ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

অবশেষে বিয়ে করতে বাধ্য হলেন শিক্ষক

প্রকাশিত: ২১:৩৩, ২৯ জুলাই ২০২০

অবশেষে বিয়ে করতে বাধ্য হলেন শিক্ষক

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ মনিরামপুরে ধর্ষণের শিকার মাদ্রাসাছাত্রীকে ভুয়া জন্মসনদ দেখিয়ে বিয়ে করেছেন অভিযুক্ত সেই শিক্ষক তরিকুল ইসলাম। মামলা থেকে বাঁচতে গত সোমবার শিক্ষক তরিকুল ওই শিক্ষার্থীকে বয়স বেশি দেখিয়ে ভুয়া জন্মসনদে বিয়ে করেছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। যদিও শিক্ষক তরিকুলের প্রথম স্ত্রী ও ৩ কন্যা সন্তান রয়েছে। অপকর্মের কারণে মাদ্রাসা থেকে সাময়িক বরখাস্তও হন তিনি। ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর উপজেলার ঝাপা বালিকা দাখিল মাদ্রাসায় নাইট কোচিং শেষে বাড়ি ফেরার পথে অপর শিক্ষক নজরুল ইসলামের সহযোগিতায় ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন তরিকুল ইসলাম। পরে অচেতন ও রক্তাক্ত অবস্থায় মাদ্রাসার বাথরুম থেকে উদ্ধার করে যশোর আড়াইশ’ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করেন ভিকটিমের স্বজনরা। তখন এ ঘটনা জানাজানি হলে জড়িত থাকার অভিযোগে সহকারী মৌলভী নজরুল ইসলামকে মারধর দিয়ে মাদ্রাসা সুপার মাওলানা শাহাদাৎ হোসেনকে অবরুদ্ধ করে রাখে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। পরে প্রশাসনের সহায়তায় সুপার উদ্ধার হয়। আটক তরিকুল ইসলাম সম্প্রতি জামিনে ছাড়া পেয়ে মামলা থেকে বাঁচতে ওই শিক্ষার্থীকে বিয়ে করতে মরিয়া হয়ে উঠে। শেষ পর্যন্ত বিয়েও করেছে তরিকুল। ২৭ জুলাই ভুয়া জন্মসনদে বিয়ে পড়িয়েছেন পৌর নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী মাহবুবুর রহমান। তিনি জানান, জন্মসনদে বয়স দেখে বিয়ে পড়ানো হয়েছে। শিক্ষক তরিকুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, ভাই বাঁচার জন্য বিয়ে করেছি সত্য। তবে আপনাদের দোয়ায় কাগজে লিখে আমার সর্বনাশ আর করবেন না। ওই শিক্ষার্থীর সনদ অনুযায়ী বয়স ১৮ বছর হয়নি এমন প্রশ্ন করতেই তরিকুল জানান, এর আগেও তার দুইজনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে। অতএব আপনার না ঘাটা-ঘাটি করলে আমি বেঁচে যাব।
×