ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাবি ছাত্র ও তার বড় ভাইকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত: ০০:৫৩, ২৮ জুলাই ২০২০

ঢাবি ছাত্র ও তার বড় ভাইকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেয়ার অভিযোগ

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ কক্সবাজারের গ্রামের বাড়ি থেকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয় দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র ও তার বড় ভাইকে তুলে নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার স্বজনরা। মহেশখালীর কালারমার ছড়া ইউনিয়নের ইউনুশখালী গ্রামের এ ঘটনার পর তিনদিন পার হলেও দুই ভাইয়ের কোন সন্ধান মিলছে না। খবর বিডিনিউজের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র রেদুয়ান ফরহাদকে শুক্রবার বিকেলে ইউনুশখালী গ্রাম থেকে এবং আগের দিন বিকেলে তার বড় ভাই রাশেদ খান মেননকে স্থানীয় বাজার থেকে কয়েকজন ব্যক্তি ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যায় বলে স্বজনদের অভিযোগ। সোমবার দুপুরে নিখোঁজ শিক্ষার্থীর বোন দিলরুবা খানম বলেন, তিনদিন হয়ে গেল এখনও আমার ভাই দুজনের সন্ধান পাইনি। আমার বাবা-মা প্রত্যেক দিন থানায় যাচ্ছেন। পুলিশ কোন খোঁজও নিচ্ছে না, জিডি করতে চাইলে জিডিও নিচ্ছে না। এখনও আমার বাবা-মা থানায় বসে আছেন। তিনি বলেন, রাশেদ কক্সবাজারে আনসার-ভিডিপি যোগ দিতে ২০১৮ সালে প্রশিক্ষণ নেয়। এরপর ইউনিয়ন কমান্ডার পদে আবেদন করলেও এখনও নিয়োগ পায়নি। অনার্সে ভর্তি হওয়ার বছরখানেক পর ঢাকার শাহবাগ থানায় জঙ্গী সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে দায়ের একটি মামলায় রেদুয়ান ফরহাদকে আসামি করা হয় বলে তিনি জানান। তবে দুই ভাইকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে পারিবারিক প্রতিপক্ষের কোন ইন্ধন থাকতে পারে সন্দেহ প্রকাশ করেন দিলরুবা। তিনি বলেন, কালারমারছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ সমর্থিত স্থানীয় আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকর্মী কোন কারণ ছাড়াই তাদের পরিবারের লোকজনকে হয়রানি করে চলছে। তারাই হয়ত এর রেশ ধরে আমার ভাইদের পুলিশ দিয়ে আটক করিয়েছে। দিলরুবা বলেন, কক্সবাজার শহরের বিজিবি ক্যাম্প এলাকায় তাদের পারিবারিক জমিতে ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। দুই/তিন মাস আগে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের স্থানীয় নেতা পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি রেদুয়ান ফরহাদকে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে চাঁদা চেয়েছিল। ওই ব্যক্তি ফরহাদকে বাড়িতে এসে দেখাও করতে বলেন। এরপর শুক্রবার সকালে ফরহাদ ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি ফেরেন। বিকেলে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সাদা পোশাকের আটজনের একটি দল বাড়ি থেকে ছোট অস্ত্র দেখিয়ে তুলে নিয়ে যায়। তারা বাবা-মায়ের মোবাইল ফোন, আমার ভাইয়ের ল্যাপটপও সঙ্গে নিয়ে যায়। কিছু দূর গিয়ে তারা ফরহাদকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারেক বিন ওসমান শরীফ বলেন, তার সঙ্গে পরিবারটির লোকজনের কারও সঙ্গে কোন ধরনের বিরোধ নেই। তার সমর্থিত নেতা কর্মীরাও এ ধরনের কোন ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। ঘটনা বিষয়ে জানতে চাইলে মহেশখালী থানার পরিদর্শক দিদারুল ফেরদৌস বলেন, এ ধরনের কোন ঘটনা সম্পর্কে পুলিশ অবগত নয়। তাছাড়া নিখোঁজের ঘটনায় থানায় কেউ জিডি করতে আসেনি। কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক কাজী আশরাফুজ্জামান বলেন, ডিবি পুলিশ এ ধরনের কোন অভিযান পরিচালনা করেনি। অন্য কোন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের নিয়ে গিয়ে থাকলে পুলিশের কাছেই হস্তান্তর করবে।
×