ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মোট আক্রান্ত ১৪ লাখ ৩৫ হাজার, সুস্থ ৯ লাখ

ভারতে ফের রেকর্ড আক্রান্ত

প্রকাশিত: ০০:৪৫, ২৮ জুলাই ২০২০

ভারতে ফের রেকর্ড আক্রান্ত

ভারতে সোমবার ৪৯ হাজার ৯৩১ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। এতে দেশটিতে এখন পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৪৫৩। দেশটিতে এদিন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৭০৮ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে দেশটিতে এ রোগে মারা গেছেন ৩২ হাজার ৭৭১ জন। এছাড়া এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৯ লাখ ১৭ হাজার ৫৬৮ জন। ভারতে ২ জুলাইয়ের পর তিন সপ্তাহে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। টানা চারদিন ধরে দৈনিক ৪৫ হাজারেরও বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত রাজ্য মহারাষ্ট্র। এরপরই রয়েছে যথাক্রমে তামিলনাড়ু, দিল্লী, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটক, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ও গুজরাট। এনডিটিভি ও আনন্দবাজার পত্রিকা। তবে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও সংক্রমণের হার কিছুটা কমেছে। প্রতি দিন যে সংখ্যক মানুষের পরীক্ষা হচ্ছে, তার মধ্যে যত শতাংশের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসছে, সেটাকেই বলা হচ্ছে ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে সংক্রমণের হার ছিল ৯.৬৯ শতাংশ এবং পরীক্ষা হয়েছে ৫ লাখ ১৫ হাজার ৪৭২ জনের, যা রেকর্ড। এদিকে মৃত্যুর দিক দিয়ে স্পেন ও ফ্রান্সকে টপকে গেছে ভারত। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, সোমবার করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৭০৮ জনের। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রেই মারা গেছে ১৩ হাজার ৬৫৬ জন। মৃত্যুর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা দিল্লীতে প্রাণ গেছে তিন হাজার ৮২৭ জনের। তিন হাজার ৪৯৪ জনের মৃত্যু নিয়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে তামিলনাড়ু। গুজরাটে দু’হাজার ৩২৬ জন প্রাণ হারিয়েছে করোনার কারণে। কর্নাটক (১,৮৭৮), উত্তরপ্রদেশ (১,৪২৬), পশ্চিমবঙ্গ (১,৩৭২) ও অন্ধ্রপ্রদেশে (১,০৪১) মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে রোজ দিন বেড়েই চলেছে। এর পর ক্রমান্বয়ে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ (৮১১), রাজস্থান (৬২১), তেলেঙ্গানা (৪৬৩), হরিয়ানা (৩৯২), জম্মু ও কাশ্মীর (৩১২), পঞ্জাব (৩০৬), বিহার (২৪৪) ও ওডিশা (১৪০)। বাকি রাজ্যগুলোতে মৃতের সংখ্যা এখনও ১০০ পেরোয়নি। এদিকে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রবিবার জানায়, করোনা শনাক্তে ২৪ ঘণ্টায় দেশটির অনুমোদিত এক হাজার ৩শ’টি ল্যাবরেটরিতে চার লাখ ৪২ হাজার ২৬৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় এক লাখ পরীক্ষাই হয়েছে র‌্যাপিড এ্যান্টিজেন টেস্ট কিট দিয়ে। বাকিগুলো হয়েছে আরটি-পিসিআর পরীক্ষার মাধ্যমে। সামনে পরীক্ষার সংখ্যা আরও বাড়িয়ে গড়ে দৈনিক ১০ লাখ নমুনা পরীক্ষার লক্ষ্যে এগোচ্ছে ভারত। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন বলেন, ‘দ্রুত, সহজ ও আরটি-পিসিআর পরীক্ষার চেয়ে কম খরচ হওয়ায় দৈনিক করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়াতে ভূমিকা রাখছে এ্যান্টিজেন টেস্ট।’
×