অনলাইন রিপোর্টার ॥ স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিউল বারী বাবু(৫১) মারা গেছেন।
মঙ্গলবার ভোর ৪টায় রাজধানীর এভার কেয়ার (সাবেক অ্যাপোলো হাসপাতাল) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, ২০ দিন ধরে বাবু অসুস্থ ছিলেন। সোমবার (২৭ জুলাই) তাকে আনোয়ার খান মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতে অবস্থা আরও অবনতি হলে এভার কেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। ভোর ৪ টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
শায়রুল কবির খান জানান, বাবুর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ ছিল। সোমবার রাতে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে হাবিবুর নবী খান সোহেল, আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, ইশরাক হোসেন, ইয়াসিন আলীসহ অনেকে সেখানে গিয়ে খোঁজ খবর নেন।
৫১ বছর বয়সী শফিউল বারী বাবু স্ত্রী, ছোট এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মার্কেটিং বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী বাবু জাতীয়বাদী ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে বাদ আসর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বাবুকে দাফন করা হবে।
স্বেচ্ছাসেবক দল তার সংগঠনের সভাপতির মৃত্যুতে সারাদেশের জেলা, মহানগর, থানা, উপজেলা ও পৌরসভায় মঙ্গলবার খতমে কোরআন ও দোয়া মাহফিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
মঙ্গলবার সকালে নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শফিউল বারী বাবুর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করে বিএনপি। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতৃবৃন্দ তার কফিনের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এর আগে তার কফিন বিএনপির পতাকা দিয়ে ঢেকে দেন বিএনপি মহাসচিব।
এর আগে কার্যালয়ের সামনের সড়কে শফিউল বারী বাবুর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজার আগে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “আজকে শফিউল বারী বাবুর জানাজায় উপস্থিত হতে হবে এটা আমরা কল্পনাও করিনি। বাবু শুধু স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রেসিডেন্ট ছিলেন না, তিনি বিএনপির একটা প্রাণ ছিলেন।
“অসংখ্য নেতা-কর্মী সারাদেশে তার হাতে তৈরি হয়েছে এবং বিএনপির অঙ্গসংগঠনের মধ্যে এই ধরনের ত্যাগী, মেধাবী, বুদ্ধিমান, লেখপড়া জানা নিবেদিত প্রাণ নেতা খুব কম আছে। বাবুকে হারিয়ে আমরা আমাদের একটা অমূল্য সম্পদকে হারালাম। বিএনপির এই সৈনিক, শহীদ জিয়াউর রহমানের এই সৈনিক, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এই সৈনিক, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের এই সৈনিক কখনো পেছনে ঘুরে তাকায়নি। আন্দোলনে, সংগঠনকে শক্তিশালী করতে তার ভুমিকার কোনো তুলনা হয় না। আমি তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি, আল্লাহ তালা যেন তাকে বেহেস্ত নসিব করেন।”
দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল ও প্রয়াত বাবুর বড় ভাই সাহেদুল বারীকেও শফিউল বারীর অবদানের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গেছে।
শফিউল বারী বাবুর মৃত্যুতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা শোক প্রকাশ করেন।