ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ল্যাবের দায় স্বীকার

ঐশী খানের করোনা রিপোর্ট ভুল

প্রকাশিত: ০১:১০, ২৮ জুলাই ২০২০

ঐশী খানের করোনা রিপোর্ট ভুল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সাবেক নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের মেয়ে ঐশী খানের করোনা সনদ তৈরির সময় ভুল করার দায় স্বীকার করেছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন এ্যান্ড রেফারেল সেন্টার। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক প্রফেসর ডাঃ আবুল খায়ের মোহাম্মদ শামসুজ্জামান সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে এক সংবাদ সন্মেলনে ত্রুটি স্বীকার করে দায় নিয়েছেন। এতে তিনি বলেন, ডাটা-এন্ট্রি অপারেটরের ভুলের কারণে এই সমস্যা তৈরি হয়েছিল। গত ২৫ জুলাই আমাদের প্রতিষ্ঠানে একটি প্রতিকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল। কেননা আমাদের এখানে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কর্মরত মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টরা কর্মসূচী পালন করছেন। তারা কর্মবিরতি পালন করছিলেন। বিদেশগামী যাত্রীদের নমুনা সংগ্রহের প্রথম দিকে শুধু আমাদের প্রতিষ্ঠানে এসব নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হতো। সেই ধারাবাহিকতায় ২৪ জুলাই ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন বুথ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তা আমাদের কাছে পাঠানো হয়। এটি সন্ধ্যায় আমরা গ্রহণ করি। ২৪ ঘণ্টাই রিপোর্ট দেয়ার যে বাধ্যবাধকতা সেই বাধ্যবাধকতার মধ্যে আমরা একটু ব্যত্যয়ের মধ্যে পড়ে যাই। পরবর্তী দিনে আমাদের এখানে সরকারীভাবে যারা মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট আছেন এবং অন্যান্য যারা আছেন তারা এই নমুনা পরীক্ষার কাজে হাত লাগান। সেদিন আমাদের ৪০২টি নমুনা পরীক্ষা করতে সময় একটু বেশি লেগে যায়। সময় বেশি লেগে যাওয়ার কারণে যাত্রীর তথ্য একটি ফর্মের মাধ্যমে এমআইএস শাখার সফটওয়্যারে এন্ট্রি দেয়া হয়। সেখান থেকে তথ্য শীট আমাদের কাছে আসে। সেই তথ্য এন্ট্রি দেয়ার জন্য আমাদের এখানেও ডাটা-এন্ট্রি অপারেটররা কাজ করেন। সময় বেশি লেগে যাওয়ার কারণে আমাদের সমন্বয়ক ইমিগ্রেশন বুথ এবং ডিএনসিসি বুথে কথা বলেন। ওইদিন যাদের বিমানযাত্রা ছিল তাদের যাত্রা যেন বিঘিœত না হয়, সেজন্য আমাদের এখান থেকে রিপোর্ট তৈরি করে তাদের ই-মেলে পাঠানো হয়। সেই হিসেবে আমরা কাজ করি। ফল আসার পর তথ্য শীটে কম্পিউটারে এন্ট্রি দেই। সেই এন্ট্রির সময় আমাদের অপারেটরদের যে কারও মাধ্যমে ডাটা-এন্ট্রি প্রিন্ট আকারে আমাদের কাছে আসে। সেই তথ্য অনুযায়ী আমরা একটি রিপোর্ট কম্পিউটারে টাইপ করি। ডাঃ আবুল খায়ের ঐশীর রিপোর্টে ভুল হওয়ার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে বলেন, সেদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আমরা প্রথমে কিছু সংখ্যক যাত্রীর ফলের রিপোর্ট এবং রাত সাড়ে ৯টায় বাকি যাত্রীদের রিপোর্ট পাঠাই এমআইএস ইমিগ্রেশন এবং ডিএনসিসির ই-মেলে। বিচার চান ঐশী খান ॥ এদিকে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ী ব্যক্তিদের বিচার চেয়েছেন শাহজাহা খান ও তার মেয়ে ঐশী খান। সোমবার দুপুরে ঐশী খান তার পিতাকে নিয়ে কোভিড টেস্টের রিপোর্ট সম্পর্কে অভিযোগ দায়ের করেন। দুপুর ১২টার দিকে শাজাহান খান ও ঐশী খান স্বাস্থ্য অধিদফতরে উপস্থিত হয়ে মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের কাছে তাদের অভিযোগের চিঠি জমা দেন। চিঠিতে ঐশী খান লিখেছেন, তিনি ইংল্যান্ডের কোভিন্ট্রি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। গত ২০ ফেব্রুয়ারি তিনি দেশে আসেন। করোনার কারণে আন্তর্জাতিক বিমান যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেলে তার পক্ষে ইংল্যান্ডে যাওয়া সম্ভব হয়নি। আন্তর্জাতিক বিমান যোগাযোগ আবার শুরু হলে গত ২৬ জুলাই বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের ফ্লাইট বিজি ০০১ বিমানে করে তার ইংল্যান্ড যাওয়ার কথা ছিল।
×