৪৫ দশমিক ৮০ শতাংশ। এ পর্যন্ত বিভাগ অনুযায়ী মারা গেছেন ঢাকা বিভাগে এক হাজার ৪৪৪ জন, ৪৮ দশমিক ১৩ শতাংশ, চট্টগ্রাম বিভাগে ৭৩১ জন, ২৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ; রাজশাহী বিভাগে ১৭৭ জন, পাঁচ দশমিক ৯০ শতাংশ, খুলনা বিভাগে ২১২ জন, সাত দশমিক ০৭ শতাংশ, বরিশাল বিভাগে ১১৫ জন, তিন দশমিক ৮৩ শতাংশ, সিলেট ১৪৪ জন, চার দশমিক ৮০ শতাংশ, রংপুর বিভাগে ১১৩ জন, তিন দশমিক ৭৭ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৬৪ জন, দুই দশমিক ১৩ শতাংশ। ডাঃ নাসিমা সুলতানা জানান, ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ৭১৩ জন, ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৭৩২ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে গেছেন ৪৮ হাজার ৪৮৯জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২৯ হাজার ৫০১ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৮ হাজার ৯৮৮ জন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইনে যুক্ত হয়েছেন এক হাজার ৯৯২ জন। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে গেছেন চার লাখ ২৯ হাজার ৯৮৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ৫২৩ জন। এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন তিন লাখ ৭২ হাজার ১৩০ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৫৭ হাজার ৮৫৯ জন। সোমবারের বুলেটিনে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৭ জন মারা গেছেন। ১২ হাজার ৮৫৯টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা পাওয়া যায় আরও দুই হাজার ৭৭২ জনের দেহে। সে হিসাবে আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু কমলেও বেড়েছে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড আছে ৬৪ জনের। সে তথ্য জানানো হয়, ৩০ জুনের বুলেটিনে। সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড চার হাজার ১৯ জনের, যা জানানো হয় ২ জুলাইয়ের বুলেটিনে। অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা জানান, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে মৃত্যুর পেছনে অন্য বেশি রোগের উপস্থিতি ভূমিকা রাখছে। এই বয়সে মানুষ বেশি রোগে আক্রান্ত হন। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসসহ অন্য রোগে আক্রান্ত থাকেন বেশি। আর আগে থেকেই যারা অন্য রোগে আক্রান্ত বা ক্যান্সার, হৃদরোগসহ অন্যান্য জটিল রোগে যারা আক্রান্ত থাকেন তাদের জন্য করোনায় ঝুঁকি বেশি। এজন্য ঘরের বয়োবৃদ্ধদের প্রতি সবসময় তিনি আলাদা নজর দেয়ার কথা বলেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক।
×